পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Tनौव ۰ و با মুখ ফিরাইয়। বিজ্ঞানের অভ্যন্তরে তাহার ছায়া যাহা দেখিতে পাইলেন তাহাকেই সৰ্ব্বস্ব করিলেন। একজন ছুতার মিস্ত্রী । একটা হীরক তাম্বেষণ করিয়া পাইয়াছে; ; কাণ্টের দর্শন এবং বেদান্ত দর্শন বেদান্তের এই যে, পথ-বৃত্তান্ত—বিবেচনা করিয়া দেখিলে—ইহা এক দিনের পথ-বৃত্তান্ত ;—অবশ্য ব্রহ্মার এক দিন। এJ কেবল সঙ্গীতের নীচের সা হইতে যাত্রা কিন্তু তাহ হীরক কি না তাহ ঠিক করিতে না পারিয়া এই বলিয়া মনকে প্র- ; রহিয়াছে—জিজ্ঞাসা'র উপর পারা যায়- আপাততঃ এই ঢের । ৫ জন । বোধ দিল যে, ইহাতে তো কাচ কাটিতে জহরী সেই হীরকটি পাইয়। তাহণকে অাপনার কণ্ঠ ভরণ করিয়। রাখিল । , দর্শন এবং বেদান্ত-দর্শন দিয়ের মধ্যে প্রভেদ এই যে, কাণ্টের দর্শন ছুতার মিস্ত্রী, কাণ্টের । বেদান্ত দর্শন জহুরী ; আর, দুয়ের মধ্যে : ঐক্য এই যে, কাণ্টের দর্শন ও হীরক (পার মার্থিক সত্য) হস্তে পাইয়াছে, বেদান্ত দর্শনও তাহ হস্তে পাইয়াছে। কান্ট । বিশুদ্ধ জ্ঞানকে দিয়া বিজ্ঞানের ভিত্তিাল দৃঢ় করিয়া গাপ ষ্টলেন—বেদান্ত দর্শন বিশুদ্ধ জ্ঞানকে সিংহাসনে বসাইয়া তাহাকে আপনার সর্ববস্ব সমপণ করিলেন । এক যাত্রায় কত না পৃথক ফল ! বেদান্ত দর্শনের সকল কথা সবিস্তরে বলিতে গেলে বৃহৎ এক পুস্তক হইয়া দাড়ায়, তাহ না করিয়া আমরা যত সংক্ষেপে পারি তাহার সার সিদ্ধান্তটি বিবৃত করিয়াই এবারকার মতো ক্ষান্ত হইব । বেদান্তের পথ-বৃত্তান্ত সংক্ষেপে এই ;—এপারে ব্রহ্ম-জিজ্ঞাসা, ওপারে ব্ৰহ্ম-জ্ঞান, মাঝখানে ভ্রম-নদী । ভ্রম-নদী একই নদী - ৪-পার হইতে দেখিলে তাহ। ঈশ্বরের ঐশী-শক্তি, এ-পার হইতে দেখিলে তাছাই জীবের অবিদ্যা । ভ্রম নদী পার হইয়া ও-পারে যাইতে হইবে— নাহার উপায় অবলম্বন করাই সাধন । ভ্রম-নদীর ও-পারে পে ছিলেই ব্রহ্ম-জ্ঞানের উদয় ছয় এবং ব্রহ্ম জিজ্ঞাসার নিবৃত্তি হয় ; ইহাই মুক্তি । কাজে লাগিতে পারে না । রম্ভ করিয়া এক সপ্তক পার হইয়। উপরের সা’য়ে যাওয়া; কিন্তু সপ্তকের উপর সপ্তক জিজ্ঞাসা রহিয়াছে– ব্রহ্ম-জ্ঞানের উপর ব্রহ্মজ্ঞান রহিয়াছে—মু Lপর মুক্তি রহিয়াছে ; তবে কি না । —এক সপ্তকের সন্ধান' জানিতে রিলেই সামান্ততঃ সকল সপ্তকেরই সন্ধান জানিতে পারা যায় –সেীর-জগতের সন্ধান জানিতে পারিস্ট্রেই সামান্য তঃ সকল জগতেরই সন্ধান জানিতে পারা । যায় । অতএব, বিজ্ঞানকে কমূট ७३ যে একটি কথা বলিয়াছেন যে, সৌর-জগতের বাহিরে যাইবার প্রয়োজন নাই—সেরজগতের বৃত্তান্তটিই ভাল করিয়া জন, এটি অতি সংপরামর্শ তাহাতে আর ভুল নাই। আমরা তাই বলি যে, বেদান্ত এক সপ্তকের বৃত্তান্ত বলিয়া ক্ষান্ত হইয়াছেন—ভালই করিয়াছেন, কেননা সাধনের পক্ষে সেইটুকুই কেবল প্রয়োজন,— তাড়ার অধিক তাপাততঃ কাহারো কোন ব্ৰহ্মজ্ঞান হইলেই জীবের মুক্তি হইবে—এইটি বুঝিলেই মনুষ্য ব্রহ্মজ্ঞানের অনুশীলনে যত্নবান হইতে পারে ; ইহার উপরে অধিকন্তু এইটুকু কেবল টীকা করা আবশুক যে, ব্রহ্ম-জিজ্ঞাসার প্রথম উদ্যমেই যে, সমগ্র ব্রহ্মজ্ঞান উপার্জিত হইবে ইহা অসম্ভব। প্রথম উদ্যমের জিজ্ঞাসার উত্তরে প্রথম উদ্যমেরই ব্রহ্মজ্ঞান— প্রথম উদমেরই মুক্তি—উপার্জিত হইতে পারে । তাহার পরে দ্বিতীয় উদ্যমের জিজ্ঞাসার পর দ্বিতীয় উদ্যমের মুত্তি— ।