পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سوانهج দ্যোপান্ত সমস্তই তিমিরাচ্ছন্ন করিয়া রাখিয়াছেন—সেই ধূলি-রাশি অপসারিত করিয়া অনেক কষ্টে তবে আমরা পথটির অন্ধি-সন্ধি পাইয়াছি,—যাহ পাইয়াছি ; দের আয়াতে আছে বটে কিন্তু তাহা ভাব মাত্ৰ—সে ভাবের অনুরূপ একটিও বস্তু তাহা আমরা যত পারি সংক্ষেপে বিবৃত করিতেছি । t কাণ্টের অভিপ্রায় এই যে, প্রথমে বস্তু-গণ, তাহার পরে কার্য্য-কারণ, তাহার পরে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া—এই তিনটি তত্ত্ব উত্তরোভর ক্রমে অবলম্বন করিয়া আমরা আত্ম-তত্ত্ব হইতে প্রকৃতি-তত্ত্বে এবং প্রকৃতিতত্ত্ব হইতে পরমাত্ম-তত্ত্বে উপনীত হই, যথা ;—মনে কর প্রথমে আমরা পৃথিবীকে একটি বস্তু বলিয়া অবধারণ ক্রমে দেখিতে পাইলাম যে, পৃথিবী তাপনাতে আপনি পর্য্যাপ্ত নহে—তাহ৷ সূৰ্য্য হইতে উদ্ভত এবং সূর্য্যের আকর্ষণে বিস্তৃত; ళ్ళొ

অতএব, গ্রহ উপগ্রহ সূৰ্য্য সমস্ত ধরিয়৷ তবেই তাহ একটি সমগ্র বস্তু; পৃথিবী কে- | বল তাহার একটি অঙ্গ—এই পৰ্য্যন্ত ; তা’ ভিন্ন—সমগ্র বস্তুর ভাব পৃথিবীতে পাওয়া যাইতে পারে না। অতএব সমগ্র বস্তুর ভাব যাহা আমাদের অন্তরে আছে—তাহার মতো একটি সৰ্ব্বাঙ্গান বস্তু আমরা প্রকৃতিরাজ্যে কুত্ৰাপি দেখিতে পাই না ; ঘাহাকেই তামরা বস্তু বলিয়া ধরি—তাহারই নিকটে শুনি যে, “আমার বস্তু অামাতে | নাই—আমি আমাতে নাই ; ” পৃথিবী বলে যে, আমার বস্তু সূর্য্যে রহিয়াছে, সূৰ্য্য আবার আর-এক সূৰ্য্যকে দেখাইয়। দেয় ;—পেয়াদার নিকটে যাই সে পেস্কারকে দেখাইয়া দেয়—পেস্কারের নিকটে যাই সে নায়েবকে দেখাইয়া দেয়,— নায়েবের নিকটে যাই সে জমিদারকে দেখাইয়া দেয়—ক্রমাগতই এইরূপ উদ্ধ হইতে উৰ্দ্ধে জিজ্ঞাসার চালান ইইতে তত্ত্ববােধিনী পত্রিকা করিলাম ; }

  • २ कब्र, २ छ१

থাকে, কোথাও আর কুল-কিনারা পাওয়া যায় না । ইহাতে এইরূপ পাওয়া যাইতেছে যে, সমগ্র বস্তুর একটি ভাব আমা প্রকৃতি-রাজ্যের কুত্ৰাপি দেখিতে পাওয়া যায় না । বস্তুর ভাব যাহা অামাদের অ ন্তরে অাছে, তাহ অবশ্য বস্তুর সত্তাকে অণকাঙক্ষ করে ; এই জন্য প্রকৃত বস্তুকে কোথাও দেখিতে না পাইলেও আমরা অামাদের অন্তরস্থিত বস্তু-ভাবের অা কাঙক্ষ। . মিটাইবার জন্য—াহাকে সম্মুখে পাই তাহাকেই বস্তু বলিয়া অবধারণ করি— দুধের সাধ ঘোলে মিটাই। বেদান্ত-দর্শনের মতে এট। এক প্রকার পুত্তলিকার বিবাহ দেওয়া ; পুত্তলিকার বিবাহ যেমন মিথ্যা বিবাহ—যাহাকে আমরা সচরাচর বস্তু বলিয়। অবধারণ করি তাহ ও সেইরূপ মিথ্যা বস্তু । সত্য বস্তু তবে কি ? আপাততঃ পৃথিবীকেই সমগ্র একটি বস্তু বলিয়া অবধারণ করা যাক ; এখন, এই পৃথিবীর সঙ্গে অবশিষ্ট সমস্ত জগতেরই ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া চলিতেছে—তাহ এরূপ যে, পৃথিবীর যদি একটি রেণু-কণা বিকম্পিত হয় —তবে সেই সূত্রে সমস্ত জগৎ ন্যনাধিক পরিমাণে বিকম্পিত হইবেই হইবে । সমস্ত জগতের সহিত পৃথিবীর এই যে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, ইহা পৃথিবীর অভ্যন্তরেই চলিতেছে ; এইজন্য এই ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারটিকে যদি হস্তের অভ্যন্তরে পাওয়া যায়, তাহা হইলে পৃথিবীর অভ্যন্তরেই সমস্ত জগৎকে প্রাপ্ত হওয়া যায়—ও সমস্ত জগতের অভ্যন্তরে একই পরম বস্তুর উপলব্ধি হয় ; তাহ হইলে যে বস্তুকে আমরা অন্বেষণ করিতে ছিলাম সেই বস্তু আমাদের হস্তগত হয়।