পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه لا ياد واة جاجاته শান্তিনিকেতন ১৩৩ গণনা কার্য্যের জন্য গণিত বিজ্ঞান, তান্ত্রিক মতের একরূপ রসায়ণ বিজ্ঞান, এইরূপ লোকসমাজের ব্যবহারোপযোগী কতকগুলি বিজ্ঞান তখন না ছিল এমন নহে । এরূপ সত্ত্বে ও আমরা বলিতে পারি না যে, প্র কত বিজ্ঞান তখন তালোক দর্শন করিয়াছিল। প্রকৃত বিজ্ঞানের অ র্থাৎ প্রামাণিক বিজ্ঞানের ভিত্তিমূল দুইটি— বিজ্ঞানের সিদ্ধান্ত-গুলি প্রত্যক্ষের নায় নিঃসংশয় । বরং প্রত্যক্ষের মধ্যে ভ্রম থাকিতে পারে (যেমন মরীচিকা দর্শন), কিন্তু এ দুইটি বিজ্ঞানের কোন স্থানে এমন একটি ও ছিদ্র নাই যাহার মধ্য দিয ভ্রম প্রবেশ পাইতে পারে --এমন একটি ও বোপ নাই যাহার আড়ালে ভ্রম লুকাইয়া থাকিতে পারে। এ দুষ্টটি বিজ্ঞান পরম্পরের সহোদর-তুল্য ; – জ্যামিতির যেমন ঋজুরেখা, যন্ত্র-বিজ্ঞানের তেমনি শলাকা বা ধারা ; জ্যামিতির মেমন বিন্দু, যন্ত্র-বিজ্ঞানের তেমনি রেণু বা অণু ; জ্যামিতির যেমন বৃত্ত, মন্ত্র-বিজ্ঞানের তেমনি চক্র ; উভয়ের মধ্যে এ-পিট ও-পিট সম্বন্ধ ;— প্রভেদ কেবল এই মে, জ্যামিতির তালোচ্য বিসয়—শুন্য তাকাশ-খণ্ড, যন্ত্র-বিজ্ঞানের অালোচ্য বিষয়—ভৌতিক বস্তু । নব্য অব্দের বিজ্ঞান কিছু তার তাকাশ হইতে পড়ে নাই—অবশ্য তাহা পুরাতন অবদ হইতেই আসিয়াছে ; কিন্তু সেই সকল পুরাতন সামগ্রীকে নব্য অব্দ জ্যামিতি এবং ঘন্ত্র-বিজ্ঞানের সাহায্যে কালোচিত নূতন করিয়া গড়িয়া লইয়। প্রামাণিক বিজ্ঞানের মূল পত্তন করিয়াছে । কাণ্ট জ্যামিতি এবং যন্ত্র-বিজ্ঞানের অভ্রান্তির উপরেই তাহার বৈজ্ঞানিক মূলতত্ত্ব সকল দৃঢ়রূপে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন। কান্ট যদি শঙ্করাচার্যের কালে জন্ম গ্রহণ করিতেন, তবে ওরূপ একটা কাণ্ড র্তাহার মনের ত্রিসীমার মধ্যেও স্থান পাইতে পারিত না। ফলেও এইরূপ দেখিতে পাওয়া যায় যে, শঙ্করাচার্য্যের কোন গ্রন্থের কোন স্থানেই প্রামাণিক বিজ্ঞানের একটি ক Q€i থারও সাড়া-শব্দ নাই। এরূপ সত্ত্বেও ইহা অল্প আশ্চর্য্যের বিষয় নহে যে, তাহার দর্শনের সত্য-নিরূপণ-পদ্ধতি আগ - গোড়াই প্রামাণিক পদ্ধতি—সেকেলে শাস্ত্রীয় পদ্ধতি বলিয়া তাহাকে যে, কেহ উড়াইয়া দিবেন, তাহার জো নাই । তিনি উপনিষাদাদি শাস্ত্র অবলম্বন করিয়াছেন বটে দি স্ত্র সে কেবল একটা উপলক্ষ মাত্র; -তিনি শস্ত্রের দোহাই দিয়া কোন কথাই বলিতে ই স্থা করেন নাই,—যেখানে শাস্ত্রায় পোন কথার উল্লেখ করিয়াছেন, সেইখনেই তিন স্বতঃসিদ্ধ জ্ঞানের অথবা যুক্তির এরূপ একটা আলোক নিক্ষেপ করিয়াছেন যে, সেই আলোকেই গণ্য-পথের ঠিকানা পাওয়৷ যাইতে পারে । শঙ্করাচার্য্যের দার্শনিক রাজ সভায়—শাস্ত্র ইংলণ্ডের অধীশ্বরের ন্যায় (সোজা কথায়—সাক্ষা গোপালের ন্যায়) সিংহাসনে উপবিট ; বিচারাদি কাৰ্য্য যাহা নিৰ্ব্বাহ করিবার তাম্বা দুই মন্ত্রা মিলিয়। নির্বাহ করে ; প্রধান মন্ত্রী স্বতঃসিদ্ধ জ্ঞান, দ্বিতীয় মন্ত্রী যুক্তি। ইংলণ্ড-বাদীরা যেমন লোক রক্ষার্থে রাজার মান রক্ষা করিয়া থাকে, শঙ্করাচার্য্য সেইরূপ শাস্ত্রের মান রক্ষা করিয়াছেন—এই পর্য্যন্ত । তিনি স্পষ্টই বলিয়াছেন যে, ধান্যার্থী যেমন ধান্যের সারাংশ গ্রহণ করিয়া আসার প - লাল-তাশ পরিত্যাগ করে, জ্ঞানার্থী সেইরূপ শাস্ত্র-সকলের মধ্য হইতে সারাংশ গ্রহণ করিয়া শাস্ত্র সকল পরিত্যাগ করবে। ক্রমশঃ | - mama শান্তিনিকেতন । প্রেরিত পত্র । • মান্যবর ত্রযুক্ত তত্ত্ববোধিনী সম্পাদক মহাশয় সমীপেযু। জেলা বীরভূমের অন্তর্গত বোলপুরের রেলওয়ে ষ্টেষণের অনতিদূরে ভক্তিভাজন শ্ৰীমন্মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের “শাস্তিনিকেতন’ নামক একটি সুন্দর উদ্যান ও উদ্যান মধ্যস্থ শোভাময় পরম রমণীয়। প্রকাণ্ড প্রাসাদ আছে। এই উদ্যান বাটির চারি