পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, বেদ প্রকৃতির মধ্যে কিরূপ সম্বন্ধ এবং জীবাত্মার ; প্রকরণে এই কথার উল্লেখ তাহার সমা সাধন-পদ্ধতিই বা কিরূপ, তাহার সালো- ৷ ১৭৭ সত্য-জ্ঞান স্বরূপ-জ্ঞান, জীবাত্মার সত্য জ্ঞান তাহার আভাস মাত্র ; এইটি ব্যক্ত করিবার অভিপ্রায়েই বেদান্ত-দর্শন বলেন যে, পরমাত্মা স্বরূপ-চৈতন্য—জীবাত্মা অা ভাস চৈতন্য । এইথানটিতেই জীবাত্মপরমাত্মার ভেদাভেদ;– জীবাত্ম। পরমাত্মারই প্রতিবিম্ব—এইটিই উভয়ের ভেদ ; ভিন্ন—এইটিই উভয়ের প্রভেদ । অতঃপর ন্তের মতে জালাল্লা পরমাত্মা এবং চনায় প্রবৃত্ত হওয়া যাইতেছে । ক্রমশঃ । বেহালা পঞ্চত্রিংশ সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ । ৩০ কান্তিক বুধবার ১৮১০ শক । আজকাল অনেকের এইরূপ বিশ্বাস হওয়া গৃহস্থেরই ধৰ্ম্ম । যে গৃহস্থের ব্রহ্মোপাসনায় অধিকার নাই। প্রতি ঔদাস্য তাহার কারণ আছে। ইন্দ্রিয়র্তাহারা বলেন শাস্ত্রকারেরা অরণ্যবাসী ও সন্ন্যাসাদিগের পক্ষেই একমাত্র ব্রহ্মের । উপাসনা নিদিষ্ট করিয়াছেন। আর সংসারা গৃহস্থের পক্ষে দেবদেবীর অর্চনা ও | কেবল জ্ঞান দ্বারা নিষ্পন্ন করেন । আর প্রতিবিম্ব অবশ্য মূল-জ্যোতি হইতে | পঞ্চযজ্ঞের অনুষ্ঠানই পর্য্যাপ্ত। বর্তমানে লোকের এইরূপ সংস্কার । বড় ভ্রান্ত সংস্কার। জীবের মুক্তি নাই, পরম কারুণিক প্রাচীন ঋষিরা যে সেই মুক্তির নিদান ব্রহ্মজ্ঞানে ংসারী গৃহস্থকে অনধিকারী করিয়াছেন ইহা নিতান্ত উন্মত্ত-প্রলাপ । মহর্ষি মনু এই ভারতভূমির ধৰ্ম্মসংস্থাপক ও সমাজ ংস্কারক। বেদার্থোপনিবন্ধুত্বাং প্রাধান্যং হি মনোঃ স্মৃতং । মনু বেদোক্ত পথ হইতে কিন্তু এইটি ব্ৰহ্মজ্ঞান ব্যতীত নয় । স্মৃতিকারদিগের মধ্যে র্ত হার সর্বপ্রাধান্য। সেই মনু কহিয়াছেন— জ্ঞানেলৈ পাপরে বিপ্রা যজন্তোতৈর্মথৈঃ সদা । জ্ঞানমূলাং ক্রিয়ামেষাং পশ্যন্তে জ্ঞানচক্ষুষ। গৃহস্তের প্রতি যে পঞ্চযজ্ঞ বিহিত আছে অপর ব্রহ্মপরায়ণ ব্রাহ্মণের। তৎসমুদায় সেই জ্ঞান এই ;ে তারা জ্ঞানচক্ষু উপনিষৎ, প্রমাণে জানেন যে একমাত্র পরব্রহ্মই পঞ্চযজ্ঞাদি তাবৎ বস্তুর আশ্রয় । মনুর যে প্তিতে টাকাকার অতি পরিষ্কাররূপে কহি- . 可忆互可一 শ্লোক ত্রয়েণ ব্রহ্মনিষ্ঠানাং বেদসন্ন্যাসিনাং গৃহস্থানামনী দি পুসঃ । লেদ সন্ন্যাসী অর্থাৎ বেদবিহিত কৰ্ম্মত্যাগী ব্রহ্মনিত গৃহস্থগণের প্রতি ইহাই বিধি। এক মনু প্রমাণেই প্রতিপন্ন হয় যে বেদবিহিত কৰ্ম্মত্যাগ পূর্বক ব্রহ্মনিষ্ঠ তবে যে ইহার দমন, ব্রহ্মে মতি ও রতি হইবার প্রধান কারণ। অবশ্য বাহ্য পূজায় ইহা উপেক্ষিত তাহাতে ও সংযমের বিধি আছে । বলিতে কি, ব্যবহারত সেই বিধির উপর লোকের ততটা নির্ভর দেখা যায় না। কিন্তু যিনি ব্রহ্মলিপ ইন্দ্রিয়দমন তাহার পক্ষে একান্তই অপরিহায্য । এমন কি ইন্দ্রিয়নিগ্রহ ব্যতীত কাহারই ব্রহ্মজ্ঞানে অধিকার জন্মে না। মনুষ্য প্রাণের তৃপ্তি লইয়াই ব্যতিব্যস্ত । এইটী তাহার অধীনতা । তাহার প্রতিস্রোতে যাওয়াই তাহার স্বাধীনতা । প্রাণের তৃপ্তির হেতু একমাত্র প্রকৃতি । বেদান্ত শাস্ত্র ইহাকে অবিদ্যা বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। জ্ঞানের মুখ্য কাৰ্য্যই