পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ستے سے____-___سے__ *= పాడా - - - ষ্যত্ব দেখলে তৎক্ষণাৎ তা চিনে নিতে পারে। তাট বলি যে, মনুষ্য মাত্রেরই মনের ভিতরে মনুষ্যত্ব গোকুলে বাড়চে ; পাচ জনের দেখে শুনেই হোকৃ—বা বিপদে পড়ে ঠেকে শিখেই হো’ক—বা সদগুরুর উপদেশেই হোক - বা বই পড়েই হে’াক –কোন গতিকে সেই অন্তরস্থ মানুষটির চোক ফুটলেই সে নিজ মূৰ্ত্তি • ধারণ ক’রে উঠবে। ঘরের হাতি দিয়ে যেমন বলের হাতি ধ’রে (৭নে তাকে ঘরে পোষ মানাতে হয়, তেমনি, তন্তরের মনুষ্যত্ব দিয়ে বাহিরের মনুষ্যত্ব ধ’রে এনে তাকে অন্তরে পুষতে হয় । মনুষ্যত্ব সবারই তান্তরে বর্তমান তাছে— বাইরের পীচ জনের মনুষ্যত্ব সেই অন্তরের মনুষ্যতেরই রসদ যোগায় । কিন্তু সেই যে দুর্লভ রত্ন মনুষ্যত্ব তার খনি কোথায় ? তা’র খনি হ’চ্চে আত্মা । তাতেই মনুষ্যের মনুষ্যত্ব ;—আহ্লাকে ছেড়ে মনুষ্যত্ব শুধু কেবল একট। টাকা আ ওয়াজ ! আত্মা হ’তেই মনুম্যোচিত কাজ ফুটে বেরোয় – আর, সেই মনুস্যোচিত কাজের মধ্যেই আমরা মনুষ্যত্বের পরিচয় লাভ করে । কাউকে যদি দেখি যে, সে টাকার লোভ সম্লাতে না পেরে চুরির পন্থায় ফির চে—তবে সে যে তা’র কাজ সেট মনুমোচিত কাজ নয়— সেটা বিড়ালোচিত কাজ ; পষ্টই দেখা যা’চ্চে মে, সেরূপ কাজে আত্মার কোন তাতএব, হাত নেই—বাচিরের জিনিসের প্রবল আকর্ষণই সে কাজের মূল । সেরূপ কাৰ্য্য যে যখন করে, তখন তা’কে বাহিরের জিনিসের আকর্ষণ নাকে দড়ি দিয়ে চালায়। আর-এক ব্যক্তিকে যদি দেখি যে, সে ঈশ্বর-প্রেমে গদগদ হ’য়ে আপনগর শক্রর সঙ্গে ভায়ে’র মত ব্যবহার ক’চ্চে—তবে তার সে কাজটিতে বাড়িরের জিনিসের কোন হাত নেই—তাত্মাই সে কাজের হা’ল ধ’রে ব’সে আছে । এইরূপ আমরা পাচ্চি যে, মনুষোচিত কার্য্যেই মনুষ্যত্ব হয় – তার, আত্মাই মনুম্যোচিত কার্য্যের কর্ণধার ; তবেই হ’চ্চে যে, আত্ম৷ মূল—মনুষ্যত্ব তার ফল । পৃথিবী-শুদ্ধ ভাই বোন সমিতি ২১৫ মনুষ্য-জাতির ভালবাসা থেকে আমরা চলতে স্বরু কল্প ম—চলতে চলতে শেমকালে আমরা আপনার আপনার ভিতরমুলুকে আত্মাতে এসে পড়লুম্। মনুষ্যজাতি খুঁড়তে খুড়তে মনুষ্যত্ব বেরয়্যে পড়লো—মনুষ্যত্ব খুড়তে খুড়িতে আত্ম। বের য়ে পড়লো—নির্জীব কেঁচো খুড়তে খুড়তে জ্যান্ত সাপ বের য়ে পড়লো ; তোমরা দেখচি ভয়ে পিছোচ্চো—কিন্তু যদি তামরা 'ল পু সি ও বীর-কন্যা হও তবে মাপের তজন গর্জনে ভয় না পেয়ে —তা", মাথা থেকে সাত রাজার ধন মাণিক স গ্রহ করবার জন্যে কোমর বেঁধে তাকে ঘিরে দাড়া ও—তা’কে কোন মতেই পালাতে দি ও না । O আমি চাই এই যে, তোমাদের এই ভাই বোনের সমিতির মধ্যে-থেকে জাগ্রত জালন্ত আত্মার ভাব প্রস্ফ টিত হ’য়ে উঠুক্‌ ; সেই আত্মার ভাবটি প্রথমে জ্যান্ত সাপের মত ভয় নক—কেননা প্রথমে সেট প্রতি জনের স্বার্থের বিরোধে ফণ ধ’রে ওঠে । তুমি চাও যে, শুধু কেবল তোমারই ভাল হো’ক্‌, আর সকলের কারো কিছু চ’য়ে কাজ নেই ; কিন্তু আত্মা বলে যে, সকলের ভালই তোমার ভাল ; কেননা, সকল শরীরের পক্ষে যা ভাল—ত। হাতের ও ভাল—পায়ের ও ভাল—বুকের ও ভাল—মাথার ও ভাল; কিন্তু যা শুধু কেবল জাভের পক্ষে ভাল কিন্তু পেটের পক্ষে এবং তার আর সমস্ত শরীরের পক্ষে খারাপ—ত সকলের পক্ষেই খারাপ—জীভের নিজের পক্ষে ও খারাপ ; কেননা, তাতে জাভেও ক্রমে ক্রমে এরূপ অরুচি ধরে—যে আগে যা তা’র – কাছে মিষ্টি লাগতে, শেসে তাও তার কাছে তিতে হয়ে দাড়ায় । এই জন্য যারা শুধু কেবল আপনার ভালটিই চেনেন—তাদের কাছে আত্মার ভাব জ্যান্ত সাপের মত ভয়ানক । কিন্তু র্যারা সকলের ভাল’র সঙ্গে সঙ্গে আপনার ভাল চান—তাদের কাছে সাপটি নত-শির হ'য়ে আপনার মাথার মাণিকটি তাদের পদতলে ঢেলে । দেয়। সে মাণিকটি সকল ঐশ্বর্ঘ্যের