পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¥सार्छ १४ sy ময় নেত্র-পটে উপস্থিত হয়—এটা একট। পরীক্ষার সিদ্ধান্ত । কিন্তু বস্তু-সকলের ছবি কিরূপে নেত্র-পটে চিত্রিত হয়, তাহার জ্ঞাস্য । চৰ্ম্ম-চক্ষুই পটের ন্যায় বিস্তুত ; কিন্তু পূর্বেই বলিয়াছি যে, চা চক্ষু চক্ষুর বহিরাবরণ-মাত্র। সেই বহিরাবরণের অভ্যন্তরস্তিত দৰ্শন-শক্তি, যাহা পটের ন্যায় বিস্তুত নহে–কিন্তু জ্যামিতিক বিন্দুর ন্যায় অবিস্তুত, তাহাই প্রকৃত পক্ষে চক্ষুরিন্দ্রিয় । সেই অবিস্ত ত a ক দ্ৰ হইতে কিরূপে বিস্তু ত দৃশ্য বিক (তা সে দৃশ্য-খানি প্রকা ণ্ড একটা সমুদ্রই হউক, আর সেই সমুদ্রের হিম-বিন্দু পরিমাণ क्रूझ একটি প্রতিবিম্বই হউকৃ,তাহাতে কিছুই তাইসে যায় না—ছোটো বড়ো'তে কিছুই আইসে যায় না, বিস্তৃত অবিস্তু < লইয়াই কথা) অবিস্তৃত কেন্দ্র হইতে W ক স で झ श V কিরূপে বিস্তুত দৃশ্য বিকশিত হয়—এই- ' টিই এখানকার একমাত্র জিজ্ঞাস্য । আমরা তাই বলি (আর, সকলেই এটা স্ব স্ব অন্তরে উপলব্ধি করেন) যে, অন্তরস্থিত অবিস্তুত চক্ষুরিন্দ্রিয়ই দর্শন-ক্রিয়ার মূল- ; কল্পনা ; অথবা, প্রথমে সংশয়, পরে অনু শক্তি—দৃশ্য-বস্তুর নেত্রগত প্রতিবিম্ব সে শক্তির উদ্দীপক মাত্র । আর, এটা ও সকলেরই জনা কথা যে, এইরূপ যত প্রকার অন্তরস্থিত অবিস্তুত ইন্দ্রিয় অাছে—মনই তাবতের অধিনায়ক । অতএব মোটামুটি হিসাবে বলা যাইতে পারে যে, ইন্দ্রিয়রাজ্যে মনের অধিকার ষোলো অানা— পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের এক-একটির অধিকার তাহার পঞ্চম অংশ মাত্র। আর যদি জ্ঞানেন্দ্রিয় এবং কৰ্ম্মেন্দ্রিয় দুইকে ধরা যায় তবে বলা যাইতে পারে যে,দশ ইন্দ্রিয়ের এক-একটির অধিকার মনঃক্ষেত্রের দশম অংশ মাত্র । মানবীকরণ বটে AA TAMSLS CLS LSMAAAS A SAS SSAS DMMC २१ তৃতীয়—বুদ্ধি; আমরা যদি বলি যে, মন চিন্তার ইট কাট সংগ্রহ করে এবং বুদ্ধি চিন্তার অট্টালিকাদি নিৰ্ম্মাণ করে, তবে কথা এখানে হইতেছে না ; চিত্রিত ছবি । কিরূপে দৃশ্য হয় তাই এখানে জি- । পাঠক হয় তো মনে করিবেন যে, আমাদের মতে বুদ্ধি এবং মন যেন দুই জন বিভিন্ন ব্যক্তি ; তাহা যদি তিনি মনে করেন তবে সেটি তাহার বড়ই ভুল । কাজের সময়ে ও যেমন—জ্ঞানচর্চার সমযে ও তেমনি-—দেশ-কাল-পাত্ৰ সৰ্ব্বাগ্রে বিবেচা । যেখানে দেশভেদের কথা হই তেছে সেখানে কাল-ভেদ বা পত্রি-ভেদ বুঝিলে চলিবে না ; যেখানে কুলি-ভেদের কথা হইতেছে সেখানে দেশ-ভেদ বা পত্র-ভেদ বুঝিলে চলিবে না ;. যেখানে পাত্ৰ-ভেদের কথা হইতেছে সেখানে দেশভেদ বা কাল-ভেদ বুঝিলে চলিবে না । বস্তু-সকলের অংশ-ভেদ বা অঙ্গ-ভেদ দেশভেদকে অপেক্ষা করে ; তাহার সাক্ষী— চক্ষু একস্থানে, কর্ণ আর-একস্থানে ; হস্ত এক স্থানে, পদ অার এক স্থানে ; এইরূপ দেখা ধাইতেছে যে, শরীরের অঙ্গ-ভেদ বা তাংশ-ভেদ দেশ-ভেদকে অপেক্ষ করে । বৃত্তিভেদ কলি-ভেদকে অপেক্ষা করে ; যেমন, প্রথমে দর্শন—পরে স্মরণ—পরে সন্ধান, পরে তত্ত্ব-নিদ্ধারণ ; ইহাদের মধ্যে যত কিছু বৃত্তি-ভেদ সমস্তই কাল-ভেদের অনুযায়। তাহার পরে আলিতেছে— পাত্র-ভেদ ; পাত্র-ভেদ–কি না ব্যক্তিভেদ । এখন বক্তব্য এই যে, (১) যেখানে বলা হইতেছে “সঞ্জয় দেখেন এবং ধৃতরাষ্ট্র শোনেন,” সেখানে দ্রষ্টা এবং শ্রোতার মধ্যে ব্যক্তি-ভেদ বুঝিতে হইবে । (২) যেখানে বলা হইতেছে “চক্ষু দেখে এবং কর্ণ শোনে” সেখানে দ্রষ্টা এবং শ্রোতার মধ্যে (নেত্র-কর্ণ ঘটিত) অঙ্গভেদের সঙ্গে C ہے. ---ص=