পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

£" }* ১৭৪ ৷ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা “ –7=ਨ਼ २ कब्र; २ ז"זס সমস্ত বস্তুই সদসদাত্মক,কোন বস্তুই বিশুদ্ধ সৎ পদার্থ নহে। এইরূপ দেখা যাইতেছে যে,সত্যভ্রম সদসদাত্মক প্রকৃতির অস্তিত্বের পরিচায়ক । তাহার পরে সত্য জ্ঞান ; মূল সত কি—সৰ্ব্ব জগতের মূলাধার কি—এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসার সময়েও এটা আমাদের ধ্রুব বিশ্বাস যে,মূল সত্য আছেই আছে— আপেক্ষিক সত্যের মূলে নিরবলম্ব স্বয়ন্থ সত্য না থাকিলেই নয় । এইরূপ অভ্রান্ত নিশ্চয়তাতে কি প্রকাশ পায় ? না জ্ঞানের নিজ মাহাত্ম্য —জিজ্ঞাসা কোথা হইতে উৎপন্ন হয় ? জ্ঞানের অভাব-বোধ হইতে ; অভ্রান্ত নিশ্চয়তা ঠিক তাহার উণ্ট দিক্‌ হইতে—জ্ঞানের প্রভাব-বোধ হইতে— । অভ্রান্ত নিশ্চয়তাতে ইহাই | প্রকাশ পায় যে, জীপের অল্প জ্ঞানের । তাই। যদি করিতে হয়, সেই সৰ্ব্বজ্ঞানের প্রভাবেই জীবের অল্প । জ্ঞান এবং প্রকৃতির সদসদাত্মক আপেক্ষিক । উৎপন্ন হয় । অভ্যন্তরে সর্বজ্ঞান জাগিতেছে –এবং সভা উভয়ই প্রাণ ধারণ করিতেছে । কাজেই বলিতে হইতেছে যে, তাম্ৰান্ত সত্যজ্ঞান সত্যং জ্ঞানমনন্তং পরত্রহ্মের অস্তিত্বসূচক । এইরূপ দেখা যাইতেছে যে, কাণ্টের দর্শন-গ্রন্থের গোড়া হইতে শেষ পর্যন্ত বৈদান্তিক সত্যের একটি অন্তঃশিলা সরস্বতী নদী তলে তলে প্রবাহিত হইয়া চলিয়াছে ; কিন্তু হইলে হইবে কি—এক সৰ্ব্ব গ্রাসী সংশয় আসিয়া তাহার সমস্ত উদ্যম ব্যর্থ করিয়া দিয়াছে। পারমার্থিক সত্য ঐ যাহা দেখা গেল তাহা বাস্তবিক সত্য । —বস্তুগত সত্য—না শুদ্ধ কেবল আমাদের জ্ঞানগত সত্য, এইটির মীমাংসা করিতে গিয়া কাণ্ট অতলস্পর্শ সংশয়-সাগরে নিমগ্ন হইলেন । যদি এমন হইত যে, আমাদের জ্ঞান একটা স্বষ্টিছাড়া বস্তু—আমাদের জ্ঞানের সহিত কোন বস্তুরই কিছুমাত্র সসম্পর্ক নাই—তাহা হইলে কাণ্টের ঐরূপ ংশয়ের অর্থ থাকিত। কিন্তু আমাদের জ্ঞান যখন ভিতরে ভিতরে সমস্ত প্রকৃতির সহিত এবং সমস্ত জ্ঞানের সহিত যোগসূত্রে আবদ্ধ—জ্ঞানই যখন সমস্ত জগতের সারাংশ এবং সমস্ত বাস্তবিকতার মূল, তথন জ্ঞান-গত পারমার্থিক সত্য কিসে যে অবস্তবিক তাহা আমরা বুঝিতে পারি না । উলটা আরো দেখা যায় যে, র্যাহারা বাস্তবিক সত্যের প্রয়াসী তাহারা ঐন্দ্রিয়ক অবভাসকে তুচ্ছ করিয়া বিশুদ্ধ জ্ঞানেরই শরণাপন্ন হ’ন ;—অবিদ্যার পথই অবাস্তবিক মৃগ তৃষ্ণার পথ,জ্ঞানের পথই বাস্তবিক সত্যের পথ । বিশুদ্ধ জ্ঞানের সত্য ঐন্দ্রিয়ক সত্য নহে বলিয়াই কি তাহাকে অবাস্তবিক বলিয়া সিদ্ধান্ত করিতে হইবে । তবে শুধু তত্ত্বজ্ঞান কেন – বিজ্ঞান ও এক-মুহুৰ্ত্ত-কাল টেকেন না। তাহা হইলে দাড়ায় যে, পৃথিবীকে কেহ ঘুরিতে দেখে নাই – অতএব পৃথিবী ঘুরিতেছে ইহা সত্য নহে। এইরূপ আপেক্ষিক জ্ঞানের (মিশ্র জ্ঞানের) কথাতেই যখন আমরা বিশ্বাস না করিয়া ক্ষান্ত থাকিতে পারি না, তখন বিশুদ্ধ জ্ঞানের কথা তাহা অপেক্ষ। আরো কত না শ্রদ্ধেয় । কাণ্টের দর্শন হইতে সংশয়ের আবরণটি অপসারিত করিলেই আমরা অমূল্য সত্যরত্বের দর্শন পাই—নচেৎ এমনি এক বিষম পাকচক্রের আবর্তে পড়িয়া যাই যে, সেখান হইতে উদ্ধার পাওয়া দেবতারও অসাধ্য। বেদান্ত-দর্শনে ঠিক্‌ ইহার বিপরীত দেখা যায় ; বিশুদ্ধ জ্ঞানের প্রতি সংশয় দূরে থাকুক—তাহার প্রতি শ্রদ্ধার পরাকাষ্ঠাই বেদান্ত-দর্শনের ভিত্তি-ভূমি । কাণ্ট বিশুদ্ধ জ্ঞানের নিজ-মূৰ্ত্তি হইতে