পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৬১

অগ্রহায়ণ ԶԵ ծ e কাণ্টের দর্শন এবং বেদান্ত দর্শন S(ዓ গোয়ালার। আপনারাই দুগ্ধের সহিত জল । মিশায়, আবার—আপনারাই বলে যে, নির্জলা দুগ্ধ পৃথিবীর কুত্ৰাপি পাওয়া যায় না—তুমিও যে দেখিতেছি সেইরূপ কথা বলিতেছ! আসল কথা এই যে, কাণ্ট, পারমার্থিক-সত্যকে প্রাতিভাসিক রাজ্যে • প্রাতিভাসিক সত্যের মতো করিয়া দেখিতে গিয়াড়েন—তাই তিনি প্রকৃত প"রমার্থিক সত্যের পরিবর্তে এমনি একটা অপদার্থ-রকমের সত্য পাইয়াছেন যাহা J তাসত্যেরই সামিল ; তাহ এমনি একটি । তমসা ছন্ন ব্যাপার নে, জ্ঞান-জ্যোতির সঙ্গে তাহার কস্মিন কালে ও দেখা সাক্ষাৎ নাই, দেখা সক্ষাৎ হইবে ও गो–इड्रेड - حدا পারে ও না । কাণ্ট বহু কন্টে কূলের । কাছাকাছি আসিয়া “কুল দেখিতে পাওয়৷ যায় কি না—দেখা যা’ক্” এই অভিপ্রায়ে দূর-বীক্ষণ যোগে কুলাভিমূখে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলেন ; কিন্তু একটি অত্যাবশ্যক কাৰ্য্য তিমি डूलिझ। গেলেন ;—দূর-বাক্ষণের লিয়। গেলেন । এই জন্য তিনি পরিমার্থিক সত্যের কূল প্রগাঢ় তমসাচ্ছন্ন দেখিয়। হতাশ হুইয়। বলিয়৷ ডাঠলেন যে, পারমার্থিক সত্যকে জ্ঞানে ধরিতে ছুইতে পা ওয়া যায় না । জ্যোতিন্ময় জ। গ্রত জীবন্ত পারমার্থিক সত্যের পরিবর্তে কান্ট, কি দেখিলেন ? না একটা অন্ধ অনিদ্দেশ্য মৃত বস্তু—তাহা কি যে তাহার ঠিকানা নাই, আর, তাছার তিনি নাম দিলেন “The thing in itself” “A g-zāzi" (Total “তৎ-স্বরূপ’ | বেদান্ত দর্শনের পারমার্থিক সত্য যেমন সত্য-স্বরূপ—তেমনি জ্ঞান-স্বরূপ,—সেখানে সত্য এবং জ্ঞান একাধারে বর্তমান । কিন্তু কাণ্টের সেই যে “বস্তু-স্বরূপ” সেখানে জ্ঞানের জ্ঞান 2rf _ழ் একেবারেই প্রবেশ নিষেধ ; জ্ঞান প্রবেশ করিলে পাছে বস্তু-গত সত্য জ্ঞানগত হইয় উঠে এই ভয়েই কাণ্ট সর্বদ সশঙ্কিত । কিন্তু কাণ্টের এ ভয় নিতান্তই নিষ্কারণ–একটা রোগ-বিশেষ। কাণ্টের নিজের দর্শন-শাস্ত্রই আমাদের চক্ষে অঙ্গুলি দিয়া দেখাইয়া দিতেছে যে, যাহা ইন্দ্রিয়ে প্রকাশ পায় তাহা বাস্তবিক সত্য নহে – অত এল মাহ। ন্দ্রি : প্রকাশ পায় না তাহার মধ্যেই বাস্তবিক সত্যের অন্বেষণ করা কষ্টব্য ; পুনশ্চ যাহা বিশুদ্ধ জ্ঞানে প্রকাশ পায় তাহাই বাস্তবিক সত্য, অত এব যাচ। জ্ঞানে প্রকাশ পায় ন!—ত হার মধ্যে রাস্তবিক সত্যের অন্বেষণ করা বৃথা । কাণ্টের নিজেরই সিদ্ধান্ত এই যে, যাচাকে আমরা বস্তু বলিয়া আমাদের বাহিরে নির্দেশ করি তাহা ও তামাদের ব্য পার—ঐন্দ্রিয়ক ব্যা r-حہ حؤ جے= م حے جو 키 33 | কিছুই নচে । এখানে যে জ্ঞানের কথ হই ে ঢ়ে তাহা তোমার জ্ঞান বা তামার র। তার কোন জীবের জ্ঞান –নহে ; প্রাতি ভাসিক সত্যের অধিষ্ঠান-ভূত অকাশ যেমন তোমার আকাশ নহে—তামার আকাশ নহে—কিন্তু সৰ্ব্বজগতের আকাশ,—কাল যেমন সৰ্ব্বজগতের কাল, তেমনি পারমার্থিক সত্যের অধিষ্ঠান-ভূত জ্ঞান সর্ববজগতের জ্ঞান,—-জ্ঞান-স্বরূপ ; অথচ, আকাশ এবং কাল তোমার জ্ঞানে প্রকাশমান, আমার ও জ্ঞানে প্রকাশমান, সকলের জ্ঞানেই প্রকাশমান ; জ্ঞান-স্বরূপ