পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>b-8 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ७२ कझ, २ छान बिडीग्रा? লোহিত-প্রধান, ੋ নীল- | জ্যোতিবিন্দুর অভ্যন্তর হইতেই তিন-রঙা প্রধান। আবার, যে-টি পীত-প্রধান তাহার মুখ্য অংশ সুপীত, মধ্যম অংশ রক্তিম পীত, শেষাংশ নীলিম পীত ; যেটি লোহিতপ্রধান, তাহার মুখ্য অংশ স্থলোহিত, মধ্যম অংশ পাতিম লোহিত, শেষাংশ নীলিম লোহিত ; যেটি নীল-প্রধান তাহার মুখ্য অংশ সুনীল, মধ্যম অংশ রক্তিম নীল, শেষাংশ পাতিম নীল। আবার সুপীতের মধ্যেও মুখ্য সুপীত, রক্তিম সুপীত, এবং নীলিম স্থপীত রহিয়াছে ; স্বলোহিতের মধ্যেও মুখ্য স্বলোহিত, পীতিম স্থলোহিত, নীলিম স্থলোহিত রহিয়াছে ; সুনীলের মধ্যেও মুখ্য সুনীল, রক্তিম সুনীল, এবং পাতিম সুনীল, রহিয়াছে। অতএব সুনীলও ঐকান্তিক নাল নহে, সুপীতও ঐকান্তিক পীত নহে, স্থলোহিতও ঐকান্তিক লোহিত নহে,— সমস্তই আপেক্ষিক ব্যাপার । সংক্ষিপ্ত নাম-করণের অনুরোধে আমরা পীতপ্রধান পুচ্ছটিকে পীত বর্ণ বলি, সত্ত্বপ্রধান গুণকে সত্ত্বগুণ বলি ; নীল-প্রধান বর্ণকে নীল-বর্ণ ও তমঃপ্রধান গুণকে তমোগুণ বলি ; লোহিত-প্রধান বর্ণকে লোহিত বর্ণ এবং রজঃপ্রধান গুণকে রজোগুণ বলি । জ্যোতির্বিন্দু হইতে যেমন তিন বর্ণের তিনটি কিরণ পুচ্ছ বিকীর্ণ হইয়া কোথাও বা অপেক্ষাকৃত বিশুদ্ধ ভাবে কোথাও বা অপেক্ষাকৃত বিমিশ্রভাবে দেয়ালের গায়ে নিপতিত হইয়াছে ; মুল প্রকৃতি হইতে তেমনি সত্ত্বরজস্তমো গুণ বিকীর্ণ হইয়া কোথাও বা অপেক্ষাকৃত বিশুদ্ধ-ভাবে কোথাও বা অপেক্ষাকৃত বিমিশ্র ভাবে পরিণত হইয়াছে । । কিন্তু ঐ যে তিন বর্ণের তিনটি কিরণ-পুচ্ছ, যাহা দেয়ালে নিপতিত হইয়াছে, তাহ। যে, অর্থাৎ প্রাকৃতিক সভা অসন্তা-দ্বারা পরিচ্ছিন্ন—সত্ত্বগুণ তমোগুণ দ্বার হইয়া বাহির হইয়াছে ; সুতরাং জ্যোতিবিন্দুর অভ্যন্তরেও বিভিন্ন বর্ণত্রয় বর্তমান রহিয়াছে—বলিতে হইবে ; কিন্তু সেখানে কি ভাবে বর্তমান—বিকীর্ণ ভাবে না সংকীর্ণ ভাবে ? বিভিন্ন বর্ণক্রয় সেখানে অবশু) অতীব সংকীর্ণ-ভাবে—সমাহিত ভাবে— অবস্থিতি করিতেছে ; কাজেই সেখানে বর্ণ-ত্রয় মিলিয়া মিশিয়া শ্বেত বর্ণে একাকার। এইরূপ ন্যায়ে, দৃশ্যমান জগতে গুণত্রয় বিকীর্ণ ভাবে অবস্থিতি করিতেছে; মূল প্রকৃতিতে গুণত্রয় একাকারে সমাহিত রহিয়াছে। সাংখ্যকার তাই বলেন যে, মূল-প্রকৃতি সত্ত্বরজস্তমোগুণের সাম্যাবস্থা অর্থাৎ একাকার ভাব। হেগেলও তাহার দশন-গ্রস্থে প্রতিপাদন করিয়াছেন যে, বুদ্ধির মূল-প্রদেশে সত্তা এবং অসত্তা একীভূত । সাংখ্য যেমন বলেন যে, প্রকৃতি সত্ত্বরজস্তমোগুণাত্মক, বেদান্ত তেমনি বলেন মায়া সদসদাত্মক ; সদসদাত্মক— পরিচিছন্ন । অতএব সাংখ্য এবং বেদান্ত উভয়েরই এক বাক্য এই যে, প্রাকৃতিক সত্তা আপেক্ষিক সত্তা—স্বতন্ত্র সত্তা নহে। বেদান্তের মতে পরমাত্মাই বিশুদ্ধ সৎ পদার্থ—তিনিই সং স্বরূপ । যেমন মনুস্য এবং মনুষ্যত্ব, তেমনি সৎ এবং সত্ত্ব; একটি বস্তু—আর-একটি গুণ। অসত্তার প্রতিযোগিতা (Contrast) ব্যতিরেকে কোন গুণই প্রকাশ পাইতে পারে না ;—অন্ধকারের প্রতিযোগেই আলোক অভিব্যক্ত হয়, পশুত্বের প্রতিযোগেই মনুষ্যত্ব অভিব্যক্ত হয়, ইত্যাদি । এই জন্য, প্রাকৃতিক সত্তার মধ্যে—সত্ত্বগুণের মধ্যে—রজস্তমোগুণের প্রতিযোগিতা অন্ত