পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

C औश्॥ :) Ե ) e جيمسيسجg تصrص. কাণ্টের দর্শন এবং বেদান্ত দর্শন ১৩৯ এইরূপ দেখা যাইতেছে যে, আমাদের অন্তরে বস্তুর ভাব বাহ। বিদ্যমান আছে – সমস্ত জগতের মূলাধারকে প্রাপ্ত হইলে তবেই তাহার আকাঙ্ক মিটিতে পারে ; আর, তাছা হইলেচ পাওয়া যায় যে, যিনি সমস্ত জগতের মূলাধার পরব্রহ্ম তিনিই প্রকৃতির মূল-কারণ পরমেশ্বর এবং তিনিই আত্মার অন্তরাত্মা পরমাত্ম। এখানকার প্রকৃত মৰ্ম্ম-কথাটি এই ; -- প্রথমে বস্তুজিজ্ঞাসা; কাণ্ট বলেন যে, বস্তুর ভাবএকটি আমাদের আছে বটে কিন্তু তাহ। বস্তুর জ্ঞান নহে ; “ব স্ত্রর ভাব” না বলিয়৷ যদি “বস্তু-জিজ্ঞাসা”বলা যায়, তাহ হ ইলে কাণ্টের ঐ কথাটি সকলেরই সহজে হৃদয় দেয় ; ইত্যাদি ;—এইরূপ বিফল পরিভ্রমণকেই ভ্রম বলে—ভ্রান্তি বলে ; ইহাতেই কাৰ্য্যের কারণ, তাহার কারণ, তস্য কারণ, এইরূপ কাৰ্য্য-কারণময় প্রকৃতির আপেক্ষিক অস্তিত্ব প্রতিপন্ন হয় । তাহার পরে য স্তু-জ্ঞান ; ইহাতে প্রত্যেক বস্তুর অভ্যন্তরে সমস্ত বস্তুর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও সেই সূত্র সমস্ত জগতের ঐক্য-বন্ধন প্রতীয়মান হয় . আর তাহাতেই প্রত্যেক বস্তুর অভ্যন্তরে সর্বজগতের মূলাধারকে পাইয়া সামাদের অন্তরস্থিত বস্তু-ভাবের সমস্ত আকাঙক্ষ মিটিয়া যায়। এইরূপে, ঙ্গম হইতে পারে ; কেননা, “বস্তু জি- ; জ্ঞাসা" বলিবা-মাত্রই বুঝায় সে, জিজ্ঞাত্ত ব্যক্তির মনে বস্তুর ーエ - ভাব একটি আছে কিন্তু বস্তু-জ্ঞান এখনো হয় নাই ; কেনন। এক দিকে যেমন বস্তুর ভাব না থাকিলে বস্তু-জিজ্ঞাসা উদিত হইতে পারে না, আর-এক দিকে তেমনি বস্তু-জ্ঞানের অ একদিকে আমরা বস্তুর ভাব হইতে কাৰ্য্যকারণময় নানা বস্তুতে এবং নানা বস্তু । হইতে ক্রিয়-প্রতিক্রিয়াময় সমস্ত জগতে এবং সেই সূত্রে সর্ব-মূলাধার পরম পুরুমে উপনীত হই; আর-এক দিকে বস্তু-জিজ্ঞাসা হইতে বস্তু-ভ্রমে এবং বস্তু-ভ্রম হইতে বস্তুজ্ঞানে উপনীত হই; জীবাত্মা হইতে প্রকৃ তিতে এবং প্রকৃতি হইতে পরমাত্মাতে ভাব না থাকিলেও বস্তু-জিজ্ঞাসার কোন ৷ অর্থ হইতে পারে না ; অতএব কাণ্টের এই যে একটি কথা—যে, বস্তুর ভাব এবং বস্তু-জ্ঞানের অভাব, ইহার ল্যাজ। মুড়া একত্র করিয়া দেখিলেই দেখিতে পাওয়া যায় যে, তাহ। আর কিছু নয়— বস্তু-জিজ্ঞাসা । “বস্তু-জিজ্ঞাসা” বলিবামাত্রই জিজ্ঞাস্তর অস্তিত্ব—জীবাত্মার অ উপনীত হই । কাণ্টের পথ অনুসরণ করিয়া চরমে আমর। এইরূপ পাইতেছি যে, সত্য জি জ্ঞাসা—জাবাত্মার অস্তিত্বের সাক্ষাৎ পরি চায়ক ; সত্য-ভ্রম প্রকৃতির অস্তিত্বের সা ক্ষাৎ পরিচায়ক ; এবং সত্যজ্ঞান পরমা- ৷ স্মার অস্তিত্বের সাক্ষাৎ পরিচায়ক। আরো স্তিত্ব—প্রতিপন্ন হয় ; অতএব বস্তুর ভাব এবং বস্তু-জ্ঞানের অভাব যাহা আমাদের আছে, তাহাতেই জীবাত্মার অস্তিত্ব প্রতিপন্ন হইতেছে। তাহার পরে বস্তু-ভ্রম ; যেমন, প্রথমে পৃথিবীকে বস্তু বলিয়া ভ্রম হয়—পৃথিবী সূৰ্য্যকে দেখাচয় দেয় ;– সূৰ্য্য আবার আর-এক সূৰ্য্যকে দেখাইয়৷ এই যে, সত্য জিজ্ঞাসার আড়ালে সত্যজ্ঞান লুকাইয়া রহিয়াছে এবং লুকাইয়। থাকিয়া সত্য জিজ্ঞাসাকে উস্কাইয়া দিতেছে। সত্য-জিজ্ঞাসা একটি হরিণ; তাহার নাভিতেই কস্ত রি (সত্যজ্ঞান) রহিয়াছে; হরিণটি সেই কন্তুরির গন্ধে আকৃষ্ট হইয়া সমস্ত বনময় ঘুরিয়া বেড়াইতেছে,—ভ্ৰমারণ্যে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে ; যখন কোথাও তাহার সন্ধান না পাইয়া অবশেষে হতাশ