পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ČET A w S s আস্তিক্য-বুদ্ধি २९१ প্রতীয়মান অসঙ্গতি কি পরকালকে অপেক্ষ করে না, ঈশ্বরের অস্তিত্বে ধ্রুববিশ্বাস র্তাচার ন্যায়পরায়ণ গয় অবিচলিত নিষ্ঠা আছে বলিয়ই মনুষ্য সহস্ৰ কষ্ট ক্লেশের মধ্যেও ধৰ্ম্মকে ধরিয়া থাকে । এখানে ধৰ্ম্মের পুরস্কার প্রাপ্ত না হইয়াও অদৃশ্য পরলোকে ধৰ্ম্মের ন্যায্য পুরস্কার প্রাপ্তির আশা করিতে থাকে । তামরা দর্বল জীব, ভামারদের দে পদে বিঘ্ন পদে পদে বিপদ । বিপদের ভীষণ ভ্ৰকুটার মধ্যে তামরা তাঙ্গাতে নিরাপদ ড়ের্গ দেখিতে পাষ্ট । এখানকার ○ সকল অণশ। তিরোচি ত হইলে ও আমরা চকে হাড়ি না ইহাই তামারদের তাল্লার প্রকতি । এই জন্যই ঘোর বিপদের সময় তামারদের ক্ষীণ কণ্ঠ হইতে S-> ভরস তা চার নাম সঘন উচ্চারিত হইতে থাকে । । যখনই তামারদের দুর্বলতা প্রাণীয়মান । হয় তখনই তাহার উপর নির্ভরের ভাব । সহজেই মনে স্থান পায় । তা সামান্য প্রতিভাশালী ব্যক্তির কার্য্যকলাপে তাহার প্রতি তামারদের ভক্তি ও শ্রদ্ধা সহজেই ধাবিত হয় । যখন আমরা অভ্ৰভেদী হিমালয়ে বা নীলাকাশে দৃষ্টিপাত করি তখন উহার গাম্ভীৰ্য্য উহার উচ্চতা অামাদিগকে স্তম্ভিত করিয়া দেয় । ঈশ্বরের স্তুতি বন্দনা ঘোর নাস্তিকেরও পাষাণসমান হৃদয়কে আকুল করিয়া তোলে । উহার অজেয় ক্ষমতা মৰ্ম্মের স্তরে স্তরে প্রবেশ করিবেই করিবে। ঈশ্বর-বিষয়ক সঙ্গীতের অপরিমেয় ক্ষমতা নাস্তিককেও যেন পৃথিবীর উপরিতন জগতে লইয়া যায়। ঈদৃশ দৃষ্টান্তের ও অপ্রাচুৰ্য্য নাই। সেই জন্যই বলা যাইতেছে যে মহান ও অনন্তের দিকে মনুষ্যের স্বাভাবিক ভক্তি শ্রদ্ধা নিহিত রহিয়ছে । এবং ঈশ্বরের মহান ভাবে বিশ্বাসই এই ভক্তি শ্রদ্ধাকে চিরতৃপ্ত করিতে পারে। যদি বা আমরা কখন তর্কদ্বারা তাহার অস্তিত্বে উপনীত হইবার চেষ্টা করি, এবং বিফল-মনোরথ হইয়া প্রতিনিবৃত্ত হই তবে সে দোষ আমার ক্ষীণ বুদ্ধির অনধিকার চর্চার । যাহার অস্তিত্ব স্বতঃসিদ্ধ তাহাকে নিজ বৃদ্ধিতে প্রতিষ্ঠিত করিতে গেলেই যে এরূপ বিষময় ফল উৎপন্ন হইবে তাহাতে তার সন্দেহ কি ? কিন্তু তাহার অস্তিত্ব আমার ক্ষুদ্র শক্তির দূরবগম্য"হইল বলিয়া । কি তাহার বিষয়ে সন্দিহান হইব ? আমরা মৰ্ত্তেীয় ধূলিকণা হইয়া কি অসীম ব্রহ্মাণ্ডের স্রষ্টা পাতা বিপতাকে উড়াইয়া দিব ? তিনি আমারদের জ্ঞানের মূলে তাগচ তামারদের জ্ঞান ভাল ইচ্ছা তঁহাকে অঙ্গুলি দ্বারা নিঃসংশযরূপে নির্দেশ করিয়া দেয় । তাহার অস্তিত্ব-জ্ঞান মনুষ্যের এমনই স্বাভাবিক তিনি তর্কের বাহিরে এমনই উজ্জ্বলরাপে স্থিতি করিতেছেন যে কোন ধাৰ্ম্মিক কবি তাহাকে উল্লেখ করিয়৷ বলিয়া গিয়াছেন যে “সে না হলে অগপনার-—শুনিয়া তর্ক বিচার, বুঝিলে মন নিশ্চয়, প্রাণ কেন বুঝে না” । তিনি আমারদের প্রাণের মূলে রহিয়াছেন এত বড় ব্রহ্মাণ্ড যদি অন্ধশক্তির কার্য্য হয়, জড় জগতের ও প্রাণীরাজ্যের মধ্যে এত সৃক্ষ যদি ও তাহা সাময়িক, তথাপি । কৌশল দেখিয়া যদি এরূপ সিদ্ধান্তে অাসিয়া উপস্থিত হইতে হয় তবে জানি না ইহা অপেক্ষা কি অধিক অসম্ভপর হইতে পারে ।