পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• د v د stgR: উনষষ্টি সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ ২০৩ शंद्र মনে এত আনন্দ উৎসারিত হয় । তাই যখন মধুরকণ্ঠ বিহঙ্গের সঙ্গীত এক প্রান্তরে বহির্গত হইয়া তন্যপ্রান্তরে অব- ! সান পাইতে ধাবিত হয়, তখন পথিকের মনে এত আনন্দের উদয় হয় । তাই যখন কোমল লাবণ্যবর্তী লতিকার উপরে সুন্দর পুষ্প প্রস্ফটিত হয় তখন উদ্যান এত স্থদর হইয় উঠে । তাই যখন অঙ্কপূর্ণকারী সরল শিশুর মুখে মধর হাস্য রেখা অঙ্কিত হয় তখন জননীর হৃদয়ে এত আশা আনন্দের সঞ্চার হয় । তাই যখন অন্ধকার আকাশে চন্দ্র তার কার উদয় হয় তখন যামিনী এত মধুময় হয়, সূর্য উদিত হইলে দি লস এত শুভ্র হয় । তাই পরলোক-গমনেীমূখ তাপস যখন আপনার অনন্ত জীবনের পথ পরিমুক্ত ও পরিশোভিত দেখেন তখন তাহার আত্মার এত শান্তি এত তৃপ্তি পরিলক্ষিত হয় । আনন্দেরই এই সকল প্রতিরূপ। এই সত্য উপলব্ধি করিয়াই তপঃপরিশুদ্ধ প্রাচীন ঋষি উচ্চৈঃস্বরে ঘোসণা করিয়াছেন, কারময় ক্রোড়ে নিদ্রিত থাকিত । সেই আনন্দ স্বরূপ পরব্রহ্মই এই সকলের পরম গতি, ইনিই সকলের পরম সম্পদ, ইনিই সকলের পরম লোক, ইনিই সক লের পরমানন্দ । এই পরমানন্দ স্বরূপে যিনি সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করেন, সকল নিভরের সহিত র্তাহার আশ্রয় গ্রহণ করেন, র্তাহাক তালি কোন অনিত্য পরিমিত লে,কের অ মীে পূর্ণ সুখের জন্য প্রার্থনা করিতে হয় না । তিনি শাশ্বত অগনন্দনীয় পরত, নকে লাভ করিয়৷ আনন্দিত হয়েন । তিনি শোক ছ ষ্টতে উত্তীর্ণ হয়েন, পাপ হইতে উৰ্ত্তীর্ণ হয়েন এবং হৃদয় গ্রন্থি সমু “আনন্দাদ্ধেfব খদ্বিমান ভূতানি জায়স্তে আনন্দেন । জাতানি জীবন্ত অনিন্দং প্রয ন্তাভি সংবিশন্তি ।” স্বষ্টি স্থিতি প্রলয় সকলি একটি আনন্দের ধার। তাদিতে আনন্দ, বৰ্ত্তমানে আনন্দ এবং ভবিষ্যতে আনন্দ। কারণে আনন্দ, কার্য্যে আনন্দ এবং অবসানে আনন্দ । যিনি নিখিল জগতের একমাত্র সেব্য কূটস্থ পরব্রহ্মের আনন্দ স্বরূপ ইহ জীবনে বুঝিতে পারিয়াছেন তিনি আর কাহা হইতে এবং কোথাও হইতে ভয় প্রাপ্ত হন না । তিনি সেই আনন্দ রস অহরহ পান করিয়া আত্মতৃপ্ত হয়েন। যদি সেই আনন্দ স্বরূপ পরব্রহ্ম এই আকাশে বিরাজিত না থাকিতেন তবে এই অনন্ত ব্রহ্মাণ্ডের তাবৎ পদার্থ মৃত্যুর গভীর অন্ধ দায় হইতে বিমুক্ত হইয়া অমৃত হয়েন । আমরা এই মর্ত্যের কীট হইয়। এবং জন্ম জর মৃত্যুর সতত পরিবর্তনশীল চক্রে বিঘূর্ণিত রহিয়া এই যে সংশয়রহিত পরম অমৃতের অস্বাদন প্রাপ্ত হইতেছি ইহা সকল বিশ্বাসের সহিত ব্রাহ্মধৰ্ম্মের প্রভাবকেই স্মরণ করিয়া দেয় । ব্রাহ্মেরই এই সৌভাগ্য যে তিনি জ্ঞান প্রেম ও পবিত্রতার বলে আনন্দময় পরব্রহ্মের সহবাসের যোগ্য হইয়াছেন । মধুমক্ষিক যেমন আপনার সূক্ষ চঞ্চুর বলেই পুষ্পের গুপ্ত মধু ভাণ্ডার হইতে মধুপান করিতে সক্ষম হয়, সেইরূপ ব্রহ্মপরায়ণ ব্রাহ্ম, জ্ঞান,ধৰ্ম্ম ও পবিত্রতার বলেই সেই সত্যের পরমনিধান অমুত ভাণ্ডার হইতে অমুতানন্দ উপভোগ করিতে সক্ষম হয়েন । এক সম্প্রদায় মনুষ্য আছে, ব্রহ্মলাভের প্রতি যাহাদের কিছুমাত্র যত্ন ও শ্রদ্ধা দেখা যায় না । তাহারা এই ভুলোকে জ্ঞান ও ধৰ্ম্ম উপার্জনের প্রতি অবহেল। করিয়া পবিত্র ব্রহ্মানন্দ উপভোগ করিতে পারিল না । মৃত্যুর পরে তাছাদের জ্ঞানময় আনন্দময় লোক হইতে বহুদূরে থাকিতে,