পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه و بود ts g আস্তিক্য-বুদ্ধি SSS to I-II আসিয়া মীমাংসার পথকে ঘোর অন্ধ কারাচ্ছন্ন করিয়া ফেলে । - ক্রমে স্থম্পস্ট বুঝিতে থাকি যে এই প্রকাণ্ড বিশ্বচক্রের আদি কারণ অসীম, অনন্ত অপরিবর্তনীয়, স্বাবলম্ব, সৰ্ব্বশক্তিমান এবং • সর্বদর্শী । ইনি ধ্রুব সত্য সনাতন । ঋমি:৷ ইহাকে সকলের কারণ সকলের একমাত্র আপার ও নিদানভূত জানিয়া জ্ঞান ও বিশ্বাসে প্রজ্বলিত হইয়। বলিয়া গিয়াছেন “তস্য ভাসা সৰ্ব্বমিদং বিভাতি” কেবল র্তাহার কিরণে জগৎ সংসার প্রকাশিত হইতেছে । বাস্তব সত্ত্ব। একমাত্র তাঙ্গারই । বস্তুত তাল দিমং কারণ অথবা ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস মনুষ্যের পক্ষে এমনই সহজ ও স্বাভাবিক যে ই হার জন্য কোন রূপ প্রমাণ ত্যাবশ্যক করে না । ঈশ্বরের ক্ষমতা বা নৈপুণ যাহা স্বষ্টি-কৌশলে অভিব্যক্ত হইয়াছে তাহাই ঈশ্বরের অস্তিত্বের পরিচায়ক বটে, কিন্তু তাহার অস্তিত্বে বিশ্বাস যারপর নাই স্বাভাবিক ; সসীম জগৎ সংসারে তাহার অনুপম স্বষ্টি-চাতুরা এই বিশ্বাসকে দৃঢ়ীকৃত করে এই মাত্র । নয়ন উন্মীলন করিলে স্থাবর জঙ্গম ভূচর খেচর সমুদয় জীব জন্তুই তাহার দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া অন্তরে তাঙ্গর অ স্তিত্বের ভিত্তিমূল সুদৃঢ় করিয়া দেয়, তাহার অসীম ক্ষমতার পরিচয় প্রদান হইব ? করে, তাহার উপর নির্ভরের ভাবকে প্রশস্ত । করিয়া তোলে। যখনই আমরা সসীমকে দেখি, তখনই উহার অবলম্বন অসীমের সত্ত্বা স্বীকার না করিয়া থাকিতে পারি না। চন্দ্র পৃথিবীর আকর্ষণে আপনার কক্ষপথ হইতে বিচলিত হইতেছে না, সূৰ্য্য পৃথিবীকে আপনার পথ হইতে রেখামাত্র স্থলিতপদ হইতে দেয় না। বৃক্ষ লত পাদ দ্বারা রসাকর্ষণ করিয়া জীবন ধারণ করে, নর নারী পশু পক্ষী ফল মূলাহারে জীবিত থাকে । মেঘ বারিধারা বর্ষণে শুষ্ক পৃথিবীকে সিক্ত করে। সূর্য্যের দারুণ উত্তাপে আকাশম গুলে মেঘমালা সঞ্চিত চক্টতে থাকে। জলদরাশি বায়ুবেগে পৰ্ব্বতের বক্ষে আহত হইয়া জলরূপে পরিণত হইয়। নদ নদীর কলেবর বৃদ্ধি করিতে থাকে। এইরূপে পৃথিবীর যাবতীয় বস্তুই পরম্পরের সঙ্গে সূক্ষ যোগে আবদ্ধ, কহই স্বাধীন নহে। সকলেই অপরের মুখ চাখিয়া রহিয়াছে। সুতরাং - একজন নিরবলম্ব কারণ বা পুরুষ ইহার পশ্চাতে থাকিয়া ইহাদিগকে নিয়মিত করিতেছেন । যে আপনি পরাধীন সে কেমন করিয়া আপনার বলে আপনি তিঠিতে পারে । আমরা কোন স্বাধীন পুরুষকে দেখিতে পাই নাই বলিয়া কি তার সত্ত্ব নাই । আদি কারণকে বিশেষ রূপে বুদ্ধির আয়ত্ত করিতে পারি নাই বলিয়া কি তাহার আস্তিত্ব নাই ? তিনি আমাদিগের বুদ্ধিবৃত্তির বহুদূরে বর্তমান বলিয়া কি র্তাহ কে অগম্যবোধে একবারে পরিত্যাগ করিব ? তর্কশাস্ত্র ততদূর উঠতে পারে না বলিয়া কি তাহার অস্তিত্বে সন্দিহান হৃদয়কে জিজ্ঞাসা কর সে অসন্ধুচিত ভাবে বলিবে যে ঈশ্বর-বিষয়ক সত্যান্বেষণের অন্যবিধ উপায় অামারদের বুদ্ধির মূলেই বর্তমান । সত্যস্বরূপ ঈশরের বিমল জ্যোৎস্নায় অন্তদেশ আপনা হইতেই আলোকিত । সকল জড় আবরণ ভেদ করিয়া তাহার প্রখর আলোকে অন্তর্দেশ জ্যোতিমান রহিয়াছে । অনন্তের অসীম মহিমার প্রতিবিম্ব আপনা হইতেই হৃদয়- ‘ ক্ষেত্রে প্রতিবিম্বিত রহিয়াছে ।