পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

صطقسد • لا قاد از grم অচল-প্রতিষ্ঠ সমুদ্রে যেমন চতুর্দিক হইতে নদী আসিয়া বিলীন হয় তেমনি কামনা-সকল র্যাহাতে আসিয়া লয় প্রাপ্ত হয়—তিনিই শান্তি লাভ করেন, কামনার জন্য যিনি লালায়িত তিনি নহেন । সৰ্ব্বাপেক্ষা আশ্চৰ্য্য এই যে, সাধক অনেক সাধ্য-সাধনা দ্বারা অবশেষে ঘে আধ্যাত্মিক আনন্দে উপনীত হ’ন—বাস্ত- | তাহার প্রসাদে পুনৰ ন দিত দিবা বিক ধরিতে গেলে তাহ সাধন-নিরপেক্ষ ; তাহা আত্মার স্বে পার্জিত সম্পত্তি নহে— তাহা আত্মার পৈতৃক সম্পত্তি ; পরমাত্মার ; প্রসাদ এবং করুণাই তাহার মূল ; মোহা- ৷ চচ্ছন্ন মনের আবরণে তাহা ভস্মাচ্ছাদিত | ছিল —সাধক সেই ভস্মরাশি অপসারিত | করিয়া ফেলিল, আর, আত্মার সুবিমল ৷ इइंज्ञा । যাহা শুদ্ধ কেবল আমাদের । ভানন্দ তাপন মহিমায় জাগ্রত छेटेिं त । আত্মার অমায়িক সহজ ভাব সাধনের উপর নির্ভর করে তাহাতে বিশ্বাস । নাই ; কেননা বিপরীত সাপন দ্বারা তাহর পর সে হইলে ও হইতে পারে । আমর। যদি অনেক সাধ্য-সাধনায় একটা বৃহৎ উপলখ গুকে পর্ববতের উপর উত্তোলন করি, তবে তাহার বিপরীত সাধন দ্বারা f কন্তু তা হ্লার স্বভাবসিদ্ধ আনন্দ সৰ্ব্বশক্তিমান পরমাত্মার হস্তে গচ্ছিত রহিমাছে—সেখান হইতে তাহা কোন ক্রমেই বিচু্যত হইবার নহে ; তাহা বিষয়-মোহ দ্বারা মেঘাচ্ছন্ন হইয়া থাকিতে পারে, কিন্তু কাহার ও সাধ্য নাই যে তাহাকে অপহরণ করে । মনের মোহাবরণ অপসারিত হইলেই আত্মার স্বকীয় পারমার্থিক ভাব—জ্যোতিৰ্ম্ময় জ্ঞান—অমায়িক প্রেম ও অপর্য্যাপ্ত শান্তিস্থধা—মনের উপর কার্য্য করিতে পথ পায় ; তখন, $$ আত্মারাপ সম্পর্শমণি সংসারকে পারমার্থিক রাজ্য করিয়া তুলে—-লোহকে সুবর্ণ করিয়া তুলে ! ঈশ্বরের মহিমা ধেমন অনন্ত তাহার করুণা তেমনি হপার ; যেমন তিনি—তেমনি তাহা দান—সকলই তাশচর্ষ্য, কিন্তু তাহাব অপরাজিত করুণার নিকটে কিছুই আশ্চৰ্য্য নহে। অতএব পাপরাশিতে ভারাক্রান্ত কলুষিত মন ঘে করের ন্যায় উজ্জ্বল বদনে দীপ্তি পাইবে ইহা কিছুই পচিত্র নহে । “সা গুরু প ওয়ে, ভেদ বর্তী ওয়ে, জ্ঞান করে উপদেশ । কয়লfং মদল। ছটে ঘপ্‌ আগ করে পরবেশ ” তাত্বিার অন্তরতম আনন যে তাতুর নিজস্ব সম্পত্তি—তাহা মে কখনই আল্লা হইতে বিচু্যত হইতে পারে না—তাহার প্রমাণ এই যে, তা হাতে সত্য এবং জ্ঞান একীভূত হইয়া স্বভাবতই আনন্দে পারহ জুলি দুইরূপ— হইতে পৃথক থাকিয়া বস্তুকে জানা - ج جـم জনা | বাহ এবং বস্তু হইয়৷ বস্তুকে জানিবার সময় আমরা বস্তু হইতে পৃথক্ থাকিয় বস্তুকে জানি : আত্মাকে জানিবার সময় আমরা তাত্মা হইয়। আত্মাকে জানি । যখন আমরা ঘটি বাটাকে সত্য বলিয়া জানি, তখন সত্য আমাদের বাহিরে—জ্ঞান আমাদের অ ন্তরে—সত্য এবং জ্ঞান পরম্পর হইতে দূরে অবস্থিত ; কিন্তু যখন আমরা আত্মাকে সত্য বলিয়া জানি, তখন সত্য ও আমাদের অন্তরে—জ্ঞান ও আমাদের অন্তরে—দুয়ের মধ্যে তিলমাত্রও ব্যবধান নাই । আত্মা যখন আপনাতে আপনি গলিয়া একীভূত হইয় আপনাকে জানে তখন তাহার সেরূপ জানাকে জ্ঞান বলি লেও বলা যায়—প্রেম বলিলে ও বলা