পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৩ এইরূপ তৃতীয়-চতুর্থ—ইত্যাদি অনন্ত ব্যাপার প্রসারিত রহিয়াছে। জীবাত্মা সাধন-দ্বারা অবিদ্যা হইতে প্রথম-ধাপের মুক্তি লাভ করিলে পরমাত্মা যে তাহাকে কতখানি কৃতার্থ-করিবেন, তাহ পরমাত্মারই হস্তে । সুতরাং তাহা বলিবার কছিবার কথা নহে—তাহ বলিবার কহিবার অধিকার কাহারো নাই—ক্ষমতাও কাচারো নাই। তাহা সাধনের ব্যাপার নাচে যে, তাহার কেহ উপদেশ দিবেন । তাছা উচ্ছাসেরই ব্যাপার—পরমাত্মার স্ব চস্তের ব্যাপার—প্রসাদামৃত-বর্মণ ! তাহা উপদেশের কোন ধারই ধারে না । ব্যাকরণ * শিখিবার সময় কালিদাস অবশ্য তাচার্যের রোত্তর বন্ধনচ্ছেদ হয় ; উপদেশ গ্রহণ করিয়াছিলেন, কিন্তু শকু ন্তলা লিখিবার সময় তিনি কাহারো উপদেশ গ্রহণ করেন নাই—তাহা যদি করিতেন তবে তাহার শকুন্তলা মহাভার, নর শকুন্তলার দ্বিতীয় সংস্করন-মাত্ৰ হই ল, তাহার অধিক আর কিছুই হইত না। উ । সের ব্যাপার উপদেশের বিময় নহে, তাই বেদান্ত দর্শন এই বলিয়াই এক কথায় স”ক্ষেপে সারিয়াছেন যে, ব্রহ্মজ্ঞান হষ্টলে —জীব-ব্রহ্মের ঐক্য উপলব্ধি হইলেষ্ট ब्रे মুক্তি হয়। কিন্তু তাহ বলিয়। উচ্ছাসের । ব্যাপার-টি কাহারো উপেক্ষনীয় হইতে । পারে না । মনে কর যেন জীবাত্মা অবি দ্যার বন্ধন হইতে মুক্তি লাভ করিয়াছে – তাহা হইলে সে কোথায় যাইবে ? অবশ্য পরমাত্মার ক্রোড়ে । এ অবস্থায়, জীবাত্ম৷ র্যাহার প্রসাদে মুক্তি লাভ করিয়াছে র্তা চাকে কত না প্রীতি সমপণ করিলে— আর, তখনও কি পরমাত্মার অমৃত ভাণ্ডার ফুরাইয়া যাইতে পারে ? জীবাত্মা যখন পরমাত্মাতে প্রীতি সমর্পণ করিতেছে,তখন পরমা স্নার ভাণ্ডারে কি প্রীতি-ধনের এতই omo অনটন যে, জীবাত্মার প্রীতির তিনি প্রত্যুত্তর-দানে অসমর্থ হইবেন ? কখনই না ! পরমাত্মার প্রেম-ভাণ্ডার অপরিসীম ; তিনি আপনার সমস্ত ঐশ্বৰ্য্যই জীবাত্মাকে মুক্ত হস্তে ঢালিয়া দিবেন–জীবাত্ম। তাহা গ্রহণ করিতে পারিলে হয় ! তিনি আপনাকে পদ্যন্ত ঢালিয়া দিলেন—অথচ তাহার অক্ষা ভাণ্ডার কোন কালেই ফুরাইবে না—“আর কিছুই দিবার নাই” এরূপ হইবে না, জীবাত্মার ও “আর কিছুই গ্রহণ করিবার নাট” এরূপ হইবে না । डाइँ 를 আমরা বলি যে, জীবাত্মার উত্তরোত্তর সাধনের পপি। কাবস্থায় তা বিদ্যার উত্ততার মাখন নখন বন্ধন-ছেদ হয় তখন তখনই জীবাত্মাতে পরমাত্মার প্রভ{ল বিকসিত হয় এবং প্রসাদ অবতীর্ণ হয় ; এইরূপ—পরমাত্মার উ লুরো দ্যর প্রসাদ-পৰ্শণই জালাল্লার উত্ত(ं तं दृ न ग्र' द्ध । সমস্ত লেদান্তের এবং কাণ্টের তাদ্যো পান্ত সমন্নয় করিয়া দেখিয়৷ অমর। পাই তেছি যে, প্রথমতঃ সত্য জিজ্ঞাস জীবাত্মারই জিজ্ঞাসা—পরম দ্বার নহে ; এইখানটিতে জালাল্লা পরমা দ্যার মধ্যে ছায়াতপের প্রভেদ | দ্বিতীয়তঃ সত্য জ্ঞান জীবাত্মার এবং পরমায়ার উভয়েরই —মূলে তাহ পরমা তুার এবং তাহার প্রসাদে তাহা জীবা ত্বার । ঐক্য । তৃতীয়তঃ জীবের সত্য জিজ্ঞাসার অভ্যন্তরে যেমন সত্য জ্ঞান বীজ-ভাবে প্রচচ্ছন্ন রহিয়াছে তেমনি তাহার সত্য-জ্ঞানের অভ্যন্তরেও উচ্চতর সত্যের জিজ্ঞাসা প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে ; পরমাত্মার সত্য জ্ঞান পরিপূর্ণ, এই খনটিতে জীবাত্মা-পরমাত্মার 》曼 ཟ༧༣།༣ ভাগ