পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯২৩

  • k+==

তপস্যা বলে জ্বলন্ত ঈশ্বরকে আপনার সম্মুখে দেদীপ্যমান দেখে ও পবিত্র পরিশুদ্ধ পরমাত্মাকে আপনার নিজস্ব ধন ও চরমগতি জানিয়া অাপ্তকাম इम्न । যদি সমুদায় সংসার বিনষ্ট হইয়া যায়, যদি সূৰ্য্য চন্দ্র গগন হইতে অন্তহিত হয় তথাপি তাহার চক্ষু ঈশ্বর হইতে পরিচ্যুত হয় না। তত্ত্ববোধিনী পত্রিক যিনি সমুদয় জগতের অধিপতি, র্যাহার । অসীম রাজ্যে একই কৌশল কাৰ্য্য করিতেছে, তিনি চান যে তাহার প্রত্যেক সন্তান তাহার দিকে অগ্রসর হয় । তিনি । সেই জন্য র্তাহার অনন্ত উদার ক্রোড় সকলেরই জন্য আগ্রহের সহিত উন্মুক্ত করিয়৷ রাখিয়াছেন । বিমল আত্মপ্রসাদ বিধান করিয়া তাহার প্রত্যেক দুৰ্ব্বল সন্তানকে তাহার দিকে অল্পে অল্পে আহবান করিয়। লইতেছেন । তিনি আমাদিগকে বিস্মৃত নহেন । প্রতি বিপদের দারুণ কশাঘাতে আমাদিগকে তাহার দিকে লইয়া যাইতেছেন । অণ্ড নিহিত শিশুকে পরিপুষ্ট জানিয়। যেমন পক্ষী, চঞ্চুর আঘাতে সেই অণ্ড ভেদ করিয়া দিয়া শাবককে মুক্তবায়ুতে আনয়ন করে, তেমনি যখনি আমর। সম্পদের তা গারে পরিবেষ্টিত হইয়া আপনাকে নিরা- ৷ পদ জ্ঞান করি, আপনার তাশ। ভরসা এখানেই সীমাবদ্ধ করিয়া ফেলি, তখনই বিশ্বজননী বিপদের তীব্র কুঠারাঘাতে ক্ষণ চূর্ণ বিচুর্ণ করির দেন, অামারদের সম্মুখে নূতন রাজ্যের নূতন ভাবের নুতন কল্যাণের যবনিকা ক্রমে ক্রমে উন্মোচন করেন ও ধৰ্ম্মক্ষেত্রের বিশাল গগনে সঞ্চরণ করিবার শক্তি সামর্থ্য প্রদান করিতে থাকেন। রজন স ঘোর অন্ধকার বিদূরিত হইলে যখন অামারদের বিপদ সম্পদেও !

  • २ कब्रा, २ छ*

്ബ്ജഃ = 唱 - يصه ويقضيفتي msg= জাল বিস্তার করে, তখন আশু-প্রবুদ্ধ ব্যক্তি যেমন একেবারে নয়ন উন্মীলন করিয়৷ আলোকমালার উপর দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতে পারেন না, প্রত্যুত ধীরে ধীরে অভ্যাস করিয়া লন, তেমনি আজন্ম-সহচর বিষয় হইতে মনুষ্য-হৃদয়কে আপনার দিকে আকৃষ্ট করিবার সময়ে সেই পরমপিতা বিষয়ের অসারতা ক্রমশঃ দেখা হয়৷ দিয়! পরিশেসে তাহাকে আপনার পথের পথিক করেন। এ পৃথিবীতে যে না তাহার প্রেমের প্রেমিক হইল, র্তাহার অবিশ্রান্ত করুণ। পরজগতে তাহার অনুসরণ করিবে । তাহার রাজ্যে ঘোর বিষয়ার ও নিস্তার নাই । বিষয়ী আর কতদিন তাহার অতুল্য সম্পদে আপনাকে বিস্মৃত হইয়া , তাহার হস্ত চিরকাৰ্য্যকর । তাহার রাজ্যের চির-বিচিত্রতা দেখিয়া তাহার গুণগানে দিক্‌বিদিক্‌ প্রতিধ্বনিত কর । তিনি মনুয্যের সুখের জন্য পৃথি বাকে সুচিত্র ভূমণে অলঙ্কত করিলেন, লেন । | আনন্দের কতশত উৎস উৎসারিত করিউপরে নক্ষত্রখচিত চন্দ্রাতপে পৃথিবীর মস্তক আচ্ছাদিত করিয়। দিলেন, নিম্নে ওসধি বনস্পতির লাবণ্যে ফলপুষ্পের মাধুরীতে, ইতস্ততঃ সঞ্চরমান পশুপক্ষীদিগের কলনিনাদে নিত্য বিশাল উৎসবে মৰ্ত্ত লোক উৎসবান্বিত করিয়া দিলেন ! তৃপ্তিপ্রদ সুখের পার্থিব উপাদানগুলিকে । কিন্তু মনুম্যের জন্য বৈরাগ্যের বীজ রোপণ করিতে বিস্মৃত হইলেন না । মনুষ্য র্তাহার নিত্য-উদার-সদব্ৰতে অন্নপান লাভ করিয়া ও চঞ্চল ঘটনার মধ্যে অস্থির অবস্থাচক্রে পতিত হইয়া তাহাকে না পাইয়া চিরশান্তি লাভ করিতে পরিল না। সেই জন্যই আমরা অগণ্য ভ্ৰম পূৰ্ব্বগগনে আরক্ত সূৰ্য্য স্বীয় কিরণ | সুখে পরিবেষ্টিত থাকিয়াও হৃদয়ের অপু