পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नौष*४०० = কাণ্টের দর্শন এবং বেদান্ত দর্শন শুধু কেবল তোমার জ্ঞানের একটি ব্যাপার বা আমার জ্ঞানের একটি ব্যাপার— তাহা নহে, তবে কি ? না তাহ সৰ্ব্বসাধারণতঃ জ্ঞানের একটি ব্যাপার, তাহ। সৰ্ব্বজ্ঞানের ব্যাপার ; প্রত্যেক জ্ঞানের অভ্যন্তরেই সর্বজ্ঞানের কার্য্য চলিতেছে ; প্রস্থ গু জ্ঞানের অভ্যন্তরে ও সাবিজ্ঞান জাগ্রত রহিয়া:ছ—অর্থাৎ সর্বজ্ঞ পুরু- জাগ্ৰত অাড়েন । | “য এষ স্বপ্তেযু স্বপ্তেযু জাগত্ত্বি কামং কামং | পুরুষো নির্মিমাণ; তদেব গু ক্রং তদ,ম তদ পায়ু ন মুচ্যতে তস্মিন লোক: শি ত: সৰ্ব্বে তদু নাত্যেত কশ্চন।”—কঠোপনিষদ। ইচার অর্থ;—স্বপ্তেতে স্বপ্তেতে জাগ্রত থাকিয়া মিনি সকলেরই প্রয়োজনীয় বিময়সকল নিৰ্ম্মাণ করেন তিনিই শুক্র তিনিই ব্রহ্ম তিনিই অসুত বলিয়। উক্ত চ’ন; সর্লজগৎই তাহাকে তা শ্রা করিয়৷ রহিয়াছে, ' কেহই তাহাকে অতি ক্রম করিতে পারে । না। অতএব সেখানে যত বস্তু আছে সম- | স্তই সেই সনবজ্ঞানেরই ব্যাপার ; সৰ্ব্বজ্ঞানই প্রস্থ স্ত ব্যষ্টি-জ্ঞানকে (জীবাত্মার ! পরিমিত জ্ঞানকে) জাগাইয়। তুলিবার মূলা- ৷ ধার। যদি বল যে, তুমি সর্বজ্ঞানকে কি ! রূপে জানিলে ? তবে তাহার উত্তর এই | যে, আমি এই যে ব্যষ্টি জ্ঞান—আমি সৰ্ব্বজ্ঞানেরই অংশ,–এই সম্পর্ক-সূত্রে আমি সৰ্ব্বজ্ঞানকে জানিতেছি । যেমন খণ্ড অণকাশ দেখিবা-মাত্র আমি অসীম মহাকাশকে সেই সূত্রে উপলব্ধি করি,—সেইরূপ, ব্যষ্টি জ্ঞানের অভ্যন্তরে সর্বজ্ঞান উপলব্ধি করি। আমাদের ব্যষ্টি-জ্ঞানের অ-fন্তরেই যে, সৰ্ব্ব জ্ঞান জাগ্রত রহিয়াছে— #ffgst-5 gtCFTA (limited experience4*) অভ্যন্তরেই যে, সার্বভৌমিক নির্বিকল্প প্রকাশ পায় । জ্ঞান ভিতরে ভিতরে জাগিতেছে,—কা- { ১৭৩ ণ্টের সমস্ত গ্রন্থ আদ্যোপান্ত জুড়িয়া তাহার একটি অকাট্য প্রমাণ । কেননা, কাণ্টের সমস্ত মূলতত্ত্ব-গুলিই সার্বভৌমিক এবং নিবি কল্প –একটি ও ব্যক্তিগত নহে । ইহাতেই প্রতিপন্ন হইতেছে যে, জীবের পরিচ্ছিন্ন জ্ঞানের অভ্যন্তরে সত্যং জ্ঞান মনন্তং ব্রহ্ম—জাগ্রত রহিয়াছেন । ইহাই বেদান্ত । অামাদের এখানকার মন্তব কথা ট সংক্ষেপে এই ;— প্রথমে, সত্য-জিজ্ঞাসা ; মূল সত্য কি —ই হার অম্বেনণ ; জিজ্ঞাসা কোথা হ জ্ঞানের অভাব-বোধ জিজ্ঞাসা হয় না কাহার ? না প্রথমতঃ যাহার মূলেই জ্ঞান নাই তাহার ; দ্বিতীয়তঃ যাহার জ্ঞানের অভাব-বোধ নাই তাঁচার । জিজ্ঞাসাতে কি প্রকাশ পায় ? এই প্রকাশ পায় যে, জ্ঞান ও অাছে ইতে উৎপন্ন হয় ? হইতে । —জ্ঞানের অভাব বোধ ও অাছে ; জিজ্ঞা সাতে জ্ঞানাজ্ঞান প্রকাশ পায়—অল্প-জ্ঞান এইরূপ দেখা যাইতেছে নে, স ত্য-জিজ্ঞাসা তল্ল জ্ঞ জীবের অস্তি پی_r f | ত্বের পরিচায়ক | তাহার পরে সত্য ভ্রম ;—জিজ্ঞাসার প্রথম উদ্যমে তামরা যাহাকে তাহাকে মূল সত্য বলিয়া অবধারণ করি ; সন্দারের উপরে ও যে সদার রহিয়াছে— এট। আমর ভুলিয়া যাই । কেহ বলেন যে, মাস্ত্রক বলই মূল সত্য ; কেহ বলেন তাড়িত পদার্থই মূল সত্য ; কেহ বলেন প্রাণই মূল সত্য; ইত্যাদি। বৈদান্তিক ভাষায় ইহারই নাম রজুতে সপ-ভ্রম, অসত্যে সত্য-ভ্রম—অবিদ্যা । অবিদ্যাতে কি প্রকাশ পায় ? এই প্রকাশ পায় যে, জগতের মধ্যস্থিত কোন বস্তুরই সত্তা আপনাতে আপনি পর্য্যাপ্ত নহে – সমস্তই আপেক্ষিক ; বৈদান্তিক ভাষায়—জগতের