পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• دبرا و gry?

  • — — —

বর্ষশেষ ব্রাহ্মসমাজ ২৩ বার জন্য প্রস্তুত হইতেছে । সংসারবন্ধন অণমাদিগকে শত বন্ধনে জড়িত করিয়া রাখিয়াছে। স্ত্রীপুত্র পরিবারের দুশেছদ্য মায়াবন্ধন, ভোগ ঐশ্বর্ঘ্যের তীব্র আকর্ষণ তাত্মার ভাবকে নিজীব করিয়া ফেলিতেছে। শর্মীতরুর ন্যায় অগ্নিম্ম লিঙ্গ আমারদের অন্তরে, অথচ আমরা ইতর প্রাণীদিগের প্রাকৃতিক নিয়মের একমাত্র বশবর্তী । ইহার মধ্যে ঈশ্বরের । পদছায়ায় সঞ্চরণ করিতে অভ্যাস করিতে । সাপন তপস্যাবলে তাচার দিকে তা গ্রসর হইতে হইবে । একদিকে আমরা তার একদিকে ঈশ্বরের বিশেষ রূপাপাত্র, স্নেহের ধন আধ্যাত্মিক জাপ । সংসারের তাত্র ঘূর্ণায় পতিত হইয়। তাiপনার উচ্চ অধিকার, বিমল আনন্দ ভোগে বঞ্চিত থাকিয়া দিনযামিনী রথায় ক্ষেপণ করিতেড়িলাম তাই বর্মের শেম প্রাণে আঘাত দিয়। মন্মস্থলকে প্রকম্পিত করিয়া অামাদিগকে জাগ্রত ও সচকিত করিয়৷ তুলিল । তাজ বর্ষের শেষ রাত্ৰি ! এই কথা স্মরণ হইবা মাত্র যেন কি এক ভয়ানক তরঙ্গ হৃদয়কে আলোড়িত করিয়া তুলিল । বৰ্মচক্র নিঃস্তব্ধে ঘূর্ণিত হইয়। যেমন পূর্ণ এক বৎসরের শেষ নিশাকে তামারদের সম্মখে আনয়ন করিল এমনই করিয়া ঘুরিতে ঘুরিতে সেই মহা নিশাকে আমারদের সমীপস্থ করিবে তখন চিরজন্মের মত পৃথিবীর ধনএশ্বৰ্য্যের নিকট বিদায় গ্রহণ করিতে হইবে, রোরুদ্যমান হৃদয়বন্ধু সকলকে মৰ্ম্মের গভীরতম প্রদেশ হইতে উৎপাটিত করিতে হইবে, শোভা সৌন্দর্য্য হইতে চিরকালের মত নয়নকে হইবে । =ہ ভৗতিক ;i 不 の ジ | عيد \" で完 | イ。 سنگ - arے۔ 河ァを মুদ্রিত করিতে হইবে, প্রাণের সহচর } সেই পুণ্যভূমির পবিত্র জ্যোতি সহ করি- { অনুচর জানিয়া যাহাদিগকে লইয়। সংসার গঠন করিতেছি, চূর্ণ বিচূর্ণ করিয়া সকলের নিকট হইতে পলায়ন করিতে হইবে । আমার এ শরীরসম্বদ্ধ বালুকণা ভস্মরাশিতে পর্য্যবসিত হইবে। এ সকল বিষয় অালোচনা করিলে ধমনীর রক্ত ধমনীতে রহিয়া যায়, হৃৎপিণ্ড অবসন্ন হইয়া পড়ে, রক্ত জলে পরিণত হয়, মস্তিস্কের ভিতরে অগ্নি দীগু হইয় উঠে, দণ্ডায়মান হইবার তার সাধ্য থাকে না । মনে হয় । স্তবিকই কি আমার অবস্থা ঈদৃশ শোচনীয়, সতই কি শরীর ধূলায় ধূসরি ত হইবে অথবা আমি স্বপ্ন দেখিতেছি । সংসার-বন্ধন ছিন্ন করিয়া দ্রুতবেগে কোন এক অজানিত দেশে পলায়ন করিতে পারিলে যেন সে ব্যাকুলতার পরিসমাপ্তি হয় । সম্বং সরকাল পরে যে আমরা এই পবিত্র স্থানে শুভ মুহূর্তে সকলে তাগমন করিয়াছি, এখনই তামারদের শূন্য হৃদয়ে ঈদৃশ উদাস ভাবের অভিনয় হইতেছে । চঞ্চল কালত্ৰোত তামাদিগের হৃদয়ের জড়তা অপসারিত করিয়া দিয়া এককালে পৃথিবীর আশা ভরসার মূলে কুঠারাঘাত করিয়া চলিয়া গেল। আমর। যেন সমুদ্রগামী ভগ্ননেীক নাবিকের ন্যায় বেলাভূমিতে উপবেশন করিয়া বিস্মিত ও ভীত হইয়া নিজ নিজ নিয়তির বিষয় চিন্তা করিতেছি । আজ নিরাশার পবন চতুদিকে বহমান হইয়া সকলের ভীতি উৎপাদন করিতেছে । সংসারের অনিত্যতা হৃদয়ে সুন্দররূপে প্রতিভাত না হইলে, বৈরাগ্যের ভাব অন্তরে সন্ধুক্ষিত করিতে না পারিলে ঈশ্বরের সাক্ষাৎকার লাভ করিয়া র্তাহাকে স্থায়ীরূপে হৃদয়মন্দিরে রক্ষা ক