পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه د يا د )چيRtu উনষষ্টি সম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ ২০৯ αξ-Ρ হাকে ঘরে পোষ মানাইতে হয়, তেমনি অন্তরের মনুষ্যত্ব দিয়া বাহিরের মনুষ্যত্ব ধরিয়া আনিয়া তাহাকে অন্তরে পোষণ করিতে হয়। অতএব ইহা স্থির-নিশ্চয় মে, মনুষ্য মাত্রেরই অন্তঃকরণের অভ্যন্তরে মনুষ্যত্ব গোকুলে বাড়িতেছে;—এক দিন না এক দিন সাধুসঙ্গের পুণ্য বায়তে বা সদগুরুর জ্ঞানাঞ্জন-শলাকায় বা বিশেষ কোন ঘটনার গতিকে ঈশ্বরের কৃপায়, তাহার চক্ষু ফুটিলেই তাহ নিজ মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া উঠিবে। অত এল “সমগ্র মনুস্য মণ্ডলীকে ভালবাসা” এই যে একটি কথা —এ কথাটির ভিতরের মৰ্ম্ম শুদ্ধ কেবল এই যে, আপনার আপনার সন্তরস্থিত মনুম্যটিকে ভালবাসিয়া তাহার প্রতি নয় করা এবং অন্তরস্থিত পশু-গুলাকে তাহার বশে সংস্থাপন করা । কিন্তু প্রত্যেক মন্থম্যের অন্তরস্থিত এই যে, মনুষ্যত্ব, ইহার মূল ! নয়—বহির্বস্তুর আকর্ষণ। আর এক ব্য пирпипини ніппі піна mœ · سمتیہ p = b -بی ع ক্তিকে যদি দেখি যে, তিনি ঈশ্বর-প্রেমে গদগদ হইয়া তাহার অনিষ্টকারীর প্রতি ভ্রাতৃবং ব্যবহার করিতেছেন, তবে সে র্তাহার কায্যের কে প্ৰবৰ্ত্তক ? বহির্বস্তু নহে কিন্তু আত্মা । অতএব আত্মাই মনুষ্যোতি কাৰ্য্যের মূল-প্রবর্তক—এবং সেই মলুস্যাচিত স্যেল অভ্যন্তরেই আমরা মনুষ্যত্ব উপলব্ধি করি । তবেই হইতেছে নে, আত্মার প্রবর্তিত মনুষ্যো চিত কার্স্য হইতে ফল যাহা আমর উপা তান্বেষণ করিলে আমরা কি দেখিতে পাই ? : দেখিতে পাই যে, আত্মাতেই মলুম্যের মনুষ্যত্ব ; আত্মাকে ছাড়িয়া মনুষ্যত্ব শুধু কেবল একটা ফাকা অা ওয়াজ । আল্লা। হইতেই মনুষ্যোচিত কাৰ্য্য ফুটিয়া বাহির হয়, এবং সেই মনুম্যোচিত কার্য্যের অভ্যন্তরেই আমরা মনুষ্যত্ব উপলব্ধি করি । আমরা তামাদের আপনার আপনার কৃত মনুম্যোচিত কার্য্যের মধ্যেও মনুষ্যত্ব উপলব্ধি করি এবং অন্যের কৃত মনুষোচিত কার্য্যের মধ্যেও মনুষ্যত্ব উপলব্ধি করি । সেই যে মনুষোচিত কাৰ্য্য তাহার কর্তা কে—তাহার প্রবর্তক কে ? যদি আমরা কাহাকে ও এরূপ দেখি যে, সে লোভ সম্বরণ করিতে না পারিয়া বিড়ালের ন্যায় "স্মার লক্ষ কোন প্রকার প্রাচারের গ্রন করি তাছাই মনুষ্যত্ব । • আত্মা মূল— মনুষ্যত্ব ফল । এতক্ষণ ধরিয়া আমরা । করিলামই বা কি, আর,পাইলামই বা কি ? তামরা বিস্তীর্ণ সাগর মন্থন করিয়া এক বিন্দু অমৃত পাইলাম । মনুষ্য-মণ্ডলা মন্থন করিয়া মনুষ্যত্ব পাইলাম—মনুন্যত্ব মন্থন করিয়া জাগ্ৰত জীবন্ত আত্মা পাইলাম । প্রত্যেক মনুম্যের অন্তঃকরণের আভ্যন্তরে আত্মা মুভিকাভ্যন্তর-স্থিত বীজের নায় গৃঢ়ভাবে অবস্থিতি করিতেছে; কিন্তু বামন অবতারের যেরূপ গল্প শুনা য়ায়—শরীরস্থিত সেই যে, তাড়া, তাহার অধিকারবিস্তার স্বৰ্গ মৰ্ত্ত্য পাতাল ছাপাইয়া উঠিয়৷ আনন্তে গিয়া মিসিয়াছে । এক দিকে আত্মা এবং অার এক দিকে অনন্ত ব্রহ্মাণ্ড —তায়ার গুরুভারের নিকটে অনন্ত ব্রহ্মাণ্ড নতশির । এইমাত্র বলিলাম যে, আত্মা মনুম্যোচিত কার্য্যের প্রবর্তক; কিন্তু মনুমোচিত কাৰ্য্য—বলে কাহাকে ? কি উদ্দেশে কাৰ্য্য করিলে মনুম্যোচিত কাৰ্য্য করা হয় ? আত্মা মুক্তির ভিখারী—তা `यः लतः চুরির পন্থায় ফিরিতেছে, তবে সে তাহার | স্তরে বদ্ধ থাকিতে পারে না— আত্মার কাৰ্য্যের কে প্রবর্তক ? স্পষ্টই দেখা লক্ষ অন্তরের দিকে প্রসারিত । অতএব . যাইতেছে যে, তাহার প্রবর্তক আর কেহ | শুদ্ধ বুদ্ধ মুক্ত স্বরূপ পরব্রহ্মের প্রতি লক্ষ