পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२b~ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । কালন ব্রাহ্মসমাজ । কাৰ্ত্তিক ব্রাহ্মসম্বং ৫৯ ৷ আজ যাহার উপাসনার জন্য সকলে সমবেত হইয়াছি তিনি সত্যস্বরূপ জ্ঞানস্বরূপ নিরাকার নিৰ্ব্বিকার । কিছুকাল পূর্বে এদেশে প্রায় প্রতি গৃহেই মূৰ্ত্তিপূজা হইত কিন্তু এক্ষণে স্থশিক্ষিত সাধুলোক মাত্রই বুঝিতেছেন সাক্ষাৎ ব্রহ্মের পূজা ব্যতীত মুক্তি প্রাপ্তির অন্য কোন পথ । নাই ; তাই আজ এস্থলে—এই পবিত্র । দেব-মন্দিরে এত লোকের সমাগম । যিনি চেতনং চেতনানাং তিনি আমাদের অাত্মায়। র্তাহাকে পাইবার জন্য বাছ কেন কিছুরই প্রয়োজন নাই, এই হিরন্ময় শ্রেষ্ঠ কোষ মধ্যে—এই আত্মার মধ্যে র্তাহাকে অনুসন্ধান কর । শরৎকালের ন্যায় পূজার প্রশস্ত কাল আর নাই । এখন আকাশ নিৰ্ম্মল, চন্দ্র শুভ্র কিরণে চারি দিক আলোকিত করিতেছে, পথ কর্দম শূন্য, জল স্বচ্ছ, শরৎ শ্ৰী বিকসিত পদ্মনেত্ৰে যেন বিশ্বের শোভা দেখিতেছেন । বায়ু মৃদু মন্দ । প্রকৃতির এই ঐশ্বৰ্য্য ও সৌন্দর্য্য সহজেই আমাদের মনকে প্রসন্ন করিয়া অভ্যাজ এই ত্রহ্মোৎসবে প্রবৃত্ত করিয়াছে । যিনি এই প্রকৃতির স্রষ্টা তিনি তামাদের তান্তরে । শরৎ কালের নিৰ্ম্মলত। যেমন জলস্থল অভ্যাকাশের শোভা সেইরূপ নিৰ্ম্মলতাই আল্লার চির দিনের শোভা। আমাদের প্রত্যেককেই যত্বপূৰ্ব্বক তাহা সম্পাদন করিতে হইবে । জল স্বচ্ছ না হইলে কি তাহাতে চন্দ্র প্রতিবিম্বিত করা আবশ্যক । রূপ প্রতিভাত হয় না। আমাদের যা কিছু সাধন সমস্তই কেবল এই জন্য । নচেৎ তাহাতে ব্রহ্মের ।

  • २ कत्र, २ छाँ न

AA SAMMMDDSAAA AMMS MSMH HAAS SAAAAA আমরা নির্বোধের ন্যায় বহির্বিষয়েই ধাবিত হই তদ্বারাই আত্মায় কালিম সঞ্চিত হয় । সেই জন্য সাধনের পূর্বসোপান যোগ । এই যোগ শব্দের অর্থ চিত্তবৃত্তিনিরোধ। ইহা সিদ্ধ করিতে না পারিলে আত্ম কখন স্থির হয় না । আমরা শরতের বাস্থ শোভায় ব্রহ্মে অাক্লন্ট হইয়াছি এই সঙ্গে যদি আমাদের চিত্ত স্থির থাকে তবে নিশ্চয়ই আজকার উৎসবের মৰ্ম্ম হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিব । নিঃসঙ্গতাই চিত্তস্থৈৰ্য্যের হেতু বহিব্যাপারে মন ক্রমশ আসক্তিশূন্য হইলে তাচার স্তৈৰ্য্যলাভ সহজ হইয়া থাকে । প্রীতির পাত্রকে প্রীতি, স্নেহের পাত্রকে у স্নেহ কর, সংসারের নগাঘথ ভোক্ত ভোগ্য অণজ ব্যবহার নিম্পন্ন হুডক কিন্তু এতেকের তং তং বিষয়ে আসক্তিদোষ পরিহারের জন্য দৃষ্টি রাখিতে হঠবে। এতদ্ব্যতীত সাধনের কোন অঙ্গই সিদ্ধ হয় না। অামরা বহুদিন হইতে ব্রাহ্মসমাজে যোগরক্ষা করিতেছি, আচার্য্যের অন্তর্ভেদ উপদেশ শ্রবণ করিতেছি কিন্তু সময়ে সময়ে আত্মপরীক্ষায় দেখিতে পাই অামি এক পদ ও অগ্রসর হই নাই । মুক্ত কণ্ঠে কহিতেছি ইহার কারণ সংসারে ঘোরতর আসক্তি । আমির নিরাকার ব্রহ্মের উপাসক । মেঘস্থ তুষার বিন্দুতে যেমন অনন্ত আকাশ দর্শন হয় সেইরূপ আমাদের এই ক্ষুদ্র আত্মাতে সেই মহান আত্মাকে দেখিতে হইবে । কার্য্য অতি কঠিন । কিন্তু যে পথে যাইলে সিদ্ধিলাভ হয় আমরা সেই পথ জানিয়াও জানি না দেখিয়াও দেখি না । হয় ? সেইরূপ বুঝিও আত্মাকেও স্বচ্ছ । | সেই পথের প্রথম সোপান এই নিঃসঙ্গত । সকল বেদ সকল শাস্ত্র ভূয়োভূয় ইহারই উপদেশ করিতেছেন । ব্রাহ্মগণ জড় মূৰ্ত্তিপূজায় আত্মার