পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه د جلا R6GT o-o o হইতে লোকান্তরে গমন করিবে । শরীর পঞ্চভূতে মিলিয়া যাইবে । যিনি আমারদের চিরসঙ্গী, ঘিনি আমারদের ইহকালের নিয়ন্ত পর কালের সহায় ইহজীবনের বিনাশেও যেন সেই অমূল্য রত্নকে ক্রয় করি । যাহা হইতে শরীর মন প্রাপ্ত হইয়াছি আইস তাহারই কার্য্যে ইহাকে আহুতি দিয়া আত্মার প্রাণকে পরিপুষ্ট । করি। মুতু্য আসিয়া বাপ্য করিবার পৃকেবই আইস আমরা সহজে তাতার নিকট আত্ম সমপণ করি ! ময় ময় স° সারের সেবাতেই আমারদের প্রকৃত অধীনতা, র্তাহাকে প্রীতি করায় ও তাচার প্রিয়কাৰ্যা সাধনেই অ! মারদের প্রকৃত স্বাধীনতা । বালি ধৰ্ম্মসভা তাহার কার্য্যেই মনুস্য ভূমানন্দ লাভ ক- । রিতে পারে, এ আনন্দের বিরাম নাই, দেবতারাও এ আনন্দের ভিখারী । আমরা এই পবিত্র ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়। যেন ধৰ্ম্মমদে উন্মত্ত হওত সত্য হইতে পরিভ্রষ্ট না হই,ধৰ্ম্মোন্মাদের কুজীবটিকা আমারদের গন্তব্য পথকে তমসাচ্ছন্ন করিয়া ফেলে, হৃদয়কে অন্তঃসারশূন্য করিয়া তোলে, হৃদয়ের প্রকৃত মহত্ত্ব হইতে মনুষ্যকে পরিভ্রন্ট করে । যাহা ধৰ্ম্মের প্রতিরূপক বাস্তবিক ধৰ্ম্ম নহে তাহাই প্রকৃত ধৰ্ম্ম বলিয়া অামারদের সম্মুখে প্রতিভাসিত হয় । ব্রাহ্মধৰ্ম্ম আধ্যাত্মিক ধৰ্ম্ম, বহিরের আড়ম্বরের সঙ্গে ইহার কোন সংস্রব নাই । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের সাধনে যতই বহিমুর্থী ভাব প্রবল হইবে ততই মনে করিতে হইবে যে আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ-সাধনের ভাব খর্ব হইতেছে। : আমরা বহুকাল পরে বিগতবিবাদং পরমেশ্বরের শরণাপন্ন হইয়াছি, অসূয়া পরনিন্দ যেন অামারদের মধ্যে স্থান না পায় । শান্তোদান্ত উপরত স্তিতিক্ষুঃ সমাহিতে৷ ভূত্ব আত্মন্যেবাত্মানং পশ্যতি । অন্তরি অপেন २२S ন্দ্রিয়লেল্য হইতে মনকে নিবৃত্ত কর, বহিরিান্দরগণকে শাসন কর, যুক্তমনা যুক্ত কৰ্ম্ম। হও, ক্ষমাপরায়ণ হও, তবে তাত্মরূপ দর্পণে পরমাত্মাকে প্রতিবিম্বিত দেখিবে । চিত্তক্ষেত্রকে পবিত্র করিয়া তাহাতে ব্ৰহ্মরূপ বাজ নিহিত করিলে কালসহ কারে উহার স্নিগ্ধ ছায়ায় আপনার কাতর প্রাণকে শীতল fর, পরিবে নহিলে ব্রহ্মসাধন বিড়ম্বন মাত্ৰ । হে পরমান ! ব্রহ্মসাধনের কঠোরত। জানিয়া ও আমরা তোমার পবিত্র ধৰ্ম্ম এহণ করিয়াছি। যখন আপনার দুর্বলতর . উপরে দৃষ্টি নিক্ষেপ করি, তখন আর পরিত্রণের কোন আশ থাকে না । তুমি তামারদের সর্বস্ব, তুমি তোমার পবিত্র স্বরূপের দিকে আহবান না করিলে আমরা হইতে তোমার দিকে অগ্রসর হইতে পারি না । অামারদের প্রাণের এমন কি মূল্য, অামারদের সাধনের এমন কি প্রভাব যাহাতে তোমাসন অমূল্য রত্নকে লাভ করিয়া কৃতপুণ্য হইতে পারি। তুমি আমাfগকে তোমার দিকে অাকর্ষণ কর । হৃদয়ের জাল। যন্ত্রণ নির্ববাণ করিয়া দাও ; ধৰ্ম্মভাব ও শ্রদ্ধাভক্তি প্রদীপ্ত কর, তোমার সংমোহন মূৰ্ত্তি দেখাইয়। অামারদের নয়নকে এমনই শীতল কর, যেন আর পৃথিবীর দিকে আমরা ফিরিয়া ন যাই । র্যহারা ধম্মবলে উন্নত হইতেছেন, তাহাদিগকে অনন্দের পর আনন্দ বিধান করিয়া তোমার দিকে আর ও আকৃষ্ট কর । যাহারা তোমার অজস্র করুণার মধ্যে থাকিয় ও তোমার প্রতি বিমুখ, মাত৷ যেরূপ রুগ্ন সন্তানদিগের প্রতি তাধিকতর স্নেহ প্রকাশ করেন তেমনই তাহাদিগকে তোমার আলিঙ্গন-পাশে গাঢ়রপে আবদ্ধ । কর, সস্নেহ বচনে হস্তধারণ দরিয়া তাহা