পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৩ २९ कछ, ३धान বিশুদ্ধ জ্ঞানের মূলতত্ত্বকে ঐন্দ্রিয়ক অবভাসের সহিত—অবিদ্যার সহিত—মিশ্রিত করা, খাটি সুবর্ণকে তাত্রের সহিত মিশ্রিত করা, ইহাই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ; আমাদের স্বদেশীয় ভাষায় ইহার নাম অন্বয়-পদ্ধতি (অর্থাৎ সংযোগ-পদ্ধতি )—ইউরোপীয় Weist: method of synthesis; আর, বৈজ্ঞানিক মূলতত্ত্ব হইতে অবিদ্যা-অংশ বর্জিত করিয়া তাহার বিশুদ্ধ অংশটি ছাকিয়া লওয়া, লোণার মোহর হইতে র্তাব বাদ দিয়া খাটি সোণ বাহির করিয়া লওয়া, ইহাই পারমার্থিক পদ্ধতি ; আমাদের স্বদেশীয় ভাষায় ইহার নাম ব্যতিরে কপদ্ধতি বা বিবেক-পদ্ধতি—ইউরোপীয় sistą méthod of analysis i Efè soff পদ্ধতিটিরই—সবিশেষ রসজ্ঞ ; পিবেক- ! যথা ;—যখন আমি অশ্বের সাধারণ পদ্ধতিটি বড় একটা র্তাহার মনঃপূত নহে। | কাণ্টের মনোগত ভাব এই যে খাটি যুবৰ্ণ । তো আছেই—বাড়ার ভাগ তাহার সঙ্গে । যদি তাম্র মিশ্রিত থাকে, তবে সে তে একটা উপরিলাভ—তাহা ছাড়ি কেন ? এই ভাবিয়া তিনি পারমার্থিক রাজ্যেও তন্বয়পদ্ধতি খটাইতে নিতান্তই ইচ্ছুক,—যখন দেখিলেন যে, তাহা কোন-ক্রমেই হইবার নহে—তখন তিনি পারমার্থিক সতোর অনুশীলনে বিশেষ কোন লভ্য দেখিতে না পাইয়। বিজ্ঞানের উপদ্বীপে ফিরিয়া আইলেন—.ও সেইখানেই রীতিমত আডড়া গাড়িয়া বসিলেন । আমাদের দেশের দর্শন-কারদিগের মনের ভাব তার একরূপ ; তাহা এই মে, চিনির সঙ্গে বালি মিশাইলে—বিশুদ্ধ জ্ঞানের সঙ্গে অবিদ্যা মিশাইলে—তাহাতে ক্ষতি ভিন্ন লভ্য কিছুই নাই ; কেননা, এক তো বালির নিজের কোন মূল্য নাই, তাহাতে আবার তাহ চিনির মূল্য কমাইয়া দেয়; অতএব চিনিকে বালি হইতে পৃথক্ করাই সর্বতোভাবে কর্তব্য । পারমার্থিক তত্ত্ব নিরূপণের সময় আমাদের দেশের দর্শনকারেরা আহলাদের সচিত বিবেক-পদ্ধতি অবলম্বন করিয়াছেন ; কাণ্ট অগত্যা তাহা করিতে বাধ্য হইয়াছেন ; এই জন্যই পারমার্থিক সত্যের প্রতি কাণ্টের এত অনাস্থা । কিন্তু আপাতত আমরা কাণ্টের অনাস্থা দ্বৈধ এবং সংশয়—এ সব ব্যাপার পর্তব্যের । মধ্যেই আনিব না—ৰ্তাহার মূল কথাটিতেই কেবল আমরা দৃষ্টি নিবদ্ধ করিব । আমরা দেখিতেছি যে, বৈজ্ঞানিক সত্যের অনুশীলন-কালেই অল্পস এবং ব্যতিরেক এই দুইটি পদ্ধতি দুইটি বিভিন্ন স্থলে—একটি একরূপ স্থলে এবং আরএকটি অার একরূপ স্থলে – অবলম্বনীয় ; তত্ত্বগুলির পরিচর লাভ করিতে ইচ্ছা করি, তখন আমি বিশেষ বশেষ জাতীয় অশ্বের (যেমন আরব অশ্বের, বর্ম অশ্বের, তাতার অশ্বের) বিশেষ বিশেষ লক্ষণ-গুলি বর্জন করিয়া, অশ্ব-জাতির সাধারণ লক্ষণ-গুলিই গ্রহণ করি; ইহারই নাম ব্যতিরেক-পদ্ধতি। কিন্তু যখন আমি আরব অশ্বের শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় লাভ করিতে ইচ্ছা করি, তখন অশ্ব-জাতির সাধারণ লক্ষণের সঙ্গে আরবঅশ্বের বিশেষ লক্ষণ-গুলি সংযুক্ত করিয়া আরব অশ্বের বিশেষত্ব অবধারণ করি ; ইহারই নাম অস্বয়-পদ্ধতি। এইরূপ দেখা যাইতেছে যে,একরূপ স্থলে আমরা ব্যতিরেক পদ্ধতি অবলম্বন করি—আর-একরূপ স্থলে অন্বয় পদ্ধতি অবলম্বন করি । বৈজ্ঞানিক সত্যের বেলায় তো এইরূপ-- কিন্তু পারমার্থিক সত্যের বেলায় উভয়-পদ্ধতিই যুগপৎ (অর্থাৎ এক সঙ্গে)অবলম্বনীয়, যথা ;—ব্যতিরেক-পদ্ধতি অনুসারে জ্ঞান