পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২২৬

২২২ time TM MAMMMAMMMMMSAMSAAAAAA AAAAA তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ०२ कछ. २ छtन - e. দিগকে তোমার পথের পথিক কর । | পরিসমাপ্তি নাই । আপনি আপনার জ্ঞা তোমার করুণাই অামারদের আশা ভরসা সকলই । তোমার দয়ায় শুষ্ক তরু মঞ্জ রিত হয়, পাষাণে বীজ অঙ্কুরিত হয়, আর | নাই, সংসার-প্রবাসে কতদিন আমাকে আমারদের মৃতপ্রায় আসাঢ় আত্মা হইতে কি প্রার্থনা ধ্বনি উত্থিত হইয়া তোমার পাদমূল স্পর্শ করিবে না, আমারদের হৃদয়তন্ত্রীতে অনবরত মধুর ব্রহ্মনাম নিনাদিত হইবে না। আমরা তোমার অধম সন্তান, তোমার স্বষ্টি রাজ্যের ক্ষুদ্র বালুকণা। তুমি আমারদিগের প্রতি প্রসন্ন হইয়া এই বর দাও যেন লোকলোকান্তরে তোমার নাম গাহিতে গাহিতে, তোমার পবিত্র নাম মহীয়ান করিতে করিতে জীবনকাল অতিবাহিত করিতে । পারি। তোমার দ্বারের ভিখারী হইলে । কেহ শূন্য হৃদয়ে শূন্য হস্তে প্রতিনির দ্রু হয় না এই বিশ্বাসে তোমার শরণাপন্ন হইয়াছি, তুমি আমাদিগকে রক্ষ। , কর । | ایران ও একমেবাদ্বিতীয়ং । মনুষ্যের সঙ্গে বাহিরের যতটুকু ঘনিষ্ট । যোগ, তাহা হইতেই সে স্পষ্ট দেখিতে পায় যে সে তাপমাতে আপনি পুর্ণ নহে । | আচার, বিহার, শয়ন উপবেশন,স্বাস্থ্যলাভ সুখবৰ্দ্ধন সকল বিষয়েই সে বাহা জগতের মুখাপেক্ষী । বাহ্য জগতের ক্রোড়ে এইরূপ লালিত পালিত হইতে হইতে তাহার মনে আত্মজিজ্ঞাসা উপস্থিত হয় ; কোথায় হইতে বা আমি আসিলাম, বাস্থ্য জগত বা কোথা হইতে আসিল ? যতদিন না তাহার মনে এক সরল মীমাংসা স্থান পায়, নিপতিত হয় । ততদিন আর তাহার প্রাণের ব্যাকুলতার নের বিষয় হইয়া সম্মুখে উপস্থিত হইলে সে দেখিতে পায় যে, আমি দেশ কালে বদ্ধ, আমি ইচ্ছা করিয়া এখানে আসি আতিথ্য গ্রহণ করিতে হইবে আমার পিপাসা ভৌতিক উপাদানে কিরূপে শান্ত হইবে তাহাও জ্ঞাত নহি । আমি চারিদিকে একটি দুর্লঙ্ঘ্য গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ, সহস্ৰ চেষ্টা করিয়া ও তাহার অতীত দেশে গমন করা আমার পক্ষে যার পর নাই দুঃসাধ্য। এ সীমা কোথা হইতে আসিল ? বাহ্য জগতকে অপরিবর্তনীয় নিয়মের শৃঙ্খল কে পরাইয়া দিল ? আপনার অস্তিত্বের বিষয় পর্য্যালোচনা করিতে গিয়া দেখিতে পাই অামি পিতা হইতে, পিত। পিতামহ হইতে, তিনি ও তাহার পূর্ববর্তী পুরুষ হইতে জন্ম গ্রহণ করিয়াছেন । এইরূপে ক্রমে পশ্চাৎপদ হইতে হইলে আমরা একটি অনন্তকালব্যাপ্য জাব প্রবাহ বা কারণ-প্রবাহ দেখিতে পাই, অথচ এমন একটু স্থান দেখিতে পাই না যেখানে গিয়া স্থির হইতে পারি। আস্তিক্য বুদ্ধি। এরূপ পশ্চাৎগমন অামারদের বিবেচ্য বিষয় সম্বন্ধে কোন রূপ অনুকূল্য করে না, অথচ অকারণ জীবপ্রবাহের বা সসীম কারণ-প্রবাহের অনন্তত্ব মানিয়া লইতে হয় । তর্ক শাস্ত্রের সাহায্য গ্রহণ করিয়া সসীমের পশ্চাদ্ধাবনে উহার অন্তরালে প্রস্তাবিত বিষয়ের সদুত্তর প্রাপ্ত না হইয়া যখন আমরা ইতস্ততঃ ভ্রমণ করিতে থাকি, তখন আপনাতে আপনি পরিপূর্ণ এক আদি কারণের দিকে আমারদের দৃষ্টি র্তাহাতেই সকল প্রশ্নের সিদ্ধান্ত দেখিতে পাষ্ট, ইহঁাকে ছাড়িয়া যে দিকে গমন করি, সেই দিকেই কুজৰাটিক