পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

כ כ של etןזייף ס উপাসনা-পদ্ধতি যে পরিমাণে প্রতিবিম্বিত হইবে সেই পরিমাণে তাহ সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর উপাসনা পদ্ধতি হইলে । প্রাচীন কালের উপাসনা পদ্ধতির উত্তরোত্তর তিনটি সোপান-পংক্তি দেখিতে পাওয়া যায় এবং তিনটিই ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রন্থে যথা ক্রমে প্রকাশিত রহিয়াছে। যথা ; প্রথমে “যে দেবোইরে যোহপ, যে বিশ্বং ভূধনমাবিবেশ । য ওযধাযু যে বনস্পনি তস্মৈ দে লয় নমোনমঃ ॥” যে দেবতা অগ্নিতে যিনি জলেতে ঘনি সমুদায় বিশ্ব-সংসারে প্রবিষ্ট হইয়া আছেন, যিনি ওষধাতে যিনি বনম্পতিতে সেই দেবতাকে বার বার নমস্কার করি । অগ্নি এবং জল প্রাণ-বিহীন ভৌতিক প ওষধি-বনস্পতি প্রাণবিশিষ্ট ভৌতিক পদার্থ সকলকে স্মরণ করাষ্টয় দেয় । অগ্নি জল বায়ু চন্দ্র সর্ম্য প্রভূতিতে আসর। ঈশ্বরের বল-রূপী শক্তি দেখিতে পাট, ওমপি বনস্পতিতে তাহার প্রাণ-রূপী শক্তি দেখিতে পাই । এই রূপে সমস্ত ভৌতিক জগতের অভ্যন্তরে পর মাত্মা কে অবলোকন করিয়। তাহাকে ভক্তি পূৰ্ব্বক বার বার নমস্কার করা উপসনা-পদ্ধতির প্রথম সোপান-পংক্তি | তাহার পরে সত্যং জ্ঞান মন গু : রহ্ম । ভাতি শগুং শিবমদ্বৈতং ।” সকল সত্যের তিনি একমাত্র সত্য— সকল জ্ঞানের তিনি এক মাত্র জ্ঞান— অথচ আর আর সমুদায় পরিমিত সত্য এবং পরিমিত জ্ঞান হইতে তিনি ভিন্ন ; তিনি অনন্ত পরব্রহ্ম । অমৃত রূপে প্রকাশ পাইতেছেন। তিনি শান্ত মঙ্গল অদ্বিতীয় । আনন্দ যাহা স্বষ্টির মূল প্রবর্তক, এবং মঙ্গল যাহা স্বষ্টির চরম উদ্দেশ্য, দুইই সেই অনন্ত জ্ঞানে আনি নদ-রূপম যুতং যদি তিনি আনন্দ রূপে । নব-বর্ষ \O সমাহিত এবং একীভূত। অগ্নিতে,জলেতে, ওযধীতে, বনম্পতিতে, সমস্ত বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষ অবলোকন পূর্বক তাহাকে বার বার নমাদার করিয়া অামাদের মন যখন সুস্থির এবং স্ট্র প্রশান্ত হয়, তখন পরমাত্মা সহজেই একমাত্র অদ্বিতীয় মূল সত্য মূল জ্ঞান এবং অনন্ত পরব্রহ্ম রূপে আমাদের ধানে উদ্বোধিত হ’ন । তৃতীয় সোপান-পংক্তি—”য়িত্রী । “ওঁ ভূভু বঃ স্বঃ” ইহা স্বৰ্গ মগু, আন্তরাক্ষ সমস্ত বিশ্ব ভুবনের প্র:ণ-প্রতিষ্ঠা । সমুদায় বিশ্ব-ভূব নের দিন সূর্য-স্বরূপ, আমাদুের আয়ার তিনি হান্তরাত্মা ; বহির্জগতে যেমন তিনি তেজ এর প্রাণ প্রেরণ করিতেছেন, আদার্থ সকলকে স্মরণ করাইয়া দেয় এবং মাদের আত্মাতে তেমনি তিনি বুদ্ধিবৃত্তি প্রেরণ করিতেছেন । এইরূপে নিখিল জগতের সূৰ্য্য-স্বরূপ পরমায়াকে বুদ্ধিবৃত্তির কেন্দ্র-স্থানে আত্মার অভ্যন্তরে তাহারাপে উপলব্ধি কর। তৃতীয় সোপানপংক্তি। অামাদের প্রতিজনের এক একটি তাত্ম। এই প্ৰকাণ্ড বিশ্ব গ্রন্থের এক একটি চরম মন্তব্য — সমস্ত জগতের প্রণালী-পদ্ধতি এবং মৰ্ম্ম অা হাতে একত্র পুঞ্জীরহিয়াছে। এরূপ অনেক পুস্তক পা ওয়া যায়—যাহাতে কথা তনেক কিন্তু ভাব অতীব অল্প ; আবার, এমনও পুস্তক কখন কখন নেত্র-গোচরে উপস্থিত হয় যাহাতে অক্ষর অল্প-সংখ্যক কিন্তু ভাব অতলস্পর্শ । বহিজগৎ পূৰ্ব্বোক্ত শ্রেণীর পুস্তক —আত্মা শেষোক্ত শ্রেণীর পুস্তক । এই যে এক চমৎকার পুস্তক—আত্মা, এ পুস্তকে সৰ্ব্ব শুদ্ধ ধরিয়া একটি মাত্র অক্ষর-—ওঙ্কার । কিন্তু সেই এক-অক্ষরের মধ্যেই সমস্ত জগতের সমস্ত ইতিহাস পুরাণ বিজ্ঞান তত্ত্বজ্ঞান গোড়া হইতে শেষ পর্যন্ত ।