পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੋ5ਯ 3 , ) e আস্তিক্য-বুদ্ধি २२(? আর কোথা পাইবে । এই জন্যই তাহার অঙ্গুলি সহজেই আকাশকে দেখাইয়া দেয় । 曲 ঐশ্বরিক জ্ঞানের এরূপ স্থল বিশ্বাস মনুষ্য মাত্রেরই নিজস্ব ধন । এই জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধন মনুষ্যজাতির চেষ্টা ও যত্ন- । জ্ঞানের ও শিক্ষার উন্নতির । সাপেক্ষ । সহিত বুদ্ধিবিকাশের সঙ্গে ঈশ্বর বিষয়ক জ্ঞান পূর্ণাবয়ব লাভ করিতে থাকে । ..ই । জন্যই মনুষ্য জাতির উন্নতির ইতিহাসের প্রতি অঙ্কে এই মত ও বিশ্বাসের বিলক্ষণ পরিবর্তন দৃষ্ট হয় । সামান বীজ অঙ্কুরিত হইয়া যেমন কাল সহ কারে প্রকা ণ্ড বটবৃক্ষে পরিণত হয়, সেইরূপ ঈশ্বরের অস্তিত্বজ্ঞানের নৈসর্গিক স্যার বিবিধ ক্রম তাহাকে লাভ করিলার কালে এই জ্ঞানের সমধিক চর্চা হইতে থাকে সেই দেশেই ঈশ্বরের যথার্থস্বরূপ মানব হৃদয়ে সুস্পষ্ট প্রকাশিত হইয়া প্রকৃত মনুষ্যত্ব লাভের পথ জগতের সম্মুখে প্রকাশিত করিয়া দেয় । আমরা অাৰ্য্য সন্তান । এই আর্য্যভূমি যে এক কালে সভ্যতার উন্নততম মঞ্চে আরোহণ করিয়া পরা বিদার প্রকৃষ্ট চর্চায় আপনাকে জগতের শীর্ষস্থানীয় করিয়া তুলিয়াছিল, এখানকার জ্ঞান বিজ্ঞান, চিকিৎসা বা দশ•, কাব্য বা জ্যোতিম, নাটক ও ধৰ্ম্মশাস্ত্র ক্ষার স্থল। ধৰ্ম্মভাব ঈশ্বরপ্রেম আর্য্যসন্তান করিয়াছিল যে র্তাহারা যাহা বলিতেন রাখিতে পারিতেন না । বৃক্ষের পত্রে পতঙ্গের পতত্রে হিমালয়ের গগনস্পশী পানে প্রধাবিত হয় । বিশ্বাস মন্থষ্যের এমনই সহজ এমনই স্বাভাবিক যে ইহা অদ্যাবধি এই জ্ঞানগর্বিত ইতিহাস 9 সংহিতাই তাচার প্রকৃত পরী বিসম্বাদ চইয়। দাড়াইবে না । যাহা করিতেন তাহা হইতে ঈশ্বরকে স্বতন্ত্র উচ্চতায় সমুদ্রের ভীষণ তরঙ্গে বিদ্যুতের চাকচিক্যে, বজের হৃদয়ভেদী নিলাদে, প্রভঞ্জনের দারুণ আঘাতে কেবল র্তাহারই বিকাশ দেখিতে পাইতেন । ভূতত্ত্ব, রসায়ন,ভূগোল খগোল, জ্যোতিষ ও পদার্থদর্শনের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে যতই আমরা জগতের মধ্যে একটি সুন্দর অভিপ্রায়ের পরিচয় পাইতে থাকি ; যতই আপাত-প্রতীয়মান বিশৃঙ্খলতার মধ্যে একটি শঙ্খলের মূল দেখিতে পাই তত ঈশ্বরবিসস ক জ্ঞান পরিবদ্ধিত হইতে থাকে । ততই ঈশ্বরের সুমহান মঙ্গলভাব তান্তরে বদ্ধমূল হইতে থাকে ঈশ্বরের অস্তিরে বিশ্বাস না থাকিলে; তাহার বীজ কাল সহকারে । স্ফৰ্ত্তি লাভ করলে ধান ধারণা সাধন তপ মঙ্গল অভিপ্রায়ে নিষ্ঠ স্থাপন না করিলে, বিপদে শান্তি নাই, রোগে সান্তুনা নাই ; দুর্জয় শোক অপনয়নের উপায় নাই, উপায়ীভূ ত হইতে থাকে । যে দেশে যে ; তাত্মার ক্ষুধা তৃপ্ত হইবার সম্ভাবনা নাই । তাহার উপর ঐকান্তিক বিশ্বাস দুৰ্জ্জয় মহাপ্রলয়ের তীক্ষ্ণবীর্যা মৃদু করিয়া আনে, দীপ্তশারা হইলে শান্তি বারি বর্ষণে উহার কঠোরত নিৰ্ব্বাণ করিয়া দেয় । সকল জ্ঞান সকল বিদ্যা সকল তত্ত্বের মর্যাদ। রক্ষা করিয়া উহারদের পূর্ণ তা সম্পাদন করে | তাহার মঙ্গল স্বরূপে স্থির নিশ্চয় হইয়া জ্ঞান বিজ্ঞান ক্রমশঃ উন্নতির সোঁঈশ্বরের অস্তিত্বে শতাবদীর কোন বিজ্ঞান শাস্ত্রের বিরোধী নহে। এবং নিসংশয়চিত্তে ইহা বলা যাইতে গণের অস্থি মজ্জায় এমনই প্রবেশ লাভ । পারে যে কোন কালে ইহা অপর বিদ্যার ঈশ্বর যখন জড় জগতের রাজা, প্রাণীরাজ্যের একমাত্র অধীশ্বর, স্বষ্টিকৌশলে তাহারই . প্রদত্ত নিয়মাবলীর অতি অল্প অংশই যখন