পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

यहम >w »० উনষটি স্বসাৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ ২০৫ হয় । স্বষুপ্তির অভ্যন্তরে ও আমাদের অজ্ঞাতসারে অতন্দ্রিত ভাবে কাৰ্য্য করিতে থাকে, য এষ সুপ্তেযু স্বপ্তেযু জাগর্তি কামং কামং পুরুষে নিৰ্ম্মিমাণঃ ৰ্তাহারই মঙ্গল আশী- । বর্বাদে আমরা এখানে সমাগত হইয়া কৃত-পুণ্য হইয়াছি । মঙ্গল দুই নহে— মঙ্গল এক । সেই—এক মঙ্গলের সঙ্গে সমস্ত জগতের সমস্ত ব্যক্তির সমস্ত ঈ অনিৰ্ব্বচনীয় প্রেমসূত্রে গ্রথিত রহিয়াছে ; - সে মঙ্গল কি ? না ঈশ্বরের মঙ্গল ইচ্ছা । আমাদের আপনার আপনার প্রতি আপনার আপনার যত না মঙ্গল ইচ্ছা, ঈশ্বরের মঙ্গল ইচ্ছা তাহা হইতে ও অপরিসীম অধিক ; কেন না আমরা তাহারই অতএব তাহার মঙ্গল ইচ্ছার প্রতি বিন্দুত্র ও সন্দেহ করি ও না—সম্পূর্ণ বিশ্বাসের সহিত, কৃতজ্ঞতার সহিত, শ্রদ্ধা ভক্তির সহিত, সেই ঐকান্তিক মঙ্গল ইচ্ছাটি আপনার হৃদয়াভ্যন্তরে তাত্মসাৎ করিয়া তদ অনায়াসে অন্ধকারের পরপারে উত্তীর্ণ হও, “স্বস্তি বঃ পারায় তমসঃ পরস্তাৎ’ তোমাদের ইহকালে পরকালে মঙ্গল হউক্ । আমরা আজ আপনার আপনার মঙ্গল ইচ্ছা করিয়া অদ্য যে এখানে সবান্ধবে সম্মিলিত হইয়াছি—আমাদের এ ইচ্ছা ঈশ্বরের মঙ্গল ইচ্ছারই প্রতিধ্বনি; কেননা, গোড়াতে ঈশ্বর আমাদের মঙ্গল ইচ্ছা না করিলে, আমরা আপনারাও আমাদের মঙ্গল ইচ্ছা করিতাম না—করিতে পারিতামও না । এই তত্ত্বটি না বুঝিয়া বৰ্ত্তমান কালের কৃতবিদ্য লোকেরাও ফরাসীস দেশের নূতন-স্বফ্ট এই একটা কথায় নির্বিবাদে ঘাড় পাতিয়া দেন যে, আপনার মঙ্গলামঙ্গলের প্রতি একেবারেই র্যাহার মঙ্গল-অণশীৰ্ব্বাদ অামাদের বিমুখ হইয়া শুদ্ধ কেবল পরের জন্য কাৰ্য্য করাই ধৰ্ম্ম কার্য ; তান্ধ প্রকৃতি যেমন শুদ্ধ কেবল পরের জন্য কার্য করে— সেইরূপ পরার্থ-পরতাই ধৰ্ম্ম ; যেন তাপনার মঙ্গলের জন্য কোন কার্য্য করিলে সে কার্য্যের কোন পারমার্থিক মূল্য নাই । ইহঁাদের এ কথা যদি সত্য হয়, তবে তা পনার স্ত্রী পুত্র ভ্রাতাভগিনীর মঙ্গলের জন্য কার্য্য করিলে তাহারও কোন পারমার্থিক মূল্য নাই—বে ননা আপনার স্ত্রী পুত্র পরিবার আপনারই সামিল ; তবে কি ? না আমার আপনার সহিত মূলেই যাহার কোন সম্পর্ক নাই—নিতান্তই•যে আমার পর- তাহার মঙ্গলের জন্য কাৰ্য্য করিলে পুত্র কন্যা | | তবেই তাহ ধৰ্ম্ম কাৰ্য্য বলিয়া গণ্য হইবে ! এ তো কেবল দেখিতেছি—উপস্থিত ছাড়িয়া অনুপস্থিতে হাত বাড়ানো । যে আপনার মঙ্গল বোঝে না সে অন্যের মঙ্গল কিরূপে বুঝিবে ? যে আপনার ম ঈলের প্রতি অযত্ন করে—সে অন্যের মুসারে সংসার-যাত্রা নির্বাহ কর এবং । মঙ্গলের প্রতি কিরূপে যত্নবান হইবে ? যে আপনার পুত্রকে খাওয়া পরা দিতে পারে না, সে কিরূপে পোষ্য পুত্র গ্রহণ করিয়া তাহাকে ভরণ-পোষণ করিবে ? আপনার মঙ্গলকে যদি মঙ্গল বলিয়া বোধ না হয়—তবে পরের মঙ্গলকে কিরূপে মঙ্গল বলিয়া বোধ হইবে ? যাহারা মনে করেন যে, আপনার মঙ্গলের প্রতি বিমুখ হইয়া পরের মঙ্গল সাধন করাই নিঃস্বার্থ ধৰ্ম্ম—তাহারা নিঃস্বার্থ শব্দের প্রকৃত অর্থ এখনো পৰ্য্যন্ত বুঝিতে পারেন নাই । “নিঃস্বার্থ”—শব্দ একটি বই নয়, কিন্তু তাহার অর্থ দুইরূপ হইতে পারে ; নিঃস্বার্থ-শব্দের এক অর্থ পরার্থ – আর এক অর্থ পরমার্থ ; পরার্থ কি ? না আপনাকে আদবেই ধৰ্ত্তব্যের মধ্যে না ধরিয়া .