পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা

  • २ कझ, ७ छांश

... sáumst siða á da...daaaa সমালোচনা। গো-জীবন ৷ শ্ৰীযুক্ত মীর মোশাররফ হোসেন প্রণীত । লোকে প্রায় গতানুগতিকই হইয়া থাকে। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের লোকের মধ্যে যে আচার ব্যবহার পরম্পরা : প্রচলিত হইয়া আইসে, সেই সম্প্রদায়ের অন্তর্ব ন্ত্রী অধিকাংশ লোকেই ঐ আচার প্রভৃতিকে নিয়তির নিগড় স্বরূপ জানিয়া অকুণ্ঠ ভাবে তাহাতে বিচরণ করিতে থাকে । কিন্তু যাহারা সেই সেই সম্প্রদায়ের মধ্যে জ্ঞানবান ও প্রতিভাসম্পন্ন তাহারা ধারাবাহিক আচার সমূহের যৌক্তিকতা সম্বন্ধে তর্ক করেন, সেটি ত:ন্যায় তাহার প্রতি বাদ করেন ও তৎপরিত্যাগে যত্নবান হন । আমরা গো-জীবন লেখক শ্রীযুক্ত মীর মোশাররফ হোসেনকে শেষোক্ত দলের অগ্ৰণাদিগের মধ্যে স্থান দিতে চাই । তিনি মুসলমান হইয়া স্বীয় ভ্ৰাতা মুসলমান দিগকে গোমাংস সে বনে বিরত করি - , বার জন্য বদ্ধপরিকর হইয়াছেন । তিনি দেখাষ্টয়াছেন । গোজাতির উপকারিত ভূয়সা, উঠার নিধনে দেশের দুগ্ধ প্রভৃতি সুখাদ্যের ও কৃষিকার্য্যের হানি, গোমাংস সেবনে উৎকট ব্যাধি হইবার সম্ভাবনা—যে হেতু উস্থা এ দেশের উপযোগী নহে । পরন্তু তিনি ইহাও প্রতিপন্ন করিয়াছেন যে গোহ ত্যা না করিলে কোরা- ৷ ণের বিধি পালন হয় না এমত নহে। লেখককে ধন্যবাদ। দয়া ধৰ্ম্মের মূল এই মহামস্ত্রে দীক্ষিত হইয়া । তনি এ কার্য্যে প্রবৃত্ত হইয়াছেন, সন্দেহ নাই। ঈশ্বর তাহার সাধু ইচ্ছা পূর্ণ করুন । আমরা আহলাদ সহকারে এই মুসলমান গ্রন্থকারের উচ্চ মনের ভাব সাধারণকে উপহার দিবার জন্য গো-জীবন হইতে কিয়দংশ উদ্ধত করিয়া দিলাম। ভারতের অনেক স্থানে গোবধ লইয়া বিশেষ অ|ন্দোলন হইতেছে। সভা সমিতি বসিতেছে, বক্তৃতার স্রোত বহিতেছে, ইংরাজি বাঙ্গলা সংবাদ পত্রিকায় হৃদয়গ্রাহী প্রবন্ধ সকল প্রকাশ হইতেছে, কোন কোন স্থানে হিন্দু মোসন্মান একএে এক প্রাণে এক যোগে গোবংশ রক্ষার উপায় উদ্ভাবন করিতেছেন। কোন কোন ইংরেজী পত্রিকায় আবার প্রতিবাদ ও চলিতেছে। এ সময় আর নীরব থাকা উচিত মনে করি লাম না । আমি গে৷ মাংস হজম করিতে পারি, পালিয়া পুষিয়া বড় আমি মোসন্মান – গা জাতির পরম শক্র । বলদটীর গলায় ছুরি বসাইতে পারি, ধৰ্ম্মের দোহাই দিয়া দুগ্ধবতী গাভী, দুগ্ধপায়ি গো বংস্যের প্রাণ সংহার করিয়া পোড়া উদর পরিপোষণ করিতে পারি, কিন্তু দ্যায় চক্ষে যাহা দেখিতেছি যুক্তি ও কারণে যাহ। পাইতেছি, তাহা কোথায় ঢাকিব ? স্বাভাবিক ভাব কোন ভাব-বশে গোপন করিব ? মনে এক মুখে আর হইল না । প্রিয় মৌলবী সাহেব ! মার্জনা করিবেন । মুন্সী সাহেব ! ক্ষমা করিবেন। সুফি সাহেব ! কিছু মনে করিবেন না । কি করি, জগত পরাধান –কি ? মন স্বাধীন । বিশেষ বিজ্ঞাপন । সানুনয়ে নিবেদন করিতেছি যে যাহারা গত ১৮১০ শকের চৈত্র মাস পর্য্যন্ত তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার স্ব স্ব দেয় মূল্য ও মাশুল প্রেরণ করিতেছেন তাহারা অনুগ্রহ পূর্বক ঐ সঙ্গে ১৮১১ শকের অগ্রিম বার্ষিক মূল্য ও মাশুল পাঠাইয়া উপকৃত করিবেন। এবং র্যাহাদের তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার মূল্য ও মাশুল গত চৈত্র মাস পর্য্যন্ত নিঃশেষিত হইয়াছে র্তাহারা আর বিলম্ব না করিয়া ১৮১১ শকের অগ্রিম মূল্য ও মাশুল পাঠাইয়া বাধিত করিবেন। শ্রীরুক্মিণীকান্ত চক্রবর্তী । কাৰ্য্যাধ্যক্ষ ।