পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• لا ما لا ) aة র্ণতা পরিহারের জন্য র্তাহার দ্বারে তাহার আদেশে আগমন করিয়া প্রসাদ-বারির আশে তৃষিত চাতকের ন্যায় উৰ্দ্ধমুখে চাহিয়া রহিয়াছি । আমরা সংসারের অনিত্যতা বিলক্ষণ বুঝিয়াছি । আজ দিগন্ত-বিশ্রান্ত উভাল তরঙ্গ-মালা-সমাকীর্ণ স্বরস্বতীর প্রখর তেজের অবসান হইয়াছে, তাহার গভীর ভীষণ গৰ্ত্ত বিশুষ্ক হইয়া ॥ড়য়াছে, উহার তলদেশে এই ব্রাহ্মসমাজের প্রাণ প্রতিষ্ঠিত রহিল । ইহার প্রাণদাত কালের করাল কুক্ষির মধ্যে স্থান পাইয়া অপার ব্রহ্মানন্দ উপভোগ করিতেছেন । ভরসায় বিসর্জন দিয়া প্রান্তর মধ্যস্ত তরুর ন্যায় এককাই পৃথিবীর বা ধু। তরঙ্গের । আলোড়ন সহ্য করিতেছেন । হয়ত রোগ শোকের প্রবল তাক্রমণে অনেকের দেহযষ্টি ক্ষীণ হইয়া ইহকালের পরপারের অব্যাহত যোগানন্দ প্রেমানন্দ সম্ভোগের উপযুক্ত হইতেছে । র্য্যয় উপস্থিত হইয়। অনেকের প্রাণকে ব্যাকুল করিয়া তুলিয়া ব্রাহ্মসমাজের সুশীতল ছায়ার মধ্যে তাহাকে আনয়ন করিয়াছে। র্যাহারা ঈদৃশ বিপৎপাতের হস্ত হইতে বহুদূরে আছেন, তাহারা ছনিবাৰ্য্য ঝটিকার কঠোরতা হইতে আপনাকে রক্ষা করিবার জন্য সহজে ঈশ্বরের শরণাপন্ন হউন “নান্যঃ পন্থা বিদ্যতে হয়নায়” এখানে বিপদ অবশ্যম্ভাবী । তিনি ভিন্ন বিপদ হইতে উদ্ধার করিবার কেহ নাই । তদিন শরীরের সঙ্গে আমারদের অtত্মার যোগ ততকাল বিষয়ের নিকট হইতে আমরা চিরবিদায় গ্রহণ করিতে পারিব না; শরীরের দাসত্ব স্বীকার করিয়া তাহার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিষয়ের অধীন হইয়াছি । উপদেশ ১৯৭ - E. আমরা প্রবৃত্তির স্রোতে ভাসমান ন হইয়া যাই, ইহারই জন্য অামাদিগকে নিয়ত সাবধান থাকিতে হইবে । চরিত্রকে বিশুদ্ধ রাখিতে হইবে, ঈশ্বরকে হৃদয়ের প্রভু জানিয়। নিত্যনিয়মে তাহাকে প্রীতি উপহার প্রদান করিতে হইবে । র্তাহার আদিষ্ট কৰ্ম্ম বলিয়া সংসারকার্য্যে প্রবৃত্ত হইতে হইব । ব্রহ্মযোজিতচিত্তে ফলকামনাশূন্য হইয়। অনাসক্ত ভাবে বিষয় উপভোগেই জীবনকাল অতিবাহিত করিতে হইবে । পৃথিবীর সুখশান্তি অনিত্য জানিয়া এখানকার প্রতি পরিবর্তনে বৈহয়ত । আমাদের মধ্যে অনেকেই সংসারের আশ | রাগ্য তা ভ্যাস করিতে হইবে । 疆 অামারদের চারিদিকে অনিত্য বিষয়ের গ ষ্টা । চারিদিকে বিনয় কোলাহল, নিরাশর ক্ৰন্দন, সম্পদের অট্টহাস্য ! ইহার মধ্যে যোজিতচিত্ত হইয়া অনন্ত ব্ৰহ্মধামের দিকে অল্পে অল্পে অগ্রসর হওয়াই আমারদের লক্ষ্য । যখন আপনার ক্ষুদ্র বলের উপর দৃষ্টিনিক্ষেপ করি তখন আর হয়ত লৈময়িক বিপ- কোন তাশা থাকে না । জীবনের তাধিকাংশ কাল বিষয়ের সেবাতেই পর্য্যবসিত হইল । তিনি তামারদের ইহ-জীবনের নেতা, আমারদের অমর আত্মার চিরসঙ্গী । সে সঙ্গ ছাড়িয়া কুৎসিত তামোদ প্রমোদে দুল্লভ মনুষ্যজন্ম কলঙ্কিত করিলাম । তিনি যে আত্মার উন্নতি সাধনের গুরুভার অামারদের মস্তকের উপর আপণ করিয়াছেন, আজ সাশ্র নয়নে কম্পিত কলেবরে নিজ নিজ জীবন পুস্তক উৎঘাটনে আপনার হীনতা ও মলিনতা অনুভব করিয়া মৃতপ্রায় হইয়া যাইতেছি । অনন্ত আtকাশ যার গুরুভার ধারণ করিতে পারে না, এই সমাজ মন্দিরে তাহার উজ্জ্বল-মূৰ্ত্তি সনদর্শন করিয়া সকলে হৃদয়ের প্রজ্বলিতহুতাশন নিৰ্ব্বাণ করিয়া দাও, কৃত আপ