পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

، سS8b -- - হইতে পারে। তাহার সাক্ষী—সূর্য্যের আকর্ষণ ; সূৰ্য্যকে কেহ পৃথিবী আকর্ষণ করিতে দেখেও নাই দেখিবেও না ; কে তবে বলিল যে, সূৰ্য্য পৃথিবী আকর্ষণ করিতেছে ? ভেক যেমন জিহবা প্রসারণ করিয়া কীট আকর্ষণ করে, সূৰ্য্য কি সেইরূপ কোন সূক্ষা বস্তু প্রসারণ করিয়া পৃথিলী অাকর্ষণ করে ? মন্ত্র দ্বারা বাটি চালনা করে, সূৰ্য্য সেইরূপ বাহ্যবস্তুর সাহায্য ব্যতিরেকে ও শুন্যের মধ্য-দিয়া পৃথিবী আকর্ষণ করে ? বিজ্ঞান নির্ভর । র্যণ কথাটাই অপ্রামাণ্য ; অতএব আকর্ষণ বিকর্ষণ এ সকল কথা ছাড়িয়া দিয়া “পৃথিলী সূৰ্য্যকে প্রদক্ষিণ করে এইটুকু জানিয়াই নিশ্চিন্ত থাক – বেশী বাড়াবাড়ি করি ও না !” এই তো দেখা যাইতেছে যে, কমৃটির মতে বাস্তবিক সত্য বিজ্ঞানের অধিকার-বহিভূত—ব্যবহারিক সত্যই বিজ্ঞানের একমাত্র আলোচ্য বিষয় । কমৃটির এ কথার বিরুদ্ধে আমরা বলি যে, পৃথিবী মে, সূৰ্য্যকে প্রদক্ষিণ করে, তাহার তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ন। দৈবজ্ঞ যেমন ।

  • २ कञ, २ • [१]

-- ত্যেই—সন্তুষ্ট থাকিতে বলেন । এটা তিনি দেখিতেছেন না যে, বিজ্ঞানকে অৰ্দ্ধ সত্যে সন্তুষ্ট থাকিতে বলা, আর, ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে আধ-পেটা অন্নে সন্তুষ্ট থাকিতে বলা, দুইই সমান। ধরিতে গেলে— বিজ্ঞান অৰ্দ্ধ সত্য ও বোঝে না—সিকি সত্যও বোঝে না—বাস্তবিক সত্যই তাহার একমাত্র অন্বেষণের বিষয় ; তবে কি না— অপৰ্য্যমানে সে অদ্ধ সত্যেই আপাততঃ সন্তোষ অবলম্বন করে এবং মনকে এই ৷ বলিয়া প্রবোধ দেয় যে,নেই-মামা অপেক্ষা : সুতরাং এখানে আক কি কোন কারণ আছে—ন। কারণ নাই ? ' কিয়ং মাস ধরিয়া পৃথিবী সূৰ্য্য হইতে ক্রমশই দূরে প্রস্তান করে, তাহার পরে সেরূপ না করিয়া ঠিক তাহার বিপরীত পথ অবলম্বন করে কেন ? অবশ্যই তা হার কোম না কোন কারণ আছে । অতএর পৃথিবী সূৰ্য্যকে প্রদক্ষিণ করে ইহ। যেমন সত্য—তাহার একটা না একটা কারণ আছে ইহা তেমনিই সত্য ; পৃথিবীর প্রদক্ষিণ-কাৰ্য্য এবং তাহার কারণ – দুয়ে মিলিয়া তলে একটা সমগ্ৰ সত্য দ{ড়ায় | কমৃটি ঐ সমগ্র সত্যটির প্রতি হাত বাড়াইতে মানা করেন ; তিনি পৃথিবীর প্রদক্ষিণ কাৰ্য্য মাত্রটিতেই—অtধখানা স कभी मामा चून । কিন্তু তাহা বলিয়া আৰ্দ্ধ সত্য কি বাস্তবিক সত্য ? সত্য বটে যে, আমার নিকটে চন্দ্রের এক পিট মাত্র প্রকাশ পায়— কিন্তু তাহা বলিয়া বাস্তবিকই কি চন্দ্রের সেই দৃশ্যমান পৃষ্ঠই তাহার সৰ্ব্বস্ব ? সমগ্র সত্যই বাস্তবিক সত্য । অৰ্দ্ধ সত্যে বিজ্ঞানের এবং সংসারের কার্য্য খুবই চলিতে পারে ; এমন কি প্রতি বংসর সূৰ্য্য স্বয়ঃ উত্তর হইতে দক্ষিণে এবং দক্ষিণ হইতে উত্তরে যাতায়াত করে— ইহার উপরে ভর করিয়াই কৃষকের কুমিকার্য্য সুচারুরূপে চলিতে পারে ; অথচ বিজ্ঞান শেষোক্ত সত্যকে তাপন রাজ্য হইতে বহিষ্কার করিয়া দিতে কুষ্ঠিত হয় নাই । কিন্তু কমৃটি যদি বলিতে পারিলেন যে, পৃথিবী সূৰ্য্যকে প্রদক্ষিণ করিতেছে—এই পৰ্য্যন্তই যথেষ্ট, কেন করে কি বৃত্তান্ত তাহ জানিবার প্রয়োজন করে না, কৃষক তবে এ কথা না বলিতে পারিবে কেন যে, সূর্য্যের উত্তরায়ণ দক্ষিণায়ন হই | তেছে এই পৰ্য্যন্তই যথেষ্ট—কেন তাহ হইতেছে তাহা জানিবার প্রয়োজন করে না ? পণ্ডিতের জ্যোতিবিদ্যাই শুধু যে, বিজ্ঞান, কৃষকের জ্যোতিবিদ্যা যে, আদবেই বিজ্ঞান নহে, এরূপ কথা নিতান্তই