পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

արպո--ր তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা १२ कन्न, २ टfभ ΕÜη -α বাচ্য হইতে পারে না। তবে কি ? না যে আলোক সূর্য হইতে বিনির্গত হইয়া ছায়া এবং বর্ণ-বৈচিত্র্যের যোগে পৃথিবীতে প্রকাশিত হয়, তাহাই রশ্মি । শব্দের বাচ্য । তেমনি, বুদ্ধি-প্রকাশিত পরিচ্ছিন্ন সত্তাই সত্ত্বগুণ-শব্দের বাচ্য ; ভূতলশায়ী সূর্য্যালোক যেমন ছায় দ্বার পরিচ্ছিন্ন—সত্ত্বগুণও তেমনি তমোগুণ দ্বারা পরিচিচ্ছন্ন । কিন্তু আত্মার স্বপ্রকাশ সত্তা যেহেতু তমোগুণ দ্বারা পরিচ্ছিন্ন নহে এই জন্য তাহা সত্ত্বগুণ শব্দের বাচ্য নহে । সূর্যের গাত্রে ঘে আলোক তন্ময়ীड्रङ তাহা রশ্মি-শব্দের বাচ্য নহে—নাহ। স্বয়ংই সূর্য ; তাহা ইতে যে আলোক বান্তিরে বিনির্গত হয় - তাছাই রশি ; তেমনি, তা হাতে সে দে প্র পাশ নে তি তন্ময়ীভূত আছে, তাহ। সত্ত্ব গুণ নচে– তাহা স্বয়ংই আত্মা ; কেবল, যে জ্ঞান জ্যোতি আত্ম৷ হইতে বুদ্ধিতে বিনিগত হয় । গুণ ; সুতরাং জ্ঞানময় অায়। সত্ত্বরাজস্তমে পরিচ্ছিন্ন ; যেমন—ভূতলশায়ী সূর্য-রশ্মি । তাহাই সত্ত্বগুণ—তাহাই রজস্তমোগুণ দ্বারা বর্ণ বৈচিত্র্য এবং ছায়া দ্বারা পরিচ্ছিন্ন । এখন কথা হ'চ্চে এই যে, সৰ্য্যের নিজের গাত্রে তাহার রশ্মিপাত হয় না বলিয়া সর্ঘ্যকে কি আলোক-শূন্য তমঃপদার্থ বলিতে হইবে ? আত্মা বহিমুর্থী বুদ্ধির গম্য নহে বলিয়াই কি আত্মাকে জ্ঞান-শূন্য অ চেতন বলিতে হুইবে ? কখনই না। রশ্মিই ; যদি জ্যোতিষ্ঠান হইল, তবে রশ্মির আকর যে, সূৰ্য্য, তাহ নিজে কত না জ্যোতিষ্মান! রশ্মির আকর সূৰ্য্য যেমন জ্যোতিৰ্ম্ময় পদার্থ—বুদ্ধির আকর আত্মা তেমনি জ্ঞানময় পদার্থ ; সূর্যও অদৃশ্য নহে—আত্মাও অজ্ঞেয় নহে। সূৰ্য্য আপনার গাত্রে রশ্মি-প্রয়োগ না করিয়াও জ্যোতিষ্মান— আত্মা আপনার প্রতি বুদ্ধি-প্রয়োগ না mom করিয়াও স্ব প্রকাশ ; তবে আর এ কথা কোথায় রহিল যে নিগুণ আত্মা = X ! আমাদের দেশের কোন শাস্ত্রই এরূপ কথা বলে না। সকল শাস্ত্রই একবাক্যে বলে যে, আত্মা বিশুদ্ধ জ্ঞানে প্রকাশমান —আত্মা স্বপ্রকাশ জ্যোতিঃস্বরূপ ; কোন শাস্ত্রই বলে না যে, আত্মা অপ্রকাশ তমঃ স্বরূপ । আত্মা কি অর্থে নিগুণ এখন তাহ। জলের ন্যায় স্পষ্ট বুঝিতে পারা যাইবে । পৃথিবীতে সর্ঘ্যের রশ্মি-পতনই দিবা— রশ্মি-অপহরণই রাত্রি এবং উভয়ের সন্ধিস্থলই সন্ধা । সূর্ঘ্যের নিজের গাত্রে রশ্মিপতন ও হয় না, রশ্মি-অপহরণও হয় না ; অতএব সদ্য দিবা-রাত্রি-সন্ধ্যা তিনের ল-পরে ইয়া ০ নিজে দিব-রাত্রি-সন্ধা। বিধা ডজত। সেই রূপ প্রকৃতিতে তা হ্লারি জ্যোতিঃপতন সত্ত্বগুণ, জ্যোতিঃসংহার তমোগুণ, এবং উভয়ের সন্ধি-স্থল রজো গুণের মূলাধার হইয়া ও নিজে সত্ত্বরজ স্তমে গুণ-বিবর্জিত । এইরূপ দেখা যাইতেছে যে, শাস্ত্র এবং যুক্তি অনুসারে নিগুণ আত্মা বলিতে ত্ৰিগুণাতীত স্বপ্রকাশ সদৃবস্তু বুঝায়— অপ্রাকৃত পুরুষ বুঝায়, তা ভিন্ন—অনিদেশ্য X বুঝায় না । সাধনের চরম সংকল্প পরমাত্মাকে তাত্মার অভ্যন্তরে প্রাপ্ত হইয় তাহার সহিত বিমল আনন্দ উপভোগ করা ; কিন্তু তাহার জন্য চিত্ত-শুদ্ধি সর্বপ্রথমেই আবশুক । চিত্ত-শুদ্ধি আর কিছু নয় – প্রকৃতির আকর্ষণ হইতে—বিষয়ের মায়াজাল হইতে—অবিদ্যা হইতে--আত্মাকে নি মুক্ত করা। এখন কথা হ’চ্চে এই যে, আত্মা যদি বিষয়াকর্ষণ হইতে—অবিদ্যার