পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২২৪

২২৩ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা , ৪, ২ গং কল্প, ২ মুখস্ত্রীকে আরও প্রফুল্লিত করিবার জন্য । এখানকার উৎসব দ্বার উদঘাটিত হইয়াছে। এখানে ধনী দরিদ্র পাপী পুণ্যবান কাহারও ৷ আসিবার বাধা নাই, সকলে নিজ নিজ অতীত জীবন আলোচনা করিয়া ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত কর । উঠ, জাগ্রত হও, আর কতকাল মোহে অভিভূত থাকিবে । ব্রাহ্মধৰ্ম্ম উচ্চৈঃস্বরে বলিতেছেন “উত্তিষ্ঠত জাগ্ৰত প্রাপ্য বরান নিবোধত ক্ষুরন্ত । ধার। নিশিতা দূরত্যয় দুর্গং পথস্তং কবয়ো বদন্তি’ ; হৃদয়ের মলা প্রক্ষালিত কর, তুমি যে পথে পদপিণ করিবে সেই ধৰ্ম্মপথ অতি- , দের তান্তরিক বিশ্বাস । আমরা তাহারদের নিদিষ্ট প্রকৃষ্ট পথ শয় দুগম, পূর্ব হইতে সতর্ক হও । পণ্ডিতেরা এ পথকে শাণিত ক্ষুরধারের ন্যায় বলিয়া গিয়াছেন। ভূমৈব সুখং নাল্পে । বিশ্বাস ও কার্য্যে তাহারদের আর্য্যভাব সুখমস্তি, যিনি ভূমা যিনি মহান তিনিই মুখ স্বরূপ, তাহার ভজন সাধনে আপনাকে । সময়ে তাহারা ঈশ্বরলাভে এতদূর কৃতকাৰ্য্য হইয়াছিলেন, যে এই উনবিংশ শতাব্দির জ্ঞানালোকপরিপূর্ণ সভ্য স নিয়োগ কর, নশ্বর ক্ষুদ্র পদার্থে বা চঞ্চল মনুম্যের প্রেমে বিশ্বাস স্থাপন করিয়া তাহাতেই উন্মত্ত হইয়া প্রতারিত হই ও না । সংসার ভয়াবহ মৃত্যুর করাল মূৰ্ত্তি ; এ খানে যাহার জন্ম তাহার ক্ষয়, যাহার জয় । গঙ্গাত্ৰো- ভাব রক্ষা করিতে আমরা এত ব্যাকুল, উপরে । নিখাত করিয়া | সময় থা- ৷ মষ্টি । যেমন শারীরিক বল পরিবদ্ধিত হয়, জ্ঞা পরক্ষণে তাহারই পরাজয় । তের ন্যায় এমন চঞ্চল অবস্থার আপনার সুখের ভিত্তি অনুতাপানলে দগ্ধ হই ও না । কিতে থাকিতে প্রাণস্বরূপ পরমেশ্বরের শরণাপন্ন হও, তাহার মঙ্গল স্বরূপে বিশ্বাস স্থাপন করিয়। নির্ভয় হও । ময়ী ইচ্ছার সঙ্গে আপনার ক্ষুদ্র ইচ্ছার সম্মিলনে বিপদের কঠোরতা বিদূরিত কর, যে শোক সন্তাপের তীব্রতা ক্ষীণ হইয়া পড়িবে, র্তাহাকে জ্বালা যন্ত্রণার অভেদ্য দুর্গ জানিয়া নিশ্চিন্ত হইবে । র্তাহার মঙ্গল- | আমরা পবিত্র ঋষিকুলে জন্মগ্র করিয়াছি। কালের করলে মুখবাদানে র্তাহারদের কীর্তি কলাপ সকলই বিধৌত হইয়া গিয়াছে । তাহারা যে পবিত্র তেজীয়ান মন্ত্রে স্বরস্বতী-কূল প্রতিধ্বনিত করিতেন, বেদ উপনিষদনিহিত সেই সকল অমূল্য রত্বের সিদ্ধবিদ্যার অধিকারী হইয়। আমরা তাহারদের পবিত্র প্রাণে অনুপ্রাণিত হইয়া আজ বহু শতাব্দী পরে সেই সকল মন্ত্র উচ্চারণ করিয়া আর্য্যকুল-দেব উৎকৃষ্ট আচার্য্যের নিকট গমন করিয়া পরা বিদ্যার উপদেশ গ্রহণ কর, সাধুসঙ্গে । তার আরাধনা করিতেছি । আমরা গভীর । সাধনায় পূর্বপিতৃপিতামহগণলভ্য র্তাহারদের ও আমারদের নিজস্ব কুলদেবতাকে লাভ করিতে পারিব, এই আমারসেই জন্যই অবলম্বন করিয়া তাহাকে পূজা করিতেছি, রক্ষা করিতেছি । সেই অন্ধতমসাচ্ছন্ন মাজ তাহা দেখিয়। স্তব্ধ হইয়া গিয়াছে । এই কারণেই সাধন তপস্যায় প্রকৃত হিন্দু র্তাহারদের পদানুসরণ করিতে এত ব্যস্ত। আমরা জড়শরার মন ও আত্মার সব্যায়াম শিক্ষা ও অঙ্গসঞ্চালনে নের পূর্ণ বিকাশে যেমন মানসিক সৌন্দর্য্য পূর্ণায়তন লাভ করে, তেমনই ঈশ্বরচিন্ত৷ ও তদানুসঙ্গিক শ্রদ্ধা ভক্তিরও স্নেহমমতার বৰ্দ্ধনে মনুষ্যের আত্মা স্বগীয় শোভা ধারণ করে । শরীরের সঙ্গে অামারদের অনিত্য সম্বন্ধ, আত্মা এখানকার সুকুতি দুষ্কৃতির | ফলাফল ভোগ করিতে করিতে ইহলোক s Bs مصاص