পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭২ ৷ তত্ত্ববােধিনী পত্রিক O == --------

  • ** *mesmo - - - = ** *m- *-----

আছে ? অতএব আমি যখন বলিলাম যে, আছে কি নাই তাহা আমি জানি না, তখন তাহাতেই তোমার বুঝা উচিত ছিল যে, কার্য্য করে কি করে না তাহাও আমি জানি না । প্রশ্ন। জ্ঞানাতীত বস্তু আছে কি নাই তাহাও তুমি জান না, কাৰ্য্য করে কি করে না তাহাও তুমি জান না ; কিন্তু এটা তুমি নিশ্চয়ই জানে যে, বহির্বস্তু কাৰ্য্য করে ; কেন না তুমি গোড়াতেই বলিয়াছ যে, বহির্বস্তু ইন্দ্রিয়ের উপর কাৰ্য্য করিয়া তোমার জ্ঞানকে জাগাইয়া তোলে । জ্ঞানাতীত বস্তু কাৰ্য্য করে কি করে না—এইটিই তুমি জান না ; কিন্তু বহির্বস্তু কাৰ্য্য করে—এটা তুমি বিলক্ষণই জান ;—তবেই হইতেছে যে, তুমি যাহাকে বহির্বস্তু বলিতেছ তাহা জ্ঞানাতীত বস্তু নহে। আবার, ইইও তুমি বলিয়াছ যে, সেই যে বহিব স্তু, যাহা তোমার ইন্দ্রিয়ের উপরে কার্য্য-করে, তাহা তোমার ছন্দ্রিয়-ক্ষেত্রে উপস্থিত হয় না ; সুতরাং তাহা তোমার ইন্দ্রিয়ের ব্যাপার নহে ; তাহা জ্ঞানেরই একটি ব্যাপার। কেনন। তুমি ইতিপূর্বে বলিয়াছ যে,ইন্দ্রিয়-ক্ষেত্রে বস্তু উপস্থিত হয় না—গুণই উপস্থিত হয়। তা শুধু নয়— তোমার কথা অনুসারে অারে। এইরূপ দাড়ায় যে, গুণের মোটবন্ধন-কাৰ্য্যেও জ্ঞানের বিলক্ষণ হস্ত রহিয়াছে, অতএব ধরিতে গেলে–গুণও জ্ঞানেরই একটি ব্যাপার; কিন্তু সে কথা এখন যাইতে দেও। এখন কেবল বস্তুর কথা হইতেছে । তোমার চরম সিদ্ধান্ত তবে এই ;—বহিব স্তু ইন্দ্রিয়ের উপরে কার্য্য করে ; আর, সেই যে বহিব স্তু যাহা ইন্দ্রিয়ের উপরে কার্য্য করে, তাহা জ্ঞানের নিজেরই একটি ব্যাপার। তবেই হই তেছে যে, সেই যে বহিব স্তু যাহা তোমার জ্ঞানের নিজেরই একটি ব্যাপার তাহাই তোমার ইন্দ্রিয়ের উপরে কার্য্য করিয়া তামার প্রস্তুপ্ত জ্ঞানকে জাগ্রত করিয়া তুলে । এখন কথা হচ্চে এই যে, তোমার জ্ঞান যদি গোড়াগুড়িই জাগ্রত থাকে, তবে তাহাকে জাগাইয়া তুলিবার জন্য অন্য কিছুর সাহায্য আবশ্যক হয় না ; আর, তোমার জ্ঞান যদি প্রস্তুপ্ত থাকে, তবে তাহার নিজেরই একটি ব্যাপার কিরূপে তাহাকে জাগাইবে ? প্রস্তুপ্ত জ্ঞানের . “ব্যাপার”আবার কি? ব্যাপার বন্ধ থাকা’র । নামই তো প্রস্তুপ্তি। প্রস্তুপ্ত জ্ঞান (ব্যাপার ' খরচ করিয়া) কিরূপেই বা আপনাকে অাপনি জাগাইবে? তুমি যখন নিদ্রায় অভিভূত, তখন কি তুমি আপনাকে আপনি জাগাইতে পার—না তুমি পড়িয়া গেলে আপনাকে আপনি স্কন্ধে করিয়৷ উঠাইতে পার ? ইহ। সুনিশ্চিত যে, প্রস্তপ্ত ব্যক্তি নিজের কোন ব্যাপার দ্বারা আপনাকে আপনি জাগাইয়া তুলিতে পারে না । কিন্তু তুমি বলিতেছ যে, বহিব স্তু—যাহা তোমার জ্ঞানের ( প্রস্তুগু জ্ঞানের ) নিজেরই একটি ব্যাপার, তাহাই তোমার প্রভুপ্ত জ্ঞানকে জাগাইয়। তোলে ! এটা কিরূপে সন্তবে ? কান্ট যে ইহার কি উত্তর দিবেন — আমরা তো তাহা খুজিয়া পাইতেছি না। আমরা বেদান্তের কূলে নিরাপদে দণ্ডায়মান হইয়া দেখিতেছি যে, কান্ট এত কিনারায় আসিয়াছেন যে, ডাঙায় উঠিলেই হয় ; তাহ না করিয়া তিনি শুধু শুধু অনর্থক—সাধ করিয়া—সংশয়ের তুমুল তরঙ্গে হাবুডুবু খাইতেছেন। গোড়াতে কান্ট এই কথা বলিলেই সমস্ত বিবাদ মিটিয়া যাইত যে, বস্তুতত্ত্ব সর্ববাদি সম্মত—অতএব তাহা যে,

  • २ कछ, २ ठीण : --च्च्चय