পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S(१२ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ०३ कछ, २ छ1ण কেহ যদি এক লম্ফে বিজ্ঞান আয়ত্ত করিতে যান, তবে তিনি তাহাতে কখনই কৃতকার্য্য হইতে পারেন না ;—ইতর ভাষায় যাহাকে বলে “গাছে না উঠিতেই এক কাধি” তাহার আশার দশ৷ সেইরূপ হয় । অতএব কাণ্টের দর্শন রীতিমত আয়ত্ত করিতে হইলে কাণ্টের মূল অভিপ্রায়টির প্রতি সবিশেষ প্রণিধান কর। কর্তব্য, অভিপ্রায়টি অতীব সরল এবং পরিকার—তাহার মধ্যে কূট-কচালিয়৷ কিছুই নাই, তাহা এই;—বাস্তবিক সত্যই অন্বেষ্য বিষয় । মনে কর যেন বাস্তবিক সত্য আমি মুষ্টি মধ্যে পাইয়াছি,—তবে তাহা কি সত্য-সুতাই বাস্তবিক, না কেবল তামার নিকটেই বাস্তবিক বলিয়। প্রকাশ পাইতেছে ? ইহা অামি কিরূপে জানিতে পারিব ? অতএব বিশুদ্ধ ব্যস্তবিক সত্যের, এক কথায় পারমার্থিক সত্যের, প্রমাণাভাল ; তাই বলি যে, পারমার্থিক সত্যের সম্বন্ধে তাপাততঃ উচ্চ-বাচ্য না করিয়া বাস্তবিক সত্য কতদূর প্রামাণিক তাছারই প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করা যাক। বিজ্ঞান তো বাস্তবিক সত্য অনেকট। আয়ত্ত করিয়ছে—বিজ্ঞান তো দিন দিনই বাস্তবিক সত্যের পথে এক প৷ সত্যের যতখানি প্রদেশ জয় করিয়াছে, তাহা তো বিলক্ষণই স্থনিশ্চিত—তাহ। তে। বাস্তবিকই সত্য । আর এক দিকে দেখা যায় যে, মনুয্যের কৰ্ত্তব্য-জ্ঞানের মূলে এমনি কতক গুলি প্রবল সত্য আছে | যে, সেগুলি যদি অবাস্তবিক হয় তবে মনুষ্যের সকল কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্যই বৃথা পণ্ডশ্রম হইয়া যায়। বাস্তবিক সত্যকে যে, কোন পথে অন্বেষণ করিতে চইবে—সমগ্র সভ্যসমাজ তাহা অামাদিগকে দেখাইয়া দি কোন কথার । তেছে। সভ্য সমাজকে জিজ্ঞাসা কর—সে বলিবে যে, বৈজ্ঞানিক মূলতত্ত্ব এবং নৈতিক মূলতত্ত্ব এ দুইটি বিষয় যদি বাস্তবিক না হয়, তবে বিজ্ঞান মিথ্যা—ধৰ্ম্ম মিথ্যা— সভ্যতা মিথ্যা। বিজ্ঞানের সত্য এবং কৰ্ত্তব্যজ্ঞানের সত্য—এ দুয়ের বাস্তবিকতার উপরে সভ্য-সমাজের ভরপুর বিশ্বাস ; মুখের বিশ্বাস নহে কিন্তু কাজের বিশ্বাস। সভ্যসমাজ ওড়য়ের বাস্তবিকতার উপরে যেমন বিশ্বাস করে, তেমনি কাৰ্য্য-কালে তা হার উপরে একান্তঃকরণে, নির্ভর করে। মুখে যদি ও । কেহ স্পদ্ধ করিয়া বলেন যে, বিজ্ঞান কিছুই নহে, কৰ্ত্তব্য জ্ঞান কিছুই নহে ; কিন্তু কাজের সময়ে তাহাকে অগত্যা বিজ্ঞানের উপরে ও নিভর করিতে হয় – কৰ্ত্তপ্য-বুদ্ধির উপরে ও নির্ভর করিতে হয় ; কেননা, তাহা না করলে তাহাকে বিপদে পড়িতে হয় ; দেখিয়া না শিখিলে তাহাকে ঠেকিয়া শিখিতে হয় । বিজ্ঞানকে অমান্য করিয়৷ ঘিনি জাহাজ চালাইতে যান তিনি গম্যস্থান হইতে বিচু্যত হ’ন ; কৰ্ত্তব্য বুদ্ধিকে অমান্য করিয়া যিনি স”সার নিবাহ করিতে যান তিনি পুরুদার্থ হইতে —মলুস্যের মনুস্যত্ব হইতে—বিচ্যুত হন। সভ্য সমাজে তাই দেখিতে পাওয়া যায় এক প। করিয়া অগ্রসর হইতেছে ; বিজ্ঞান | যে, পারংপক্ষে কেহই বিজ্ঞানকে ও অবহেলা করে না, কৰ্ত্তব্য-জ্ঞানকেও অবহেলা করে না । স্বাস্থ্য-রক্ষার উপায় স্থির করিবার জন্য পারৎপক্ষে সকলেই h বিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে— পরামর্শ গ্রহণ কর্তব্য স্থির করিবার জন্য সৎ লোকের করে । কণ্টের মনোগত অভিপ্রায় এই যে, বাস্তবিক সত্যের অন্বেষণ করিতে হইলে তজ্জন্য শূন্যে হাত বাড়াইবার প্রয়োজন করে না ; নুষ্য সমাজের বিজ্ঞান এবং ধৰ্ম্ম-জ্ঞানের