পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wor-- جسيم مم. وله ع- - পৌৰ 》W)● ७कौिं ठूक्ष हे উপস্থিত হইয়াই চলিয়া গেল এবং তথায় অার একটি হ্রস্ব ই উপস্থিত হইল—এই মাত্র ; সমগ্র দীর্ঘ ঈ কোন কালেই ইন্দ্রিয়-ক্ষেত্রে উপস্থিত । হয় নাই ; সুতরাং সমগ্র দীর্ঘ ঈ জ্ঞানেরই একটি ব্যাপার—তাহ ইন্দ্রিয়ের ব্যাপার । নহে । ত। শুধু নয়—ধরিতে গেলে হ্রস্ব ই । দুইটিও জ্ঞানেরই গড়িয়া-তোল জিনিস। কেননা, দুই মুহূর্ভে যেমন - ঘ ঈ বাহির । হইয়াছে, এক মুহূৰ্ত্তে তেমনি হ্রস্ব ই বাহির হইয়াছে ; অৰ্দ্ধ-মুহূৰ্ত্তে হ্রস্ব ই অপেক্ষাও হ্রস্বতর ই বাহির হইয়াছে—সন্দেহ নাই ; অতএব, জ্ঞান যেমন দুই হ্রস্বই’র ; মোট বাধিয়া এক দীর্ঘ ঈ গড়িয়া তুলি হ্রস্ব ই গড়িয়া তুলিয়াছে। এইরূপ উত্ত আইসে—হুস্ব ই ধরিতে গেলে হ্রস্বতর ই আইসে—হুস্বতর ই ধরিতে গেলে আরো হ্রস্বতর ই আইসে—ঈ-ধ্বনির মূলান্বেষণ অবশেষে হ্রস্বতম ই’তে গিয়া ঠেকে ; কিন্তু হ্রস্বতম ই ধরিতে ছুইতে পাইবার বস্তু নহে—জ্যামিতিক বিন্দুর ন্যায় তাহ। শুদ্ধ কেবল জ্ঞানেরই একটি ব্যাপার। ব্যাপারটি ঠিকৃ—“ছিল টেকি হ’ল তুল, কাটিতে কাটিতে নিৰ্ম্মল!" অতএব নিছক যাহা ইন্দ্রিয়-ক্ষেত্রে উপস্থিত হয়, তাহা কিছুই না বলিলেই হয় ; ঐন্দ্রিয়ক গুণ-পরম্পরাকে জ্ঞান যখন নিজগুণে—ত্ত্বস্ব ই বা দীর্ঘ ঈ বা একটা কোন কিছু করিয়া গড়িয়া তোলে তখনই তাহ জ্ঞানের বিষয় হইয়া দাড়ায় । কিন্তু জ্ঞানের সেই যে বিষয় ( যেমন ঈধ্বনি) তাহ ঐন্দ্রিয়ক গুণ-পরম্পরারই সমষ্টি-বন্ধন ; ইন্দ্রিয়-ক্ষেত্রে কেবল গুণই উপস্থিত হইয়াছে ( যেমন ই ই ) তাহা ছাড়া আর ১৭১ কিছুই উপস্থিত হয় নাই ; অতএব ইহা নিঃসংশয় যে, ঐন্দ্রিয়ক অবভাসের অভ্যন্তরে "বস্তু” যাহা আমরা অবধারন করি, তাহাতে ইন্দ্রিয়ের আদবেই কোন হস্ত নাই –তাহ নিছক জ্ঞানেরই একটি ব্যাপার । প্রশ্ন । তুমি বলিতেছ যে, আমরা যাহাকে বস্তু বলি তাহা আমাদের জ্ঞানেরই এক।ঢ ব্যাপার এখন তোমাকে জিজ্ঞাসা করি যে, সেরূপ জ্ঞান-গত বস্তু ছাড়া জ্ঞানা তাত বস্তু আছে কি না ? ইহার তুমি কি উত্তর দেও ? উত্তর । জ্ঞানাতীত বস্তু অাছে কি না তাহ। আমি জানি না ; কেন না, মনে কর যেন তাহ বাস্তবিকই आझ-दिख তাহা আমার জ্ঞানাতীত, সুতরাং তাহার রোত্তর ক্রমে, দীর্ঘ ঈ ধরিতে গেলে হ্রস্ব ই থাকা-না-থাকা বিষয়ে আমি হঁ! কি না কোন কথাই বলিতে পারি না । প্রশ্ন | জ্ঞানাতীত বস্তু আছে কি না তাহাই যেন তুমি জান না, কিন্তু জ্ঞানাতীত বস্তু কাৰ্য্য করে —এটা অবশ্য তুমি জান ? কাণ্ট । এ আবার কিরূপ প্রশ্ন ! আছে কি নাই—তাহাই যখন আমি জানি না, তখন তাহা কার্য্য করে কি করে না তাহা অামি কিরূপে জানিব ? তোমার সন্তোষের জন্যই হউক্‌, বা আমার আপনার মনকে প্রবোধ দিবার জন্যই হউক— আমি যেন বলিলাম যে, তাহা কাৰ্য্য করে ; কিন্তু তাহ আছে কি নাই তাহ আমি জানি না—সম্ভবতঃ এমনও হইতে পারে যে, তাহা মূলেই নাই, তাহা যদি হয় তবে আমার সে কথা কোথায় রহিল ? যে—কাৰ্য্য করিবে সে নাই অথচ আমি বলিতেছি যে, সে কার্য্য করিতেছে ! ইহা অপেক্ষ হাস্য জনক ব্যাপার আর কি