পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• ؤ v د Nf T: কাণ্টের দর্শন এবং বেদান্ত দর্শন >ふNう মাত্মার আশ্রয়-আশ্রিত সম্বন্ধ ; মুক্ত জীবের | একটি ভ্রম জন্মে যে, জীবাত্মা মুক্ত হইয়। সহিত প্রীতি-ভক্তির সম্বন্ধ । অথবা যাহা আরো ঠিকৃ—মনুষ্য যে অংশে বদ্ধ জীব অর্থাং শরীরী জীব, সেই অংশে পরমাত্বার সহিত তা চার আশ্রয়-আশ্রিত সম্বন্ধ ; আর, মনুষ্য যে অংশে মুক্ত জীব অর্থাৎ আপনাতে আপনি জড়সড়ে। হইয়। অজ্ঞানান্ধকারের অতলম্পর্শ গর্তের অভ্যন্তরে প্রত্যুত অশরীরী আল্লা, সেই অংশে পরমাত্মার । সহিত তাহার প্রাতিভক্তির সম্বন্ধ । মাত্মার অfএয়-নিকেতনে তা"মাদের ত্রিগুণাত্মক প্রাকৃত জন্ম হয়, এবং তাহার প্ৰেমনিকেতনে আমাদের ত্ৰিগুণাতীত তাধ্যাত্মিক জন্ম হয় । এই আধ্যাত্মিক জন্মেরই নাম মুক্তি । প্রকৃতির দিক্ দিয়া পরমায়। আমাদের সাংসারিক নন। প্রকার তা ভাল পূরণ করতেছেন, এবং মুক্তির দিক্ দিয়। তিনি আমাদের প্রীতি অাকর্ষণ করিতেছেন । কেননা বন্ধন-ক্ষেত্রে প্রীতির বীজ অঙ্করিত হইতে পারে না—মুক্তি-ক্ষেত্রেই পর নিঝুম হইয় পড়িয়া থাকিবে । কিন্তু প্রকৃত শাস্ত্রানুসারে এটি মুক্তির লক্ষণ নহে— ঘোরতর তমো গুণের লক্ষণ । মৃগের প্রতি ব্যাস্ত্রের দৃষ্টি একরূপ, শিশুর প্রতি মাতার দৃষ্টি আর-একরূপ; ব্যাস্ত্রের দৃষ্টিতে মুখে বুদ্ধ শুদ্ধি লোপ পাইয়া যায়, মাত্রীর দৃষ্টিতে শিশুর বুদ্ধির কলিকা বিকশিত হইয়া উঠে। পরমাত্মার অনির্বচনীয় প্রেম-দৃষ্টিতে জীবাত্মার, হৃদয়-কপাট উন্মুক্ত হয়—জীবাত্মার অন্তরতম ভাব সকল । বিকশিত হইয় উঠে—সুবিমল - তানন্দের তাভু্যদয়ে জীবাত্মার সমস্ত কামনা চরিতার্থ হয়; ইহারই নাম মুক্তি । যে মুক্তি হইতে ঈশ্বরাভিমুখে প্রীতি উৎসারিত হইয়া (স্বাধীনতা ক্ষেত্রেই) প্রীতির বাজ অঙ্কু- । রিত এবং বদ্ধিত হইতে পারে । জন ক্রীতদাসকে বন্ধন করিয়া তাহার নিকট হইতে বল পুর্ববক প্রীতি অাদায় করিতে যা ও দেখি —কখনই তাহা পারিবে না ; কিন্তু তাহার বন্ধন মোচন করিয়া তাহাকে মুক্তি প্রদান কর তাহা হইলে সে তোমাকে তান্তরের সহিত ভাল বাসিবে। এমন কি, স্বাধীন-শব্দের অর্থই ছ’চ্চে প্রেমের বাধ্য ; পরাধীন শব্দের অর্থই হ’চ্চে বলের বাধ্য । অতএব মুক্তিক্ষেত্রই প্রেমের উর্ববর ভূমি । জীবাত্মা অবিদ্যা হইতে মুক্তি লাভ করিয়া পরমাত্মাকে হৃদয়াভ্যন্তরে প্রীতির সহিত আলিঙ্গন করিবে—এইটিই জীবাত্মার সর্বশ্রেষ্ঠ অধিকার । শাস্ত্রের র্যাহারা খোসা চৰ্ব্বন করেন তাহাদের অনেকেরই এইরূপ এক । লতর—তান্তর হইতে সমস্ত জগৎকে অমৃত ধারায় প্লাবিত করে, যে মুক্তিতে নিত্য নিত্য ঈশ্বরের নব নব কল্যাণ, নব নব করুণ, নব নব আশীববাদ বর্ষিত হইতে থাকে, এবং ঈশ্বরের নব নব শোভা এবং সৌন্দর্ঘ্যের কপাট উন্মোচিত হইতে থাকে ; যে মুক্তিতে ঈশ্বর-প্রীতি কখনই পুরাতন হয় না—কিন্তু নব নব রাগে রঞ্জিত হইয়া, নব নব রসে পরিপূরিত হইয়া, নব নব আনন্দে উৎসারিত হইয়া, মুক্ত জীবকে মঙ্গল হইতে মঙ্গ অন্তরতর —ধামের জন্য প্রস্তুত করিতে থাকে, সেই মুক্তিই প্রকৃত মুক্তি । সাধকের সাধন কেবল মুক্তি-পথের বিঘ্ন অপসারণ করিবারই জন্য ; সাক্ষাৎ সম্বন্ধে—শুদ্ধ বুদ্ধ মুক্ত স্বরূপই মুক্তির ত| কি প্রকারে পরমাত্মা জালাতুাকে মুক্তি প্রদান করেন--ইহা শুদ্ধ . কেবল অন্তরে অনুভব করিবারই কথা,