পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه د مالا » : ?چs af দ্বিরুক্তি করে না—সকলেই তাহা সৰ্ব্বান্তঃ করণের সহিত. শিরোধার্য্য করে। কিন্তু তাহার মধ্যে একটি কথা আছে;—বাস্তবিক বলি কাহাকে ? যাহা বস্তু-গত তাহাই বাস্তবিক ; কিন্তু কাণ্টের ঐ মূলতত্ত্ব ७ति-छानब्रई नृन्नडद्ध छडज़ाः उॉश জ্ঞান-গত। এই কথাটির তাৎপৰ্য্য হৃদয়ঙ্গম করিতে হইলে নিম্ন-লিখিত দৃষ্টান্তরি প্রতি সবিশেষ মনোনিবেশ করা কত্তব্য । উপরি-উক্ত মূলতত্ত্ব-গুলি (যেমন কাৰ্য্যকারণের মূলতত্ত্ব) যদি আমরা বহির্বির্গয়ের ভূয়োদর্শন হইতে সংগ্ৰহ করিয়া পাইতাম, তবে ভূয়োদর্শনের ব্যাপ্তির সহিত তাহার নিশ্চয়তার মাত্রা অবিকল সমতুল্য হইত ; অর্থাৎ যত অধিকবার অtমরা কাৰ্য্য-কারণের ভাব বাহিরে দেখিতাম, ততই আমাদের অন্তঃকরণে কাৰ্য্য-কারণের মূলতত্ত্বটি অধিকতর নিশ্চয় বলিয়া প্রতীয়মান হইত, তা ছাড়া—তাহার নিশ্চয়তা একেবারেই অকাট্য বলিয়া প্রতীয়মান হষ্টত না । কাক কালো ইহা আমরা ভূয়োভূয় দেখিয়াছি বলিয়া তাহার নিশ্চয়তা-বিময়ে আমরা খুবই নিঃসংশয়, কিন্তু তবুও আমরা এ কথা বলি না যে, এই প্রকাণ্ড বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কোন স্থানেই সাদা কাক থাকিতে পারে না। ইহার বিপরাতে এইরূপ দেখা যায় যে, সকলেই এ কথা অকুতোভয়ে বলিতে পারে যে, অসীম ব্ৰহ্মাণ্ডের কেন-একটি স্থানেও বিনাকারণে পরিবর্তন ঘটিতে পারে না। যদি আগন্তক বস্তু-সকলের ভূয়ো-দর্শন হইতে আমরা ঐ মূলতত্ত্বট সঙ্গ হ করিয়া পাইতাম, তাহ চুইলে ঐ মূল-তত্ত্বটিও আগস্তুক-মাত্র হইত (যেমন কাক কালো এই তত্ত্বটি)—অবশ্যম্ভাবী হইত না ; তাহা আমাদের জ্ঞানের একটি নিজস্ব কাণ্টের দর্শন এবং বেদান্ত দর্শন S6 (t সম্পত্তি বলিয়াই -- তাহা জ্ঞানের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য বলিয়াই—তাহা অপশ্যম্ভাবী। বিজ্ঞানের মূলতত্ত্ব-গুলি যদি এইরূপ জ্ঞানগত ব্যাপার মাত্র হইল, তবে সে-গুলিকে আমরা বস্তু-গত বলি কেন—বাস্তবিক বলি কেন ? ইহার প্রতি কাণ্টের প্রত্যুত্তর এই যে, আমরা যে-কোন বস্তু জ্ঞানে উপলব্ধি করি তাহাতেই আমরা ঐ তত্ত্বগুলির প্রয়োগ : থিয়ে পাই ; তা শুধু बग्न- मे उद्धं क्षुलिशे तख़ु-मदएलज़ दांडবিকতার মূল উপাদান। ঐ তত্ত্ব-গুলি যদি কোন বস্তুতেই প্রয়োগ করিতে পারা না যাইত—তাচারা ' যদি অামাদের মনোমধ্যেই চাবি দেওয়া থাকিত—তাহা হইলেই তাছাদের বাস্তবিকতা সংশয়-গৰ্বে নিপতিত হইত ; তাহ হইলে তাহারা বস্তু-গত না হইয়া তামাদের স্ব স্ব মনোগত হইয়াই ক্ষান্ত থাকিত। বৈজ্ঞানিক মূলতত্ত্ব-সকলের কার্য্যই এই যে, নগরা বস্তু-সকলেতে অভিসপিত হয়—তদ্ভিন্ন তাহাদের দ্বিতীয় কাৰ্য্য নাই । বস্তু-সকলেতে সংক্রামিত হওয়াই যখন তাহাদের একমাত্র কার্য্য, আর সে কার্য্য যখন তাহারা আবহমান কাল অন্ত্রান্ত-রূপে নিম্পাদন করিয়া আসিতেছে, তখন তাহারা বাস্তবিক (বস্তু-গত) নহে তো আর কি ? তাহারা আমাদের মনোমধ্যে একদণ্ডও চাবি দেওয়া থাকে না—তাহারা সৰ্ব্ব-বস্তুতে মুক্তভাবে পরিব্যাপ্ত হয়, তাহারা যদি বাস্তবিক নহে তবে—আর কে ? এই স্থানটিতে—কাণ্ট মনে করিলেই পারমার্থিক সত্যের কূলে উত্তীর্ণ হইতে পারিতেন ; কিন্তু তাহা না করিয়া তিনি কিনারায় আসিয়া নৌকাডুবি করিয়া বসিলেন। কাণ্ট প্রথমে এই বলিয়া যাত্রারম্ভ করিয়াছিলেন যে, ইন্দ্রিয়ে যাহা প্রকাশ