পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র ১৮১০ কালনা ব্রাহ্মসমাজ ૨૨ઝે জড় তা ও অস্বাস্থ্য অাইসে তাই আমরা তাহা ত্যাগ করিয়া-বেদদে দান্তোক্ত ব্রহ্মের । উপাসক হইয়াছি । কালে ইহা তামাদের সকল প্রকার জড়তা ও অস্বাস্থ্য দূর করিয়া অনন্ত উন্নতির দিকে লইয়া যাইবে। কিন্তু আজ কএক দিন হইল বঙ্গের গৃহে । গৃহে যে শক্তিপূজার উৎসব হইয়া গেল মনে কর কি বাহ্য মৃং পামাণ বৃথ। ই | আড়ম্বর ইহার প্রাণ সৰ্ব্বস্ব ? ন। কখনই না। আমরা অনন্ত নিরাকার জ্ঞানস্বরূপ ঈশ্বরের মুৎ বা পাসা- মূৰ্ত্তি কল্পনা-পথে আনিতে কুণ্ঠিত হই। অগ্নি মূদ্ধ,দু্যলোক যার মস্তক,চক্ষুদা চন্দ্র সূর্ঘ্যে চন্দ্র সূর্য। хт けーコ * { i : বা বিবৃতাশ্চ বেদী, বিরত বেদ যাহার বাক্য, পদ্ভ্যাং পৃথিবী পৃথিবী যার পদ, হৃদয়ং বিশ্বমস্য এই বিশ্ব যার হৃদয়, সেই বিশ্বতশ্চক্ষু বিশ্বতোমুখে৷ বিশ্বতে বাহু ব্রহ্মের ব্যাপ্য মূৰ্ত্তি যে কি আমরা ধ্যানে জ্ঞানে কিছুতেই তাহ পাই না । সুতরাং তাহার আলোচনা নিম্প্রয়োজন । কিন্তু এই গুহে গুহে যে এই শক্তিপূজার উৎসব হইয়। গেল ইহাতে আমাদের ত্যাজ্য ও গ্রাহ্য দুইই আছে । আমরা নিরাকার ব্রহ্মের উপাসক । মূৰ্ত্তি সৰ্ব্বতো ভাবে অামাদের ত্যাজ্য কিন্তু এই মূৰ্ত্তিপূজার আত্নসঙ্গিক । এমন সকল ব্যাপার আছে যাহা অামাদের গ্রাহ্য। দেখ ইহার ভিতর অনেক সামাজিক উন্নতি সংস্থষ্ট রহিয়াছে । সংক্ষেপে বলিলেই পর্য্যাপ্ত হইবে যে বর্তমানে এই দেশে যা কিছু ভাল যা কিছু শ্রেয় এই শারদীয় উৎসব অনেকটা তাহ রক্ষা করিকরিতেছে । ইহা দ্বারা দেশের শিল্প ও বাণিজ্য শ্ৰীবৃদ্ধি লাভ করিতেছে, শাস্ত্রজ্ঞদিগের শ্রেণী রক্ষিত ও প্রতিপালিত হইতেছে । ইহারই প্রভাবে ভক্তি শ্রদ্ধ। la ==== سی سے پے نے প্রভূতি উচ্চ মনোবৃত্তি এক প্রকার ফুৰ্ত্তিলাভ করে । সম্বৎসরের সঞ্চিত মনোমালিন্য নষ্ট করিয়া ছ তা পরস্পরের মধ্যে সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা করে এবং জাতি ও বর্ণ নিবির্বশেষে প্রীতিকে প্রসারিত করিয়া দেয় । সামাজিক উন্নতি সাধনের পক্ষে ইহার কোনটাই ত্যাজ্য হইতে পারে না । আমরা জাতিতে হিন্দু, আমাদের ধৰ্ম্ম বেদ বেদান্তোক্ত প্রক হিন্দুধৰ্ম্ম, আমবা বুঝিয়াছি মহাকে মন মনন করিতে পারে না, ক্যি নিদেশ করিতে পারে না অথচ মন বাক্য র্যাহা হইতে স্বস্ব শক্তিলাভ করি ব ஃெ احت য়াছে তিনিই ব্রহ্ম, নেদং ৰদিদমুপাচক্ষু, দিশঃ শ্রোত্রে দিক সকল যার শ্রোত্র, । সতে তার নামরূপ বিশিষ্ট যে কিছু পরিমিত পদার্থের উপাসনা করা যায় তাহা ব্রহ্ম নহে । আমরা আত্মশক্তি ও শাস্ত্র মুখে জানিয়াছি মূর্তিপূজায় আমাদের কল্যাণ নাই কিন্তু আজ উৎসবের দিনে বলিতে কিছুমাত্র কুষ্ঠিত হইব না এই সমস্ত মূৰ্ত্তিপূজার সহিত মনুষ্য সমাজের পক্ষে যাহা কিছু প্রকৃত হিতকর কার্য সংস্কষ্ট রহিয়াছে দেশকাল বিচার পূর্বক তাহ রক্ষা করিতে যত্ন করা আমাদের সর্ববতো ভাবে কৰ্ত্তব্য । আমি সর্ববান্তঃকরণে আশা করি আমাদের প্রতিঘূহে পূৰ্ব্বপিতামহগণের আরাধ্য নির কার জ্ঞানস্বরূপ অনন্ত ঈশ্বরের পূজা প্রতিষ্ঠিত হউক । বর্ষে বর্ষে এই ব্রহ্মোৎসব উপলক্ষে আমাদের চির প্রচলিত প্রথা অনুসারে জাতি ও বর্ণ নিৰ্ব্বিশেষে নিরন্নকে অন্নদান ও বিবস্ত্রকে বস্ত্রদান কর । দ্বেমহিংসা বিস্মৃত হইয়া সকলকেই স্নেহের আলিঙ্গন দেও, ভক্তির পাত্রকে প্ৰণিপাত কর, দেশের শিল্প সাহিত্য ও গীতবাদ্যের উন্নতি ইহার অঙ্গ । করিয়া লও, দৈহিক বলবাৰ্য্য রক্ষার জন্য ব্যায়ামের উৎসাহ দেও, শক্তি অনুসারে