পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8& তত্ত্ববোধিনী পত্রিক

  • २ कन्न, ७ eण

Iow mamustam “আমি হিমালয় ভাবিতেছি” এই যে একটি ব্যাপার, ইহাতেই তিনটি বিষয়ের অস্তিত্ব আমি একসঙ্গে উপলব্ধি করিতেছি—(১) আমার বাহিরে হিমালয়ের অস্তিত্ব ; (২) আমার অন্তরে হিমালয়ভাবনার অস্তিত্ব ; (৩) তাহারও অভ্যন্তরে আমার আপনার অস্তিত্ব। হিমালয়ের অস্তিত্ব প্রত্যক্ষ-মূলক—হিমালয়-ভাবনার অস্তিত্ব অনুভব-মূলক—আমার আপনার অস্তিত্ব স্বতঃসিদ্ধ জ্ঞান-মুলক; তিনই জ্ঞানমূলক । হিমালয় পৰ্ব্বত উত্তর-প্রদেশে ; কিন্তু হিমালয় ভাবনা উত্তরেও নহে— দক্ষিণেও নহে ; উত্তর-দক্ষিণাদি সম্বন্ধ বহি- ! বিষয়ের সম্বন্ধেই খাটে—অন্তরের ভাবনাসম্বন্ধে খাটে না ; বহির্বিষয়ের ন্যায় অন্তরের ভাবনা আকাশে অধিষ্ঠান করে না, এই জন্য অন্তরের ভাবনার সম্মন্ধে উত্তর দক্ষিণ দি দৈশিক সম্বন্ধ খাটে না—দৈশিক সম্বন্ধ খাটে না বটে কিন্তু কালিক সম্বন্ধ (কালের অগ্র পশ্চাৎ সম্বন্ধ) খাটে ; পূর্বে আমি অট্টালিকা ভাবিতেছিলাম এখন আমি হিলাময় ভাবিতেছি—-এ দুই ভাবনার মধ্যে পূর্ববর্তী পরবর্তী সম্বন্ধ স্পষ্টই বর্তমান রহিয়াছে। হিমালয়-ভাবনা যদিচ আমারই ভাবনা—কিন্তু আমার হিমালয়ভাবন হইতে আমি আপনি স্বতন্ত্র। যদি এরূপ হইত যে, আমার হিমালয়-ভাবনাই অামি আপনি, তবে দাড়াইত যে, আমার অট্টালিকা-ভাবনাও আমি আপনি ; কিন্তু হিমালয়-ভাবনা এক ভাবনা—অট্টালিকা ভাবনা আর-এক ভাবনা ; দুই ভাবনা কিছু আর একই ভাবনা নহে; আমি কিন্তু একই আমি । ভাবনাই যদি আমি হই, তাহ। হইলে এইরূপ দাড়ায় যে, ভাবনা যখন ७क मप्इ কিন্তু দুই, তখন কাজেই তেছে যে, আমার ভাবনা অনেক কিন্তু আমি একই ? স্বতঃসিদ্ধ জ্ঞান। এইরূপ দেখা যাইতেছে যে,চাফুষ প্রত্যক্ষ—হিমালয়ের অস্তিত্বের সাক্ষী স্বরূপ ; অন্তঃকরণের অনুভব হিমালয়-ভাবনার অস্তিত্বের সাক্ষী স্বরূপ ; এবং সেই ভাবনার মূলস্থিত যে, আমি আপনি, স্বতঃসিদ্ধ জ্ঞান সেই আমার আপনার অস্তিত্বের সাক্ষী স্বরূপ । অতএব জ্ঞানই অস্তিত্বের সাক্ষী—জ্ঞানই অস্তিত্বের প্রমাণ । এই জন্য বলি যে, যদি জগতের বাস্তবিক অস্তিত্ব স্বীকার করিতে হয় তবে তাহার সঙ্গে এটাও স্বীকার করিতে হয় যে, আমি যখন ছিলাম না এবং আমার ন্যায় আর কেহই যখন ' ছিল না, তখনও জগতের অস্তিত্ব ছিল ; অস্তিত্ব যখন ছিল—তখন অবশ্য তাহ। কোন না কোন জ্ঞানেই বিদ্যমান ছিল— কেননা অস্তিত্ব জ্ঞান-ছাড়া আর কোথা ও অবস্থিতি করিতে পারে না । জড়পিণ্ড আকাশে অবস্থিতি করে ; মানসিক চিন্তা কালে অবস্থিতি করে ; আত্মা অনাকাশে এবং অকালে অবস্থিতি করে ; এবং সমুদায়েরই অস্তিত্ব জ্ঞানে অবস্থিতি করে । “আছে” বলিলেই বুঝায় যে, কাহারো না কাহারো জ্ঞানে আছে ; যাহা কাহারে জ্ঞানে নাই—ঈশ্বরেরও জ্ঞানে নাই—তাহ মূলেই নাই । অতঃপর বক্তব্য এই যে, আমাদের বাহ্য-জ্ঞানই পরোক্ষ এবং অপরোক্ষ এই দুই শ্রেণীতে বিভক্ত ; কিন্তু সেই বাহ্যজ্ঞানের মূলে যে-এক গোড়া’র বিশুদ্ধ জ্ঞান বর্তমান আছে – তাহ কেবল-মাত্র অপরোক্ষ জ্ঞান ; তাহ। ইন্দ্রিয়ের কোন ধার ধারে না—তাহা আত্মার স্বকীয় ধৰ্ম্ম । ইহার একটা মোটামুটি দৃষ্টান্ত এই যে, আমিও এক নহি কিন্তু দুই । কে বলি- আমাদের সম্মুখস্থিত বস্তু-সকলেতে যে