পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩০ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা s२ कछ, २ छोण | `-E காக - - - - ধৰ্ম্মশাস্ত্রাধ্যাপকদিগের বৃত্তি বিধান কর এবং এদেশের শারদীয় উৎসদের সহিত জন সাধারণের যাকিছু সৎ ও শ্রেয় সংস্থষ্ট রহিয়াছে ধৰ্ম্মবুদ্ধি অনুসারে তাহ নিৰ্ব্বা- ৷ চন করিয়া লাও এবং ব্রাহ্ম সাধারণ একমত হইয়া এই স্থপ্রশস্ত শরৎকালে ব্রহ্মোৎসব প্রতিষ্ঠা কর। যেমন আত্মোন্নতির জন্য অমূৰ্ত্তকে পূজা করিতেছ সেইরূপ দেশহিতকর সমস্ত কার্য্য ইহার সহিত মিলিত করিয়। লও। এইরূপে কিছুকাল চল দেখিবে তুমি ত্রহ্মের নামে যে বিজয়নিশান তুলিবে তাহার তলে দেশের সমস্ত নরনারা আসিয়া ঘোড় করে দণ্ডায়মান হইবে । তম্মিন প্রাতিস্তস্য প্রিয় কার্স্য সাধনঞ্চ তড়পাসনং কেবল ঈশ্বরের আরাধন করিয়৷ আহ্লোন্নিতি করিলেই সাধনের সকল অঙ্গ সিদ্ধ হইল না, ইহার সহ ত তাছার প্রিয় কার্য্য চাই । কিন্তু এই সমস্ত কাৰ্ঘ্যে আপনাকে প্রতিবিম্বিত দেখি ও না, ব্রহ্মের আহবানে সংসারে তাসিয়াছ, ব্রহ্মের আদেশে সংসারের কার্য্য করিলে, তিনি প্রভু তুমি ভৃত্য, তবে সংসারের কার্য্যে কেন তোমার অভিমান হইবে, - পরমাত্মন! দিন তো অবসান হইতেছে। কবে চক্ষুর এই দুই খানি কবাট পড়িয়। যাইবে, দিন থাকিতে এই দীনকে দর্শন দেও, সম্মুখে ঘোর অন্ধকার, ভবিষ্যৎ যে কি আমরা কিছুই জানি না, তুমি সহায় হুও এবং আমাদের হস্তধারণ করিয়া লইয়। চল। নাথ ! তুমিই আমাদের একমাত্র আশা ও ভর স৷ ৷ দেবগৃহে সাম্বৎসরিক ব্রহ্মোৎসব। ১১ই মাথ, ব্রাহ্ম সম্বং ৫৯ ৷ জগৎ পিতা পরমেশ্বর সকল জলকে তানন্দ বিতরণ উদেশে জগৎ স্ব জন করিয়াছেন । প্রথমে কিছুমাত্র ছিল না । প্রেমাগি দপ্‌ করিয়া জলিয়া উঠিল আর এই জগতের স্বাঃ হই । সকল জীব সৰ্ব্বদা আনন্দ ভোগ করিতেছে । জাবের ন্যায় ও আনন্দ ভোগ করিতেছে । মকুমা হান্য আলোক, বায়ু ও জল যেমন মূল্য দিয়৷ অগ্ৰে বলিয়াছি নিঃসঙ্গ হ ও সংসারের প্রতি কার্লো এই প্ৰভু ভূত ভাব রক্ষ। ক রয়া নদি চলিতে পার তাব যথার্থতই তুমি নিঃসঙ্গ । সঙ্গ হ চ তে বাসনার উৎপত্তি হয় সকল শাস্ত্র এই বাসন ছেদনের জন্য ভুয়োভুয় উপদেশ করিয়াছেন । আমরা যেন এই উপদেশ শিরোধার্ঘ্য করিয়া সাধনের পথে অগ্রসর হই । ইহাতে আমাদের নিজের মঙ্গল এবং আমাদের মধ্যে বিবাদ বিসম্বাদ উত্থিত হইয়া পরস্পরকে যে প্রীতিবন্ধন হইতে বিচ্ছিন্ন করিতেছে এই বাসনার হস্ত হইতে মুক্ত হইলে আর তাহা ঘটিবে ন। ইহাতে জগতের মঙ্গল । ক্রয় করিতে হয় না তেমনি ঈশ্বর প্রদত্ত সাৰ্লভৌমিক সঙ্গ জ আনন্দ মাল্য দিয়া ক্রয় করিতে হয় না । মনুষ্য যেমন মূল্য দিয়৷ ক্রর করিতে হয় না বলিয়। ভালোক বায় ও জলের উপকারিত্ব লক্ষ্য করে ন৷ তেমনি সেই সহজ ধারাবাহিক নিত্য আনন্দ মূল্য দিয়। ক্রয় করিতে হয় না লক্ষ্য করে না । ধিক লাগে । বলিয়। তাহ। দুঃখই তাহার মনে অআনন্দই আত্মার প্রকৃতি । আনন্দই মনুম্যের জীবন । আনন্দ না থাকিলে মানুষ জীবিত থাকিতে পারে না । মনুষ্য যে আনন্দ সৰ্ব্বদা উপভোগ করে তাহা এক এক সময় অত্যন্ত প্রগাঢ় ভাব ধারণ করে । সে সময় উৎসবের সময় । লোক পুত্রের জন্ম উপলক্ষে উৎসব করে । । বিবাহ উপলক্ষে উৎসব করে । জয়লাভ