পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০২ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক १२ कन्न, २ छाग ব্রহ্মানন্দ আবিভূত হইয়া তাহার মুখস্ত্রীকে উজ্জ্বল করিয়া তুলিল। ভক্তের প্রাণে আজ স্বগীয় ছন্দুভি বাজিয়া উঠিয়াছে, মঙ্গলের প্রতিদান—কৃতজ্ঞতার উচ্ছাস হৃদয়ের প্রাচীর ভঙ্গ করিয়া ছুটিতে চায়, কে তাহ নিবারণ করিবে ! আত্মার আত্মজ্ঞান উজ্জ্বল হইয়া, মনের পবিত্রত পরিশুদ্ধ হইয়া এবং হৃদয়ের প্রেম প্রশস্ত হইয়। আজ একস্রোতে সেই ব্রহ্মপদের দিকে প্রধাবিত হইয়াছে। ভক্তের চক্ষু আজ যে দিকে ফিরিতেছে সেইদিকেই কি এক অপূৰ্ব্ব শোভা, মঙ্গলের নিদর্শন এবং গৃঢ় গভীর জ্ঞান প্রেমের আভাস নিরীক্ষণ করিয়া পুলকিত হইতেছে। উদ্ধে নিৰ্ম্মল আকাশ, নিম্নে তরু নদী, ভূধর প্রান্তর সকলি তাজ মধুময়, তামৃতমম | ব্ৰহ্মা গুপতি পরমেশ্বরের ‘আনন্দরূপমমৃতং” আদ্যকার বিশেষ আরাধ্য বস্তু । অাজ সেই আনন্দ-সাগরে অমৃত-সাগরে অবগাহন করিয়া, তাজ সেই আনন্দসাগরের, অমৃত-সাগরের আনন্দামৃতবারি পান করিয়া এরূপ সুশীতল হইতে ইলে যাহাতে আমরা চিরদিন তাত্মতৃপ্ত হইয়৷ থাকিতে পারি ; সংসারের কোন শোক, কোন তাপ যাচাতে তার অামাদিগের তাতুাকে বিক্ষোভিত করিতে না পারে । পাপ করিয়া সংশোধিত হইবার জন্য তা উৎসাহ বৰ্দ্ধনের জন্য যাহার প্রসন্ন মঙ্গল মূৰ্ত্তি দেখিতে পাই, আদ্যকার এই মাঘোৎসবের পবিত্র দিবসে র্তাহারই “অtনন্দরূপমমুতং” সৰ্ব্বত্র সন্দর্শন করিতেছি । তিনি আনন্দরূপে অমৃত রূপে অধিষ্ঠিত থাকিয়া যেমন এই উৎসবের মূলে প্রাণ সপার করিতেছেন, আবার আমাদের উপ ভোগের জন্য আমাদের হৃদয়ে ও অনিন্দ ধারা, অমৃতধারা প্রবাহিত করিতেছেন। এই উৎসব দিনে এই অমৃতানন্দ হইতে যে জ্ঞানানন্দ আমরা লাভ করিতেছি তাহ আমাদের অনন্তকালের সম্বল—তাহা অামাদের ভূত ভবিষ্যৎ ও বর্তমান এই ত্রিকালের নিঃসংশয় নির্ভর । ইহা হইতে এই জ্ঞান সহজেই আমাদের মনশচক্ষে প্রতিভাত হইতেছে যে, যে দিন এই অনন্ত বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের এই বিবিধ বিচিত্র বস্তুজাত কিছুই ছিল না, কোথাও এক বিন্দু পরমাণুও ছিল না, তখনকার সেই অসীম শূন্য । পরিপূর্ণ করিয়া যে এক মহাপ্রাণ, যে এক আদিকারণ জাগ্ৰং ছিলেন তাঙ্গ আনন্দেরই রূপ । আর সেই আনন্দস্বরূপ আদিকারণে স্বধা নাম্নী প্রকাশোন্মুখী যে এক । মহা শক্তি নিচিত ছিল যাহাতে ভূত ভবিধ্য ২ বৰ্ত্তমান এই তিন কাল ও ভুঃ ভুবঃ স্বঃ এই তিন লোক অব্যক্ত ছিল, তাহা আনন্দই অব্যক্ত ছিল । সেই আনন্দের মঙ্গলময়া ইচ্ছা হইতে এই যে বিশ্বব্যাপার উৎপাদিত হইতেছে ইহা ও এই আনন্দের আবহ । গুহাস্থ প্রস্রবণ হইতে নদী সকল প্রবাহিত হইয়া যে সমুদ্রের মহা আয়তন পূর্ণ করিতেছে তাহ সলিলই । প্রস্রবণের ঝর বার নিনাদ, বেগবতী নদীর কল কল শবদ এবং মহাসাগরের গভীর নিৰ্ঘোষ যেমন নিনাদই,সেইরূপ সেই আদি কারণ মরা যাহার রুদ্র মুখ অবলোকন করি, পূণ্যে | প্রাণ স্বরূপ মহেশ্বরের অব্যক্ত মহিমা তখনকার সেই আত্মজ্যোতি, ব্যক্ত মহিমা বহির্জ্যোতি এই গ্রহনক্ষত্ৰখচিত বিশাল বিশ্ব এবং পারকালিক অনন্ত মঙ্গলের প্রতি আমাদের আত্মার এই যে নিঃসংশয় বিশ্বাস এ সকলি সেই আনন্দই । তাই যখন তপঃপরায়ণ ভগবদ্ভক্ত পুরুষ আপনার আত্মার বিমল দপণে পরমাত্মার পরম সত্য জ্যোতি নিভৃতে সন্দর্শন করিতে থাকেন তখন তা