পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ساهها তত্ত্ববোধিনী পত্রিক .१२ कन्न, २ टtत्र রাপের জন্য অনুতাপের সহিত র্তাহার নিকট যোড়করে প্রার্থনা কর, দৈববলে বলী হইবার জন্য র্তাহার দেবপ্রসাদ ভিক্ষা কর, তাহার অভয় হস্ত দেখিয়া নির্ভয় হও । আজ আমারদের সাম্বৎসরিক মহোৎ সব । আজি আনন্দের তরঙ্গ এখানে প্রবাহিত হইতেছে । মর্ত্যের নীচ কামনা অামারদের মন হইতে নির্বাসিত হইয়৷ গিয়াছে । আজ আমরা বন্ধুবান্ধব সহ সম্মিলিত হইয়া বিষয়ের উপরিতন স্তরে মক্ত বায়ুতে সঞ্চরণ করিয়া তাহার মঙ্গলমূৰ্ত্তি । সনদর্শনে বিমল তানন্দলাভের অধিকারী l আকাশমণ্ডল পৰ্য্যবেক্ষণকারী ! জ্যোতির্বেত্ত জ্যোতিষ্কমণ্ডল সন্দর্শন করি- ; হইয়াছি । বার সময় যেমন উচ্চ মঞ্চে আরো চণ করেন, তেমনি আমরা অাজ আকাশের অতীত দেবদেব মহাদেবের পুর্ণ মহিমা সন্দর্শন করিবার জন্য বিষয় রাজ্যের সীমার বহিদেশে—পবিত্র ব্রাহ্মসমাজে আগমন করিয়াছি । ক্ষণভঙ্গর নশ্বর ভাবের পতিগন্ধ তামাদের মস্ত ককে বিকৃত করিতে পারিতেছে না । হে পরমাত্মন ! এই উৎসব-আমোদের দিবসে তোমার নিকট আর কি প্রার্থনা করিব । তোমার অনিমিষ চক্ষু অামারদের উপরে দিনমামিনী সমভাবে নিপতিত রহিয়াছে । অামারদের জীবন তোমার করুণার প্রবাহ ভিন্ন আর কিছুই । সম্যক অবধারণ করিয়া তোমার পূজাৰ্চনায় নছে । অামারদের কি সাধ্য যে তোমার অতুলন মুখচ্ছবি সকল সময়ে সন্দর্শন করিয়া সাংসারিক অভু্যদয় ও বিপৰ্য্যয়ের মধ্যে অটল ভাবে দণ্ডায়মান থাকিতে পারি। আমরা মর্ত্যের কীট হইয়া সংসার জলধির পরপারে তোমার অক্ষয় অনন্ত ব্রহ্মপাম দেখিতে পাইব এই আশায় উৎ ফুল্ল হইয়া তোমার নিকট আসিয়াছি। বিষয় চিন্তা ক্ষণকালের জন্য অস্তমিত হইয়াছে। তুমি এই অবকাশে আমারদের শূন্য হৃদয়কে অধিকার কর । যেখানে শত শত সূর্য্যের বিমল কিরণে দিক্‌বিদিক জ্যোতিমান রহিয়াছে, যেখানে রাত্রি নাই, জর মৃত্যুর আধিপত্য নাই, কেবলই উৎসবানন্দ প্রেমানদের মনোহর তান অনবরত উথিত হইতেছে, যেখানে দেবতাদিগের স্তুতিগানে দিক্‌বিদিক প্রতিধ্বনিত হইতেছে, যেখানে তোমার প্রেমের কুহুম চারিদিকে একে একে বিকসিত হইতেছে, যেখানে চির বসন্ত বিরাজমান রহিয়াছে, যেখানে সকল সাধকে পরিবৃত হষ্টয় তোমার যশঘোষণা করিতেছে, সেখানে তোমার তালোকে সাধকের হৃদয় পূর্ণ হইয়। যাইতেছে, তুমি সেই ছবি একবার দূর হইতে আমারদিগের নয়নের সম্মুখে ধারণ কর, তোমার প্রেমের প্রেমিক কর, যে আমরা সংসারকে একেবারে ভুলিয়া যাই, তোমার প্রেমের আকর্ষণে আকৃষ্ট হইয়৷ উদাসীনের ন্যায় নশ্বর সুখের ঘোর পিপাস হইতে চিরবিদায় গ্রহণ করি । “আরিবারীষ্ম এধি” তুমি আtমারদের সম্মুখে চির বিরাজিত থাক, যেন আর পথহারা হইয়া তোমার বিচ্ছেদ যন্ত্রণ। সহ্য করিতে না হয় । তুমি যে অকৃত অমৃত পুরুষ, আমরা যে অমরত্ব লাভের একমাত্র অধিকারী, আমরা যেন তাহ অমর আত্মার পাথেয় সম্যকরূপে সংগ্ৰহ করিয়া লইতে পারি। তুমি কৃপা করিয়া আমাদিগকে এ আশীৰ্ব্বাদ কর । ওঁএকমেবাদ্বিতীয়ং ।