পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

כ לשג אלזייףt বৰ্দ্ধমান সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ হইব বলিয়া তিনি আত্মপ্রত্যয়কে সত্যের সহচর করিয়া দিয়াছেন । এই সত্য মূলে হইলেও অবস্থা ভেদে উহার অবয়ব বিভিন্ন হইয়া পড়িয়াছে। কাচমধ্যগত আলোক যেরূপ কাচের বর্ণবিভেদ ক্রমে বিভিন্ন বর্ণ ধারণ করে, সেইরূপ সত্য আবরণ মধ্যগত হইয়া প্রকাশিত হইলে উহার মুখচ্ছবি স্বতন্ত্র হইয়া পড়ে। সত্যের এই দুই বিভাগের নাম মুক্ত সত্য ও ব্যবহারিক সত্য । যাহা আধ্যাত্মিক সত্য বা বৈজ্ঞানিক সত্য যাহাতে মানব প্রকৃতির ছায়া পতিত হয় না যাহাতে দেশ কালের হস্ত নাই তাহাই মুক্ত সত্য । পাই, ও আনন্দে হৃদয় উৎফুল্ল হয় । ব্যবহারিক সত্যে মনুষ্য প্রকৃতির ছায়া নিপতিত রহিয়াছে বলিয়া উহা দেশভেদে স্বতন্ত্র । আধ্যাত্মিক সত্য তারস্বরে বলিতেছেন “সত্যং ব্রুয়াং প্রিয়ং ক্রয়াৎ” ব্যবহারিক সহজজ্ঞানকে ভিত্তি করিয়া । জ্ঞান ঈশ্বরের দিকে, আত্মার দিকে পরকা লের দিকে যে কিছু নূতন অকাট্য তথ্য আবিস্কার করে তাছাই মুক্ত সত্য । কিন্তু ব্যবহারিক সনের ভাব সেরূপ মচে । মন্ত্রস্যের অপর্ণ স্বভালের বা স্তু তি s গত প্রকৃতির মধ{গত হইয়! যে স প্রকাশিত হয় তাহই ব্যবহারিক সত্য । মনুস্য একদিকে তাধ্যাত্মিক জীব অপর দিকে সামাজিক জীব ; মনুষ্য যতদূর অাধ্যাত্মিক জীব ধৰ্ম্ম ও ঈশ্বর যতদূর তাহার সম্ভজমায়, আধ্যাত্মিক মুক্ত তাহার একমাত্র গ্রাহ্য । আবার মনুষ্য যতদূর সামাজিক জীব, অপরের ক্ষতি লাভে আপনার ইন্টানিস্ট যতদূর জড়িত, ব্যবহারিক সত্যই তাহার অবলম্বনীয় । মনুষের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক অবস্থার সহিত মুক্ত সত্য ও ব্যবহারিক সত্য বিশেষ রূপে সংশ্লিষ্ট । সেইজন্যই সকল দেশের সকল কালের আধ্যাত্মিক সত্য সম্বন্ধে উন্নততম ধৰ্ম্ম সকলের বিশেষ মতবিভিন্নতা নাই। উপনিষদের প্রতি পত্রে দৃষ্টি নিপতিত হইলে অমনি উহাতে নিজ নিজ সাধনলব্ধ অধ্যাত্মিক সত্যের প্রতিবিম্ব দেখিতে

  • .

جمے डाझे डब्लूत्र সত্য তাহাতে সন্তুষ্ট না হইয়া অমনি বলিয়া উঠিল “ন ক্ৰয়াৎ সত্যমপ্রিয়মৃ”, সত্য কথা কহ, প্রিয় কথা কহ, কিন্তু অপ্রিয় সত্য কথা কহিও না । কেননা দুর্বল মনুষ্য হৃদয় অপ্রিয় সত্য শ্রবণে বিদীর্ণ হইয়। যাই ে আধাত্মিক সত্য হিতকারী বন্ধুর ন্যায় বলিতেছেন, “শান্তোদান্তে৷ উপরন্তস্তিতিক্ষু সমাহিতো ভূত্ব আত্মন্যেবাত্মানং পশ্যতি,” শান্ত দান্ত উপরত, তিতিক্ষু সমাহিত হইয়া ব্রহ্মবিও আপনাতেই পরমাত্মাকে দৃষ্টি করেন। সমরাভলামী তেজায়ান তারবের হৃদয় তাহাতে শান্তি ন পাষ্টয়া ধৰ্ম্ম প্রচারের জন্য ধৰ্ম্মযুদ্ধ ঘোষণা করিয়া বলিয়া উঠিল “ধৰ্ম্মযুদ্ধে মৃতোবাপি তেন লোকত্ৰয়ং জিতং,” ধৰ্ম্ম যুদ্ধে মৃত হইলেও তাহার দ্বারা তিন লোক জিত হয়। কেহ বা বংশপরম্পরাগত আচার ব্যবহারের মস্তকে পদাঘাত করিয়া নিরুপাধি পরমেশ্বরের উপাসনায় তাপনাকে নিয়োজিত করিতেছেন । কেহবা পূৰ্ব্ব পিতামহাগত আধ্যাত্মিক সত্যগ্রহণে আপনাকে কৃতাৰ্থ জানিয়া ঈশ্বরপুজায় জীবনকে সার্থক করিতেছেন । কেহ বা সজনে ঈশ্বরের উপাসনা করিতেছেন, কেছ বা নির্জন পৰ্ব্বতগুহায় হৃদয়ের কবাট উদ্‌ঘাটন করেন। কেহ বা বিশেষ প্রণালী | অবলম্বন করিয়া বিশেষ বিশেষ কার্যোর অনুষ্ঠান দ্বারা স্বাত্বিক আহার বিহার অব লম্বনে ঈশ্বরে সংন্যস্তচিত্ত হন । এইরূপে পৃথিবীস্থ যাবতীয় ধৰ্ম্মের মধ্যে আধ্যাত্মিক ভাবের সহিত সামাজিক ভাব,