পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

=r :ു-ു:ാങ്ങ+لٹس--العسٹثٹث-"؛:سمان ساشاعت شاعشا তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ـ ـہے-ـیــہ ---ک

  • २ कü, २ उtण T*

১৭s =--ജ --ബ- - হইয়। বসিয়া পড়ে—তখন সত্যজ্ঞান তাহার তৃষিত নয়নে আবিভূত হয় ; মেদিনী গ্রীষ্মতাপে উত্তপ্ত হইলে, তবেই বর্ষার বারিধারা আসিয়া তাহার সমস্ত তাপ দূর করিয়া দেয় । কাণ্টের দর্শন-গ্ৰন্থ ইহার একটি জাজ্বল্যমান উদাহরণ ;—কাণ্টের দর্শনের গোড়ার কথাটিতেই বেদান্তের এই তত্ত্বটি বীজ-ভাবে প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে যে, সৰ্ব্ব-মূলাধার পরমাত্মাই পরাকাষ্ঠা পারমা- ৷ র্থিক সত্য, অথচ—কাণ্ট তাহা দেখিয়াও দেখেন নাই ; এই জন্য র্তাহার গ্রন্থের শেষ-ভাগে যখন তিনি ঐ তত্ত্বটিকে প্রকাশ্যে আনয়ন করিতে চেষ্টা করিলেন, তখন তিনি তাহার মূল খুজিয়া না পাইয়া বিষম এক ধন্দচক্রে নিপতিত হইলেন,— র্তাহার নাভিতেই যে কস্ত রি রহিয়াছে ইহা তিনি একেবারেই বিস্মৃত হইয়। গেলেন । কাণ্টের দর্শন যদি তেমন একজন পাক বারিস্টারের আড় প্রশ্নোত্তরের (Cross examination Gazi ) পাল্লায় পড়ে, তবে তাহার সমূহ বিপদ উপস্থিত হয়, যথা ;– বারিষ্টারের প্রশ্ন । তুমি এ কথা বলিয়াছ—যে, ইন্দ্রিয়াভ্যন্তরে কোন একটা বহির্বস্তুর গুণ-সঞ্চার হইলে ধীশক্তি জাগ্রত হইয়া উঠিয়া সেই বহির্বস্তুকে আপনার আয়ত্তাভ্যন্তরে অানিতে যায় ? কাণ্টের উত্তর । ই উহা আমারই কথা বটে । প্রশ্ন । তুমি আর-এক স্থানে এ কথা বলিয়াছ যে, আমরা যাহাকে বহির্বস্তু বলি তাহা জ্ঞানেরই একটি ব্যাপার—জ্ঞানছাড়া তাহ কিছুই নহে ? এরূপ কথা বলিয়াছ কি না ? উত্তর । আমি এই বলিয়াছি যে, আমরা যাহাকে বস্তু বলি তাহা আমাদের জ্ঞানেরই একটি ব্যাপার। বাহির হইতে গুণ-পরম্পরা একটি-একটি করিয়া ইন্দ্রিয়ক্ষেত্রে উপস্থিত হয়—আমাদের ধীশক্তি জাগ্রত হইয়া সেই-সমস্ত বিচ্ছিন্ন গুণ-পরম্পরার মোট বাধিয়া সমস্তটা এক যোগে গ্রহণ করে, আর এইরূপ স্থির করে যে, সে-যাহা সে গ্রহণ করিল তাহ শুদ্ধ কেবল গুণ-সমষ্টি, কিন্তু তাহার মূলে বস্তু কোননা-কোন অবশ্যই আছে,—কিন্তু সেই যে,বস্তু,তাহ ইন্দ্রিয়-ক্ষেত্রে অনুপস্থিত,— ইন্দ্রিয়-ক্ষেত্রে গুণই কেবল উপস্থিত; বস্তু । ইন্দ্রিয়-ক্ষেত্রে অনুপস্থিত—অথচ আমাদের জ্ঞানের ইহা একটি ধ্রুব তত্ত্ব যে, ' তাহ আছেই আছে—তাহ না থাকিলেই व्षझा | তাই বলি যে, বস্তু-তত্ত্ব শুদ্ধ কেবল আমাদের জ্ঞানেরই একটি ব্যাপার, প্রত্যয়েরই ব্যাপার, তাহা ইন্দ্রিয়ের ব্যাপার নহে—বহিব্যাপার নহে। ইহার একটি উদাহরণ ;—মনে কর “ঈ” এই ধ্বনিটি উচ্চারণ করিতে ঠিক দুই মুহূর্ত সময় লাগে ; আর, মনে কর সেই ঈ-ধ্বনিটি আমার কর্ণে উপস্থিত হইল। দুই মুহূর্ত ধরিয়া ঈ ধ্বনিত হইল ; সুতরাং প্রথম মুহুর্তে সমস্ত ঈ-ধ্বনি নহে—তখন শুদ্ধ কেবল “ই” এইটুকু উপস্থিত হইয়াই চলিয়া গেল এবং দ্বিতীয় মুহূর্তে সেইরূপ আর একটি “ই’ উপস্থিত श्रुझेल ; অতএব আমাদের ইন্দ্রিয়-ক্ষেত্রে কোন মুহূর্ভেই সমগ্র ঈ-ধ্বনি (দীর্ঘঈ) উপস্থিত হয় নাই—দুই মূহুর্তে দুইটি “ই” (হ্রস্বই) পরে পরে উপস্থিত হইল—এই পর্য্যন্ত । ইন্দ্রিয়-ক্ষেত্রে যখন দুই মুহূর্তে দুইটি হ্রস্ব ই ক্রমান্বয়ে উপস্থিত হইল—জ্ঞান তখন কি করিল ? না সেই দুইটি হ্রস্বই'র মোট বাধিয়া একটি দীর্ঘ ঈ গড়িয়া তুলিল ; এই রূপ দেখা যাইতেছে যে ইন্দ্রিয় ক্ষেত্রে