পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা २२ कझ, ७ छां★ সুখ নছে – ঐন্দ্রিয়ক আনন্দ নহে ; আনন্দ কিনা আধ্যাত্মিক তানন্দ – ব্রহ্মানন্দ । মোটামুটি বলা যাইতে পারে যে, শিশুর অন্তঃকরণে নেমন বিষয়-লালসা নাই অথচ সৰ্ব্বদাই তানন্দ বিরাজ করে, ব্রহ্মজ্ঞ ব্যক্তির অন্তঃকরণে সেইরূপ বিনাকারণে সৰ্ব্বদাই তানন্দ বিরাজ করে ; ঐতিদয়ক আনন্দ বিশেষ বিশেষ বিলয়কে অপেক্ষা করে—তাই তাহা সহেতুক (conditioned; তানন্দ বলিয়া উক্ত হয়; কিন্তু এখানে যে আনন্দের কথা হইতেছে তাহা অহেতুক (inconditional) আনন্দ ; তাহা ঐন্দ্রিয়ক বিষয়ে শৃঙ্খল-বদ্ধ নহে ; -- তাহা উদার অমায়িক মুক্ত ভাবের অণনন্দ । বিষয়-সুখ যেমন বিনয়-জ্ঞানের মৰ্ত্ত বিমল আনন্দ সেইরূপ č রো ের ম;হ চর : 4 সময়ে সময়ে স্থা মায় | এখন বক্তব্য এই মে, সামান্য মন্ত্র (ঘড়ির কল) এক শ্রেণীর যন্ত ; প্রাণময় ( ) |_~ তেমনি । লৌকিক ব্যবহার-কালে অনেক সময়ে ষোলো আন কথার এক আনা মাত্র আমাদের মুখে বাহির হয়—পোনেরো আন কথা আমাদের পেটে থাকিয়া যায় ; চলিত ভাষায় কথা কচি বার সময় অনেক কথা আমরা সাটে-সেঁটে ইঙ্গিত-ইসারায় ব্যক্ত করি ; আর, তাহাতেই আমাদের কাজ চলিয়া যায় । এমন কি একজন মহামহোপাধ্যায় জ্যোতির্বিং পণ্ডিত ও তাসল বৃত্তান্তটি সাত হাত জলের নীচে ফেলিয়া রাখিয়া মুখে বলিবার সময় নিশ্চয়ই বলেন “পূৰ্ব্ব দিকে সর্য্য উঠিয়াছে ;” তা ভিন্ন, এরূপ কখনই বলেন না যে, পশ্চিম দিকে পৃথিবী ঘুরিয়া আসিয়াছে। জগৎকে মন্ত্র বল। সেইরূপ একটা মৌখিক ধরণের কথ। —তাই লৌকিক ব্যবহার স্থলেই শোভা পায় । পিন্থ জ্ঞানালোচনার সময় জগৎকে শুদ্ধ যদি কেবল সন্ম বলি য় ই নিরস্ত থাকা যায় (যেন জগতের মাল (বৃক্ষ) তার এক শ্রেণীর মল্ল । সামান্য I প্রাণ (যেমন বুক্ষের প্রাণ) এক শ্রেণীর । প্রাণ – তাত সুখ-দুঃখ-বিহীন ; মনোময় প্রাণ (দেমন জীবের প্রাণ) আর এক শ্রেদীর প্রাণ। সামান্য মন (যেমন পশুর মন) এক শ্রেণীর মন ; বুদ্ধিময় মন (যেমন মলুম্যের মন) অার এক শ্রেণীর মন - বিবেকনিষ্ঠ (reflictive মন । সামান্য বুদ্ধি একশ্রেণীর বুদ্ধি; তানন্দ-ময় (inspirational) বুদ্ধি আর এক শ্রেণীর বুদ্ধি। নিখিল ব্রহ্মা গুকে শুধু যদি কেবল যন্ত্র (যেমন ঘড়ির কল) বলা যায়, তবে প্রকৃত বৃত্তান্তটি’র কিছুই বলা হয় না । “নিউটন কে ?” “এক জন গ্যের লোক”—এ যেমন প্রশ্নোত্তর; “জগৎ কি ?” “একটা যন্ত্র”—এ-ও অবিকল মৃলে হানন্দ নাই, প্রাণ নাই, ঈশ্বর নাই ; জগতের মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে অস্তিতে অস্থিতে— শ্বরের প্রভাব ওতপ্রোত-ভাবে পরিব্যাপ্ত নাই ; জগৎ একটা ঘড়ির কল মাত্র ) \9 St. 写 তবে তাহাতে কাহারো তাকাঙক্ষ মিটিতে পারে না । প্রকৃত কথ। এই যে ঈশ্বর এবং ভৌতিক বিশ্ব-যন্ত্রের মধ্যে একটি ধারাবাহিক সোপান-পরম্পরা বর্তমান রহি য়াছে এবং সে সোপান-পরম্পর। ঈশ্বরেরই প্রভাবের উচ্ছাস । মূল-কারণের প্রভাব وصر স্ফক্তি হইতেই সাক্ষাৎ কারণ সকল উদগীরিত হইতেছে—এবং উদগীরিত হইয়। তাছার অভিপ্রায়-সাধনে উদ্যোগী হইতেছে। আমরা যদি সাক্ষাৎকারণ অস্বীকার করিতাম—যদি বলিতাম যে, মূল কারণ ভিন্ন দ্বিতীয় কোন প্রকার কারণ জগতে নাই, তবেই প্রভাত বাবুর মুখে