পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৫২

ゞS তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ১২ কল্প, ৩ ভাগ ততটুকু আমারদের জীবন যৌবন সকলই । সংসারে থাকিয়া বিষয়চিন্তা বিষয়কামনা হইতে মনকে আকৃষ্ট করিয়া যতই অধ্যাত্মিক জগতে বিচরণ করিবার শক্তিসামর্থ্য জন্মিবে, যতই অনাসক্ত ভাবে বিষয় ভোগ করিয়া ঈশ্বরের ধ্যান ধারণায় নিযুক্ত থাকিতে সক্ষম হইব, যতই অমৃতের স হিত সহবাসে প্রীতি ও পবিত্রতায় জীবাত্মা ! পরিবদ্ধিত হইবে, ততই মৃত্যুর মধ্যে । থাকিয়া আমরা পরমানন্দ লাভে সমর্থ হইব । সংসারে মৃত্যুর অভিমুখীন স্ত্রী পুত্র পরিবার, স্বজন বান্ধবগণ একে একে সকলেই আমাদিগকে পরিত্যাগ করিয়া মাইবে । কেবল একমাত্র জীবাত্মা পর মাত্মার আশ্রয়ে উন্নতির পর উন্নতি লাভ । করিতে করিতে ইহ জগত হষ্টতে পর জগ- | ন্তের দিব্যাকাশে উদিত হইবে । একমাত্র ধৰ্ম্ম বলে তামারদের ভাতৃ প্রতিষ্ঠাপান - -- - -IF -for-F wor گئی۔ ما - - ت= - فتت . مع হইবে । এই সত্যটি মদি তামরা বিশেষ রূপে বুঝিতে পারি, তবে সংসারের ক্ষতিগণনা আমাদিগকে মুছমান করিতে পারে না, আত্মীয় বিচ্ছেদ অামাদিগকে লাভ অনন্ত জীবনকে ক্লিন্ট করিতে পারে না । ঈশ্বরের অপার করুণ,আত্মার অনন্ত উন্নতি, পরকালে সুদৃঢ় বিশ্বাস মৃত্যুভয় হইতে অামাদিগকে রক্ষা করিতে পারে । আত্মার বাহিরের আবরণ যে শরীর তাহার স্থিতি ভঙ্গে আত্মার প্রাণ কিছুমাত্র বিচলিত হইলে না । তাত্মা নাহাকে তামি বলি সে তে মৃত্যুর পরে দেহাবরণ ভেদ করিয়া ঈশ্বরের উজ্জ্বলতর প্রকাশের মধ্যে বিচরণ করিতে থাকিবে । তবে তার অামারদের সুতু্য কোথা । বাহা জড় শরীর যাহা হাত্মার পিঞ্জর তাঁহাই মৃত্যুমুখে পতিত Sa ष्ट्रङल । তাত্মাতো পরজগতের নিৰ্ম্মলতর আকাশে তাহার যশোগানে দিক বিদিক্‌ প্রতিধ্বনিত করিতে লাগিল, তাহার প্রেমো জল মুখ সন্দর্শনে বিভোর হইতে লাগিল । হে পরমাত্মা ! সম্বৎসরকাল তোমার দ্বারে ক্ষুধার অন্ন, পিপাসার জল লাভ করিয়া, তোমার প্রদত্ত অগণ্য সুখে পরিবৃত থাকিয়। আজ কোন প্রাণে তোমাকে ন। ডাকিয়। তোমার চরণে কৃতজ্ঞতার বিমল আশ্রট উপহার না। দিয়া থাকিতে পারি। সামান্য উপকারে উপকৃত হইলে যখন মনুম্যের নিকট আমরা আজীবন কাল কৃতজ্ঞতাসূত্রে আবদ্ধ থাকি তখন তোমার অনন্ত উদার সদাত্রতের চিরভিখারী হইয়। কি তোমার প্রতি আমারদের অধিক দান নাই ? তুমি সে তোমার করুণ সম্বৎসর কাল অজস্রপারে অামারদের উপরে সমভাবে বর্ষণ করিয়াছ, পাপী তাপ সাধু তা সাধুর ও ন্য তোমার উদার ক্রোড় যে তুল্য ভাবে উন্মুক্ত করিয়া রাখিয়াছ । তামারদের অভাব অনটন,পাপ তাপ যেমনই গুরু হউক না তোমার দান তোমার মৃতসঞ্জীবনী দন্তপ্ত করিতে পারে ন, মৃতুপাড়া আত্মার ; শক্তি যে তাহ হইতে ও সহস্ৰগুণে গুরু তর । তুলিল মনুষ্য হৃদয়ে পাপের তাকর্যণ যেমনই তাত্র, তোমার মধুর আহবান যে তাহা অপেক্ষা ও অধিকতর সুমধুর ও হৃদয় গ্রাহা । তুমি তোমার পবিত্র স্বরূপের দিকে অগ্রসর হইবার কত শত সুন্দর অবসর যে তামাদিগকে প্রদান করিয়াছ, আমরা মোহান্ধ জাব, আমরা তাহা তুচ্ছ করিয়া সংসারকে আরও দৃঢ় মুষ্টিতে ধারণ করিয়াছি। তোমার মঙ্গল ভাব মাতৃস্নেহ পিতৃবাৎসল্য বিপদের মধ্যে সন্দর্শন করিয়াছি । শোক সন্তাপের মধ্যে তোমার প্রেমমুখ নিরীক্ষণ করিয়াছি। তুমি যে বিপদের প্রতি কশাঘাতে আমার