পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• מש"צ אז: কাণ্টের দর্শন এবং স্ট্রো $bున - * * * সমস্ত ব্যাপারই—(১) অভাব—তমোগুণ, (২) অভাব-পূরণের জন্য আকুবাকু—রজেগুণ, (৩) অভাব পূরণ—সত্ত্বগুণ ; আবার (১) উচ্চতর অভাব (২) তাহার পূরণ চেষ্টা এবং (৩) তাহার পুরণ ; আবার | ততোধিক উচ্চতর অভাব—ইত্যাদি। এইরূপ করিয়া প্রকৃতির ত্রিগুণ-চক্র o তই ঘূর্ণিত হইতেছে । আমাদে, বু প্রকৃতির অন্তভূ ত স্থতর।ং তাছাও *] চক্রে ঘূর্ণিত হইতেছে ; জাগ্রৎকালে তা । ভিব্যক্ত হইতেছে—নিদ্রাকালে বিলীন হইতেছে। কেবল, বুদ্ধির সাক্ষী-স্বরূপ যে, আত্মা, সেই আত্মাই কেবল গুণচক্রের বাহিরের বস্তু ; আত্মা গুণ-চক্রে ঘূর্ণিত হয় ন—পরন্তু স্থির ভাবে স্বপদে দণ্ডায়মান থাকিয়া ত্রিগুণের নাট্যলীল। নিরীক্ষণ করে । আত্মা ত্রিগুণের অতীত অপ্রাকৃত বস্তু বলিয়াই শাস্ত্রে তাহ নিগুণ শব্দে অভিহিত হয়। শাস্ত্র-অনুসারে, বুদ্ধি হ’চ্চে সত্ত্ব-গুণ—আত্মা হ’চ্চে সদৃবস্তু। আত্মা এবং বুদ্ধির মধ্যে এইরূপ ধৰ্ম্ম-ধৰ্ম্মীর প্রভেদ । সত্ত্বগুণ অবশ্য অসত্ত্ব-গুণ দ্বারা (তমোগুণ দ্বার) । কোন-না-কোন অংশে পরিচ্ছিন্ন ; কিন্তু সদৃবস্তু সত্ত্বাসত্ত্ব উভয়েরই মূলস্থিত—স্থতরাং অসত্তা দ্বারা পরিচ্ছিন্ন নহে । সমস্ত প্রকৃতিই ত্রিগুণাত্মক—আত্মা ত্রিগুণাতীত অথবা যাহা একই কথা—নিগুণ । সমস্ত প্রকৃতিই সদসদাত্মক গুণচক্ৰ—আত্মা সদৃবস্তু । ত্রিগুণাত্মক প্রাকৃত বস্তু হইতে ত্ৰিগুণাতীত সদ্বস্তুকে পৃথক রাখিবার অভিপ্রায়ে আত্মা বস্তুর পরিবর্তে পুরুষ বলিয়া সংজ্ঞিত হয়। ত্রিগুণাতীত সদ বস্তুই (আত্মাই) পুরুষ শব্দের বাচ্য। এই স্থানটিতে কাণ্টের সহিত বেদান্তের অনৈক্য-একটি দেখা দিতেছে। কান্ট,

  • ীনে আত্মাকে নিগুণ বলিয়াছেন, স্ট্রেীনে তাহার সঙ্গে এই একটি টিপ্পনী खूश। निशाएकून যে, নিগুণ কিনা X — অর্থাৎ নিতান্তই অনিৰ্দেশ্য, কি যে তাহ বীিতে পারা যায় না। তাহ বলিতে পার। ; i না – সত্য, কিন্তু বেদান্ত বলেন যে, : r ভিতরে ভিতরে জানিতে পারা যায় । ই দ্বার কেমন করিয়া হস্ত-চালনা করিতে হয়--তাহা সকলেই জানে, অথচ কেই তাহ অন্যকে বলিয়া বুঝাইতে পারে না । অনেক বিষয় এরূপ আছে, যাহা শুদ্ধ কেবল আপনি মনে মনে বুঝিধারই কথা—অন্যকে বুঝাইবার কথা । নহে । বেদান্ত নিগুণ আহাঁকে X না বলিয়া উণ্ট আরো বলেন—স্বপ্রকাশ ।

R. আত্ম বুদ্ধি-দ্বারা প্রকাশিত নহে কিন্তু বিশুদ্ধ জ্ঞানে আপনাতে আপনি প্রকা | শিত এই ভাবটি আপনার মনের অভ্য ন্তরে অতীব সহজে বুঝিতে পারা যায় কিন্তু অন্যকে বলিয়া বুঝানো বড়ই স্থক ঠিন; কাজেই নিম্ন-লিখিত দৃষ্টান্তটির সাহায্য গ্রহণ করিতে হইল ;– ভুতল-শায়ী সূর্য্য-রশ্মি ছায়া দ্বারা পরি চ্ছিন্ন –কিন্তু সূর্য্যের নিজের গাত্রে লেশমাত্র ও ছায়া স্থান পাইতে পারে না । ভূতল-শায়ী সূর্য-রশ্মি যেমন আলোক ছায়া এবং বর্ণ-বৈচিত্র্যে জড়িত-বুদ্ধির প্রকাশ সেইরূপ সত্ত্ব তমো এবং রজোগুণে জড়িত। কিন্তু সূর্ষ্যের নিজ-গাত্রে যেমন ছায়া, বর্ণ বৈচিত্র্য বা ছায়াবচ্ছিন্ন অtলোক স্থান পাইতে পারে না, তেমনি আত্মার আত্ম-প্রকাশে তমোগুণ বা রজোগুণ বা সত্ত্বগুণ স্থান পাইতে পারে ন৷ ৷ যে আলোক সূর্য্যের গাত্রে তন্ময়ীভূত তাহা সূৰ্য্যকে ছাড়িয়া বাহিরে বিনিগত হয় না—এই জন্য তাহ রশ্মি-শব্দের