পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

な(?8 তেও আমরা গণিতের ধ্রুব সত্য সকল উপার্জন করি ; আর, এই দুইটি অবশু্যম্ভাবী মূলতত্ত্ব প্রাপ্ত হই যে, ব্যাপ্তি এবং মাত্রা নিৰ্দ্ধারণ ব্যতিরেকে কোন ঐন্দ্রিয়ক অবভাসকেই জ্ঞানে আয়ত্ত করা যাইতে পারেনা; যে কোন ঐন্দ্রিয়ক-অবভাসকে আমরা জ্ঞানে উপলব্ধি করি তাহারই ব্যাপ্তি এবং মাত্রা তাবশুম্ভাবী, যথা— গীত-ধ্বনি কতক-পরিমাণ কাল ব্যপিয়া এবং কতক পরিমাণ উচ্চ নীচ স্বর-মাত্রা পূরণ করিয়া আয়ত্তাভ্যন্তরে ধরা দেয় ; আলোক কতক পরিমাণ দেশ ব্যাপিয়া এবং কতক পরিমাণ ঔজ্জ্বল্যের মাত্র। পূরণ করিয়া আমাদের জ্ঞানের আয়ত্তাভ্যন্তরে ধরা দেয় । কিন্তু এটা যেন মনে থাকে যে, ঐন্দ্রিয়ক অবভাসের ব্যাপ্তি-নিরূপণ এবং মাত্রা-নিরূপণ অন্ধ ইন্দ্রিয়ের কার্য্য নহে—অবিদ্যার কার্য্য নহে, কেবল—জ্ঞানেরই তাহা কার্ষ্য; তাহ যদি ইন্দ্রিয়ের কার্ঘ্য হইত তাহা হইলে পশুরাও তাড়া করিত – ও সেই সত্রে গণিত বিদ্যা উপাৰ্জ্জন করিত । গণিত বিদ্যার সত্য-সকল যদিও আপাততঃ দেশকালরূপী অবস্থকে আশ্রয় করিয়াই নির্বিঘ্নে চলিতে পারে, কিন্তু বহিৰ্ব্বস্তুর অবলম্বন ব্যতিরেকে কোন প্রকারেক্ট তাহার আকাঙ্ক্ষা মিটিতে পারে না । গণিতের মনঃকল্পিত চতুষ্কোণ-ক্ষেত্রে কিছু আর বীজ বপন করা যাইতে পারে না,—বাস্তবিক ক্ষেত্রই গণিতের শূন্য ক্ষেত্রের চরম পর্য্যাপ্তি-স্থান । আমাদের মনে মধ্য-স্থিত গণিতের সত্যকে যদি বহির্জগতে প্রয়োগ করা সম্ভব না হইত তবে তাহার কোন মূল্যই থাকিত না । শুধু কেবল মনোরাজ্যে নহে কিন্তু তা ছাড়া—বস্তু-রাজ্যে সংলগ্ন হয় বলিয়াই, গণিতের সত্য বাস্ত १२ कन्न, २ डाँ१ --ജ= বিক সত্য নামের য়োগ্য । ঐন্দ্রিয়ক অবভাসের মধ্য দিয়া-—মনোরাজ্যের মধ্যদিয়া—বস্তু-রাজ্যে উপনীত হইতে হইবে, গণিত-বিদ্যা তাহারই দ্বার স্বরূপ । ব্যাপ্তি এবং মাত্রা নিরূপণ দ্বারা যখন আমরা কোন ঐন্দ্রিয়ক অবভাসকে জ্ঞানে আয়ত্ত করি, তখন সেই সঙ্গে আমরা এই তত্ত্বটি ধ্রুবরূপে উপলব্ধি করি যে, ঐন্দ্রিয়ক অবভাসটি গুণ-মাত্র—তাহা বস্তুকে আশ্রয় করিয়াই অবস্থিতি করিতেছে ; এই স্থান তবে আমাদের জ্ঞানের । টিতে এই একটি অবশ্যম্ভাবী মূলতত্ত্ব দেখিতে পাওয়া যায় যে, গুণ পরিবর্তন- । অন্যান্য শাল—বস্তু অপরিবর্তনীয় । তাহার পরে আমরা লক্ষ্য বস্তুটির গুণ-পরিবর্তনে বস্তুর কার্য্যকারিত উপলব্ধি করি ; এখানকার মূলতত্ত্ব এই যে, পরিবৰ্ত্তন মাত্রেরই কারণ আছে ; এবং সৰ্ব্ব-শেষে আমরা সমস্ত জগৎ জুড়িয়! পরম্পরাধীনতার প্রকাণ্ড একটা বাণিজ্য ব্যাপার জ্ঞানে উপলব্ধি করি ; এখানকার মূলতত্ত্ব এই মে, যেমন ক্রিয়। তেমনি তাহার প্রতিক্রিয়া । সৰ্ব্ব-শুদ্ধ ধরিয়া পাওয়া যাইতেছে যে, গণিত বিদ্যার মূলতত্ত্ব এই যে, ঐন্দ্রিয়ক অবভাস-মাত্রেরই ব্যাপ্তি এবং মাত্রা অবশ্যম্ভাবী ; ভৌতিক বিদ্যার মূলতত্ত্ব এই মে, ঐন্দ্রিয়ক অব পার অবশ্যম্ভাবী। পাইলেন যে, বিজ্ঞানের অভ্যন্তরেই এরূপ ভাসের আধার বস্তু, এবং সেই আধার বস্তুর উপরে আর আর বিভিন্ন বস্তুর বল-ক্রিয়া ও অন্যের বল-ক্রিয়ার উপরে সেই অাধারবস্তুর নিজের প্রতিক্রিয়, এই তিনটি ব্যাএইরূপ করিয়া কাণ্ট কতকগুলি তত্ত্ব প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে—যাহা একান্ত-পক্ষেই বাস্তবিক ; অণর ফলেও এইরূপ দেখা যায় যে, এক ব্যক্তিও তাহার বাস্তবিকতার বিপক্ষে একটি কথারও