পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t 雷 बाँष * ९० - ಗ `# مكا সমস্ত বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের মূল উপাদান । যাহার চক্ষু আছে তিনি এক মুহুর্তেই দেখিতে পান যে, হেগেলের সত্তাগুণ এবং কপি লের সত্ত্ব-গুণ –হেগেলের অসত্তা-গুণ এবং | এবং কপিলের তমোগুণ—হেগেলের বুভূষা গুণ এবং কপিলের রজোগুণ—একই ব্যাপার। যদি জিজ্ঞাসা কর যে, সত্ত্ব-রজস্তমো গুণ বস্তুটা কি, তবে নিম্নে তাহা ভাঙিয়া বলিতেছি ;— বিশেষ বিশেম বস্তুর বিশেষ বিশেষ গুণ আছে ; যেমন মনুষ্যের মনুষ্যত্ব গুণ, পশুর পশুত্ব গুণ, কাটের কাটত্ব গুণ, ইত্যাদি । কিন্তু পশুত্ব-গুণের ভিতর মনুম্যত্ব-গুণের অভাব রহিয়াছে, কীটত্ব-গুণের ভিতর পশুত্ব- গুণের অভাব রহিয়াছে ; প্রতোক বস্তুতেই একদিকে যেমন গুণ-বিশেষের সত্তা আছে, আর এক দিকে তেমনি গুণ-বিশেমের তাভাব আছে ; আবার যা কাণ্টের দর্শন এবং বেদান্ত দর্শন মনুষ্য সত্ত্ব-গুণাত্মক, তমোগুণাত্মক । হারই অভাব আছে, তাহারই অভাব-পূর- ' ণের একটা-না-একটা চেষ্টা আছে (উদ্ভিদের যেমন—মৃত্তিকা ভেদ করিয়া আলোকে উত্থান করিবার চেষ্টা) ; এইরূপে পাওয়া যাইতেছে যে, নিখিল বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের প্রত্যেক বস্তুতেই সত্তা, সত্তার অভাব অভাব-পূরণের চেষ্টা তিনই পরিসত্তাই এবং মাণ-বিশেষে বর্তমান রহিয়াছে । সত্ত্ব-গুণ, সত্তার এবং অভাব-পূরণের চেষ্টাই রজোগুণ । দীর্ঘ-প্রস্থ-বেধ যেমন পরস্পর-সাপেক্ষ, সাংখ্য-যতে সত্ত্ব রজ স্তমো গুণ সেইরূপ পরম্পর-সাপেক্ষ । পুষ্করিণী কত হাত দীর্ঘ, ইহা মাপিয়া দেখিলেই কিছু আর পুষ্করিণী মাপা হয় না ; তা ছাড়া—তাহ কত হাত চওড়া ও কত হাত গভীর তাহাও মাপিয়া দেখা আবশ্যক। তেমনি, কোনএকটি বস্তুকে জ্ঞানে আয়ত্ত করিতে হইলে অভাবই তমোগুণ । ゞb^○ তাহাতে সভা (সত্ত্বগুণ) কতটুকু তাহা শুধু জানিলে চলিতে পারে না; তা ছাড়া—তাহাতে সত্তার অভাব (তমোগুণ) কতটুকু এবং সেই অভাব-পূরণের চেষ্টাই বা কতটুকু, তাহাও জানা চাই। যেমন ;—মনুষ্যে সভার ভাগ--সত্ত্ব-গুণের অংশ—পশু-অপেক্ষা বেশী ; কেননা, পশুভে মনুষ্যত্ব নাই; কিন্তু মন্তষ্যে পশুত্বও আছে এবং তা ছাড়া পশুত্বে নিয়ামক মনুষ্যত্বও আছে; সুতরাং সত্তার ভাগ পশু অপেক্ষা মনুষ্যে দ্বিগুণ বেশী। মনুষ্যে, যেমন, পশু অপেক্ষা সভার ভাগ বেশী, তেমনি, দেবুতা-অপেক্ষা সত্তার ভাগ কম ; কেননা, পশুতে যেমন মনুষ্যত্বের অভাব রহিয়াছে, মনুষ্যে তেমনি দেবত্বের অভাব রহিয়াছে ; এই জন্য বলা যাইতে পারে যে, পশুর তুলনায় দেবতার তুলনায় আবার, মনুষ্যেতে দেবত্বের সেই যে অভাব, তাহার পূরণ-চেষ্টা বিষয়ী লোক অপেক্ষা সাধকমণ্ডলীতে অধিক পরিমাণে দৃষ্ট হয় ; এই জন্য বলা যাইতে পারে যে, দেবতার তুলনায় সাধক রজোগুণ ক্রান্ত—বিষয়ী তমোগুণাক্রান্ত । মনুষ্যের সম্বন্ধে এ যেমন দেখা গেল, তেমনি—জগতের প্রত্যেক বস্তুতেই সত্ত্বরজো এবং তমোগুণ অপেক্ষাকৃত নু্যনাধিক পরিমাণে বর্তমান রহিয়াছে। সাংখ্যের মতানুযায়ী মূল প্রকৃতি এবং দৃশ্যমান জগৎ দুয়ের মধ্যে ভেদাভেদ বুঝিতে হইলে নিম্ন-লিখিত উপমাটির প্রতি প্রণিধান করিলেই তাহা পরিষ্কার-রূপে বোধায়ত্ত হইতে পারিবে ;— মনে কর একটি জ্যোতির্বিন্দু হইতে তিন বর্ণের তিনটি কিরণ-পূচ্ছ ত্রিধ বিকীর্ণ হইয়া দেয়ালের গাত্রে নিপতিত । হইয়াছে ;—একটি পুচ্ছ পীত-প্রধান,