পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ ১৮১ e שרה-ס-פ আলোকে উডয়ন করিবার জন্য সৰ্ব্বদাই পক্ষ বিস্তার করিতে থাকে—কিন্তু বারবার ভূতলে আছাড় খায় । আর অধিক চরিত্র বর্ণনা আবশ্যক করে না—ফল কথা এই যে, অভাব হইতে অভাবের পূরণ চেষ্টা উৎপন্ন হয়—অহঙ্কার হইতে মন উৎপন্ন হয় ; সর্প হইতে পক্ষী উৎপন্ন হয়। মন অভাব-পূরণের জন্য অীর ; আর, ত{হার প্রণালী পদ্ধতি এইরূপ ; যথা ;—পরিচিচ্ছন্ন সত্ত-সকলের—একের যাহা আছে—অন্যের তাহা নাই ; আবার, একের যাহ। নাই অন্যের তাহ আছে ;—সকলে যদি সদ্ভাবে সম্মিলিত হয়, তবে পরস্পরের সাহায্যে সকলেরই | অভাব পুরিত হইতে পারে ; অতএব অভাব পূরণের পদ্ধতি দুইরূপ (১) পরিচ্ছিন্ন সভা-সকলের মধ্যে মোগ-বন্ধন—ইহাতে করিয়া সমষ্টির প্রভাব-দ্বারা ব্যষ্টির অভাবপূরণ হয় ; এবং (২) মূল সত্তার প্রভাব স্মরণ—ইহাতে করিয়া সমষ্টির অভাবপূরণ হয়। নীচে যোগ-বন্ধন হয় এবং উপর হইতে প্রভাব-স্ফূরণ হয়—দুইই এক সঙ্গে হয়—ইহাতেই ক্রমে ক্রমে তা ভাবের পূরণ হয় । প্রাচীর সংস্থাপন করিয়া তাভাবে আক্রান্ত হয় ; মন আত্ম-পরের মধ্যে যোগাযোগ ংঘটন করিয়া অভাব পূরণের জন্য ব্যস্ত হয়। এইরূপ দেখা যাইতেছে যে, সাংখ্য দর্শনের মতে বুদ্ধি অহঙ্কার এবং মন প্রকৃতি হইতে উত্তরোত্তর-ক্রমে উৎপন্ন হইয়াছে, সুতরাং সকলেই তাহারা প্রাকৃত পদার্থ। বেদান্ত দর্শনের মতেও, শরীর, প্রাণ, মন,বুদ্ধি, আনন্দ, সমস্তই প্রাকৃত ব্যাপার ; ঐ পাচটি ক্রমান্বয়ে বেদান্তের অন্নময় কোষ, প্রাণময় কোম, মনোময় কোষ বি জ্ঞানময় কোম, আনন্দময় কোষ ; ও-গুলি কাণ্টের দর্শন এবং বেদান্ত দর্শন আত্মার উত্তরোত্তর উপাধি মাত্র—তা ভিন্ন অহঙ্কার আত্ম-পরের মধ্যস্থলে । ፰b~ማ স্বতন্ত্র কিছুই নহে। এ বিষয়ে কান্ট কি বলেন—দেখা যা’ক্‌ ৷ পূর্বে বলিয়াছি যে, ঈ-ধ্বনি যখন আমাদের কণ-গোচর হয়, তখন সৰ্ব্ব প্রথযে হ্রস্বতম মুহূর্তে হ্রস্বতম ই-ধ্বনি উপস্থিত হয় । কিন্তু সেই হ্রস্বতম ই-ধ্বনিটি জ্যাতিমিতিক বিন্দুর ন্যায় অনির্বচনীয় ; তাহ আছে এবং নাই এই দুই নৌকায় পা দিয়া দাড়াইয়া আছে—এই জন্য তাহা সদসদাত্মক ; তাহাকে জ্ঞানে ধরিতে ছুইতে পাওয়া যায় না—এই জন্য তাহা জ্ঞান-বিরোধী ; তাহাতে ঈ-ধ্বনির সত্তা, অসত্তা, এবং চেষ্টা তিনই বীজ-ভাবে অন্তভূত রহিয়াছে এই জন্য তাহা ত্রিগুণাত্মক । এইরূপ বীজভূত হ্রস্বতম ই-ধ্বনি পরম্পরার অভ্যন্তরে জ্ঞান আপনার ঐক্য সূত্র সঞ্চালন করিয়া বিশেষ একটি বিষয়—ঈ-ধ্বনি—গড়িয়া তুলে ;–অবিদ্যাকে বিদ্যা করিয়া গড়িয়া তুলে । কিন্তু সেই যে অবিদ্যা-নিবিশেষ হ্রস্বতম ই ধ্বনি, যাহা আমাদের ইন্দ্রিয়-ক্ষেত্রে বিন্দু বিন্দু করিয়া উপস্থিত হয়, তাহাতে কাহার কর্তৃত্ব প্রকাশ পায় ? আমাদের নিজের কর্তৃত্ব নহে,—বহির্বস্তুরই কর্তৃত্ব প্রকাশ পায় । কিসে তবে আমাদের বুদ্ধির কর্তৃত্ব প্রকাশ পায় ? না অভ্যাগত অবিদ্যাকে যখন আমরা বিদ{া করিয়া গড়িয়া তুলি—ত্ত্বস্বতম ই-ধ্বনি-গুলির মধ্যে ঐক্য-বন্ধন করিয়া ঈ-ধ্বনি গড়িয়া তুলি— তখন সেইরূপ ঐক্য বন্ধন-কার্য্যেই আমাদের বুদ্ধির কর্তৃত্ব প্রকাশ পায়। এইরূপে পাওয়া যাইতেছে যে, বহির্বস্তুর কর্তৃত্বে অবিদ্যা ইন্দ্রিয়-ক্ষেত্রে উপস্থিত হয়, বুদ্ধির কর্তৃত্বে তাহ বিদ্যারূপে পরিগঠিত হয় । বেদান্ত-মতে, ঐ যে বহির্বস্তুর কর্তৃত্ব উহা ।