পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S్నం তত্ত্ববোধিনী পত্রিক করিয়া আত্মা যে কোন কাৰ্য্য করে, তাহাই মনুষোচিত কাৰ্য্য; এবং সে কর্য্যের ফল অনন্ত এবং চিরস্থায়ী মঙ্গল । যদি কোন প্রকার ক্ষণস্থায়ী এবং পরিমিত ফল উৎপাদন করা আত্মার চরম লক্ষ্য হয়, তবে সেইটি করিয়া চুকিলেই তাত্মার সমস্ত কাৰ্য ফুরাইয়া যায় ; পুষ্প প্রস্ফুটিত হইয়। উঠিলেই তাহার কার্য্য যাহা তাহ শেম হইয়া যায়, কাজেই তাহ শুষ্ক হইয়া ভূতলে নিপতিত হয় । আমরা যে কোন গৃহে অবস্থিতি করি না কেন,তাহারই এমন একটি দ্বার খুলিয়া রাখা আবশ্যক যাহার মধ্য দিয়া মুক্ত বায়ু যাতায়াত করিতে পারে ; তেমনি, আমরা নে কোন অবস্থায় অবস্থিতি করি না কেন, তাহারই একটি না একটি দ্বার হামন্তের দিকে খুলিয়া রাখা ! দোভাগ্যের সীমা নাই । আবশ্যক,—তাহা হইলে ক্ষুদ্র কুটারের অভ্যন্তরেও স্বর্গের সোপান উন্মুক্ত হইয়৷ যায়। আমরা যাহা কিছু করি—সমগ্র মনুষ্যমণ্ডলীরই হিত-সাধন করি, তার আমাদের পরিবারবর্গেরই হিত সাধন করি —তাহা যদি তামরা ঈশ্বরের প্রতি লক্ষ করিয়া করি, তবে তাতার ফল তাহাতেই পর্য্যাপ্ত ন হইয়া অনন্তে গিয়। পৌছে । মনুষ্য তামৃতের অধিকারী—এই জন্য অমৃতধনের প্রতি লক্ষ করিয়া কাৰ্য্য করাই মনুম্যোচিত কাৰ্য্য । অতএব অনন্ত মঙ্গল স্বরূপ পরমাত্মার প্রতি আত্মার দ্বার উদঘাটন করিয়া দেও—তিনিই অক্ষয় অমৃত ধন। অদ্য এই শুভ মাঘের একাদশ দিবসে সেই অক্ষয় অমৃত ধন ভিন্ন আর কোন কিছুই যেন আমাদের হৃদয়াভ্যন্তরে স্থান না পায় । এই শুভ মুহুর্তে আইস

  • \ আমরা সরল হৃদয়ে নিৰ্ম্মল চিত্তে এবং তদগত প্রাণে আমাদের সমস্ত প্রাতিভক্তি সেই পরম প্রভু পরমাত্মার চরণে সমর্পণ

করিয়া পাপতাপ দুঃখ শোক জরা মৃত্যুর পরপারে উত্তীর্ণ হই । হে পরমাত্মন! দীন হৃদয়ে কৃপাবিন্দু প্রদান কর—ব্যাকুল হৃদয়ে প্রেমস্থধা প্রদান কর ; আমরা আমাদের হৃদয়ের আসন পাতিয়া দিতেছি—তুমি দেখা দিয়া অামাদের জ্ঞান-নেত্র সফল কর । তোমার দর্শন পাইলে আমরা কি ধন না পাই ; তোমার অভয় আনন্দমূৰ্ত্তি আমাদের মোহঅন্ধকারের আলোক ; তোমার প্রসাদবারি । আমাদের মৃতসঞ্জাবনা ঔষধ ; তোমার স্নেহ করুণা আমাদের প্রাণের সম্বল ; তোমার প্রেমমূখ-জ্যোতি আমাদের অনন্দের প্রাতঃসূৰ্য্য। আজ আমরা সকলে মিলিয়া তোমার পূজা করিতেছি—তুমি আমাদিগকে দর্শন দিতেছ—আজি তামাদের দান হান কেবল সন্তানের প্রতি কত তোমার করুণা ! তোমার এইরূপ করুণাতেই মৃত শরীরে জীবন সঞ্চার হয়; এইরূপ করুণাতেই হৃদয়গ্রন্থি-সকল ছিন্ন ভিন্ন হইয়া সকল সংশয় তিরোহিত হইয়া যায় ; এইরূপ করুণাতেই সংসার-সাগরের তুমুল তরঙ্গরাশি প্রশান্ত হইয়া যায়—চতুদিকে স্বর্গের দ্বার উন্মুক্ত হইয়া যায়। দান জনের প্রতি করুণা করিয়া তুমি যখন তাহাকে দর্শন দান কর, তখন সে তোমার প্রেমে মৃত হইয়া তোমা ভিন্ন তার কোন কিছুই চাহে না—তোমার মুখজ্যোতিই তাহার জীবনসৰ্ব্বস্ব। চির দিনই যেন এইরূপ তোমার প্রেম-মুখজ্যোতি আমাদের পথের অtলোক হয়—এই আশীৰ্ব্বাদ আমাদিগকে প্রদান কর, তাহা হইলেই আমাদের সকল দুঃখ—সকল অভাব—দূর হইয়া যায়। ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । க-ம் २२ कछ, २ ४ण *